নিজস্ব প্রতিবেদক
গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, শুধু আইনের প্রয়োগ নয়, দুর্যোগ সহনশীল নকশা তৈরিতে আমাদের স্থপতিদের উৎসাহ দিতে হবে। ভূমিকম্প হোক কিংবা অগ্নিদুর্ঘটনা কোনো ক্ষেত্রেই যেন জীবন ও প্রাণহানি না ঘটে সে ধরনের স্থাপনা নির্মাণের নকশা তৈরির সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের আগেই নির্মাণ পর্যায়ে তদারকি ও গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য একটি স্বচ্ছ ও আধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। গতকাল সোমবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ইমপ্রুভমেন্ট অব ডিজাইন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশান কোয়ালিটি ফর রেসিলিয়েন্স অব প্রাইভেট বিল্ডিং (ডিসিকিউআর) শীর্ষক প্রকল্পের সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নজরুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান, প্রকল্পটির রূপরেখা উপস্থাপন করেন ডিসিকিউআর প্রকল্পের টিম লিডার ড. টাটসু নারাফু। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও রাজউক বোর্ড সদস্য যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁইয়া। সেমিনারে প্রকল্পটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ভবন সংক্রান্ত দুর্যোগ প্রশমনে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, গত ৭৫ বছরে ঢাকায় অনেকগুলো ভূমিকম্প হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য যে, ওই ভূমিকম্পে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি; কিন্তু সামনে যদি কোনো ভূমিকম্প ঘটে এবং তাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে না তা কেউ বলতে পারে না। আমাদের এখনই ভূমিকম্প সহনশীল ও অগ্নিদুর্ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি যেন না হয় সে ধরনের ভবন নির্মাণে সবধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব স্থাপত্য নকশা ও নির্মাণগুলো ভালো করে পরীক্ষা করা উচিত।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশে অতীতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে; কিন্তু খুব কম ভবনমালিকই সচেতন হয়েছেন। সবাই মনে করেন, তার ভবনের কোনো ক্ষতি হবে না; কিন্তু কখন কার ভবন দুর্ঘটনাকবলিত হয় কেউ বলতে পারে না। তাই দুর্ঘটনা সহনশীল ভবন নির্মাণে এখনই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
 


