স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে পদ্মার তীরে মানববন্ধন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
Printed Edition
বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে পদ্মার তীরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন : নয়া দিগন্ত
বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে পদ্মার তীরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন : নয়া দিগন্ত

‘স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই, রক্ত লাগলে রক্ত দেব, বালু খেকোদের কবর দেব, বানের জলে ডুবি ভাসি, শুনেছ কি কেউ মোদের আর্তনাদ? বেঁচে থাকার জন্য চাই টেকসই বেড়িবাঁধ’সহ বিভিন্ন সে্লাগান সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বালু মহালের মাধ্যমে এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন দুর্গম চরাঞ্চলের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর দুই পাড়ে শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫টি স্থানে কৃষক-শ্রমিক, জেলে, দিনমজুর, ছাত্র-শিক্ষকসহ সব শ্রেণী পেশার প্রায় ১০ হাজার মানুষের অংশ গ্রহণে মানববন্ধন করে এই দাবি জানানো হয়।

কাচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এ হামিদ সরদার জানান, কাচিকাটা ইউনিয়নটি শরীয়তপুর জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পদ্মা নদীর মাঝখানে অবস্থিত। এ চরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করে। বালু খেকোরা পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পদ্মার তীরবর্তী চরটি বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মা নদী গ্রামের নিকটে চলে এসেছে। কাচিকাটা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ-মাদরাসা হুমকির মুখে। সেই সাথে একটি মহল পদ্মার তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। পদ্মার ভাঙনের চরের বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার উপর আবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাচিকাটাকে বালুমহাল ঘোষণার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুরর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ তারেক হাসান বলেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে বালু মহালের জন্য আমাদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। সেই আলোকে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন ও স্যাটেলাইট ম্যাপ পর্যবেক্ষণ এবং বিআইডব্লিউটিএর সম্পাদিত হাইড্রোগ্রাফিক জরিপসহ আরো ৬টি শর্ত সাপেক্ষে আমাদের মতামত পেশ করেছি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মণ্ডল বলেন, বালু মহালের জন্য এখনো আমরা চূড়ান্ত মতামত পাইনি। চূড়ান্ত মতামত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কাচিকাটা রক্ষায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়ন করা যায় সেই বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে।