ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ক্রীড়া ডেস্ক
Printed Edition
দিয়েগো ম্যারাডোনা
দিয়েগো ম্যারাডোনা

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা পরলোকগমন করেছেন ৪ বছরেরও বেশি সময় হলো। তবে তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা যেন কাটছেই না। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে ৭ স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে চলছে বিচারকার্য। সেই মামলার শুনানিতে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে গত পরশু চাঞ্চল্যকর এক তথ্যই দিলেন ম্যারাডোনার ময়নাতদন্ত করা এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ মরিসিও কাসিনেয়ি। ম্যারাডোনার মৃতদেহ দেখে তার মনে হয়েছিল, মৃত্যুর আগে ১২ ঘন্টা তীব্র যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ২০২০ সালের নভেম্বরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কোকেন ও মাদক আসক্ত ম্যারাডোনা। তখন থেকেই অভিযোগ উঠেছিল যে এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। বুয়েন্স আয়ার্সের একটি আদালতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী মহানায়কের মৃত্যুরহস্য নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন সাত জন, যার মধ্যে ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিয়োপোলেতো লিউক এবং মনোচিকিৎসক অগাস্তিনা কোসাচভ রয়েছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই কোসাচভের পরামর্শেই ওষুধ খেতেন ম্যারাডোনা।

ফরেনসিক চিকিৎসক কার্লোস বলেন, ‘গোটা হৃদ্থযন্ত্রে চর্বি ও জমাট বাঁধা রক্তে পুরোপুরি ঢাকা ছিল। এতেই বোঝা গিয়েছে মৃত্যুর আগে উনি কতটা কষ্ট পেয়েছেন।’ ময়নাতদন্তের পর জানানো হয়েছিল, ম্যারাডোনা ‘অ্যাকিউট পালমোনারি ওডেমা’র কারণে মারা গিয়েছেন, যা থেকে হৃদ্থযন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছিল। তবে কার্লোসের দাবি, মারাদোনা এমন রোগী ছিলেন না যাকে বাড়িতেই চিকিৎসা করা যেত। তার কথায়, ‘উনি এমন রোগী ছিলেন যার ফুসফুসে মৃত্যুর অন্তত ১০ দিন আগে থেকে পানি জমছিল। এটা ঠিক নয়। ওর চিকিৎসায় যারা জড়িত ছিলেন, তাদের আগে থেকেই এটা বোঝা উচিত ছিল।’

অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে অন্তত আট থেকে ২৫ বছর জেল হতে পারে। শুনানি শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার, যা চলতে পারে আগামী চার মাসে।