ভর্তির লটারিতে ৫ দিনে সরকারি স্কুলে আসনের দ্বিগুণ আবেদন জমা

চলতি বছরে লটারির আবেদন জমা শুরু হয়েছে। এবারো শুরু থেকে মাত্র পাঁচ দিনেই সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ইতোমধ্যে আসনসংখ্যার দ্বিগুণের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যদিও বিপরীত চিত্র বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে। বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য লটারিতে মাত্র দশ ভাগ আবেদন জমা পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

শাহেদ মতিউর রহমান
Printed Edition
  • বেসরকারিতে জমা পড়েছে মাত্র ১০ ভাগ
  • আবেদন চলবে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

সরকারি স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে প্রতি বছরই অভিভাবকদের গলদঘর্ম অবস্থা। চলতি বছরে লটারির আবেদন জমা শুরু হয়েছে। এবারো শুরু থেকে মাত্র পাঁচ দিনেই সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ইতোমধ্যে আসনসংখ্যার দ্বিগুণের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যদিও বিপরীত চিত্র বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে। বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য লটারিতে মাত্র দশ ভাগ আবেদন জমা পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদন অনলাইনে চলছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ১১ লাখ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে তিন লাখ ৫৯ হাজার ছয়টি। এ আবেদন চলবে আগামী ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভর্তি আবেদন ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।

তথ্যমতে, এবার সরকারি-বেসরকারি সাত হাজার ৫০১টি বিদ্যালয়ে মোট আসন আছে ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। এর মধ্যে ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক লাখ ২১ হাজার ৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন দুই লাখ ৬০ হাজার ২৪৪ জন। তিন হাজার ৩৬০টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি আসন। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৮ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থী। গত পাঁচদিনে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে আবেদন করেছেন তিন লাখ ৫৯ হাজার ছয়জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

গত ২১ নভেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর একটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের বাছাই ও ভর্তি করা হবে। এ বছর ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা যঃঃঢ়ং://মংধ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ এ ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ ও ঞবষবঃধষশ চৎব-ঢ়ধরফ গড়নরষব নম্বর থেকে এসএমএসর মাধ্যমে আবেদন ফি দিয়ে ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি-প্রধান শিক্ষকের নোটিশ বোর্ড থেকে জানা যাবে।

আবেদনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো আবেদনকারী অসদুপায় অবলম্বন করে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার আবেদন করলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে তার আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। লগইন করার পর স্কুলের ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য ইনপুট দেয়ার পর সেভ করে সামারি বাটনে ক্লিক করলে পূরণকৃত সব তথ্য প্রদর্শিত হবে, যা প্রিন্ট করে রাখা যাবে। কোনো তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে পুনরায় সঠিক তথ্য সেভ করে পুনরায় সামারি বাটনে ক্লিক করে তথ্যের প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ করতে হবে।