নিজস্ব প্রতিবেদক
৬৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ডা: হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল (এইচ বি এম ইকবাল) এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তার স্ত্রী ও অপর এক সন্তানের নামে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের কমিশনের বৈঠকে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন জানান। অনুমোদিত প্রথম মামলায় সাবেক এমপি ডা: ইকবালের নামে ৬২ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮২ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধানে সাবেক এমপি ইকবালের নামে ২৯৮ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর বিপরীতে তার দায় ১৩৯ কোটি ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৪ টাকা। ফলে নিট সম্পদের পরিমাণ ১৫৯ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৫ টাকা।
অন্য দিকে বিভিন্ন খাতে তার আয় দেখা যায় ১৯০ কোটি ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৬২ টাকা, ব্যয় ৯৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৯ টাকা, ফলে নিট আয় হয় ৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৩ টাকা। এ হিসাবে তিনি জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত ৬২ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
অন্য দিকে ডা: ইকবালের ছেলে ইমরান ইকবালের নামে ৪৫ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ৩৯৭ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। তার নিট আয় ৪০ কোটি ৭০ লাখ ৯৬০ টাকা। ফলে তিনি ৫ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৪৩৭ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বলে দুদক জানায়। তার বিরুদ্ধেও আরেকটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ দিকে ডা: ইকবালের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী ও অপর সন্তান মঈন ইকবালের নামে সম্পদ বিবরণী দেয়ার নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে স্ত্রী শিল্পীর নামে ১০ কোটি ৮২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৬ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। যাচাইয়ে দেখা যায়, তিনি ৩৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৮ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলে রেখেছেন।
ডা: ইকবালের অন্য ছেলে মঈন ইকবালের নামে ৪৭ কোটি ৭০ লাখ ২ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। তার নিট আয় ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৪৫ টাকা, ফলে তিনি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলে রেখেছেন। তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক।