আগামী মাসে ঢাকায় বিশ্বকাপ কাবাডি

Printed Edition

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপে খেলা এক সময় আমরা স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের। ক্রিকেটে বারবার গোত্তা খাওয়ার পর শেষপর্যন্ত ১৯৯৭ সালে সেই ছাড়পত্র পাওয়া। এ ছাড়া দাবা বিশ্বকাপ, আরচারি বিশ্বকাপ, শ্যুটিং বিশ্বকাপ, ক্যারম বিশ্বকাপ, কাবাডি বিশ্বকাপে খেলেছে বাংলাদেশ। আরো আগেই বাংলাদেশে হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। জুনিয়র-সিনিয়র দুই লেভেলেই। কয়েক বছর আগে ঢাকায় বসেছিল রোলবল বিশ্বকাপ। এবার বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন আয়োজন করতে যাচ্ছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। ১৫-২৫ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরের শহীদ সোহরায়ার্দী জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়ামে হবে এই বিশ্বকাপ। নারী বিশ্বকাপ কাবাডিতে বাংলাদেশ আগেই অংশ নিয়েছিল। ২০১২ সালে ভারতে হয়েছিল এই আসর। এবারো এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল ভারতে। গত জুন মাস ছিল টুর্নামেন্টটি আয়োজনের নির্ধারিত সময়। তবে ভারতীয় কাবাডি ফেডারেশন ব্যর্থ হয়েছিল অংশ নেয়া সবগুলো দলের ভিসা নিশ্চয়তা দিতে। তাই শেষপর্যন্ত আর তা হয়নি। তখনই বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন চেষ্টা করতে থাকে এই বিশ্বকাপ আয়োজনের। শেষপর্যন্ত দেশী-বিদেশী সব পক্ষের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই বিশ^কাপের ভেনু পেল বাংলাদেশ। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ।

বিশ্ব কাবাডিতে বাংলাদেশের র‌্যাংকিং ৫ নম্বরে। তাই ১৪ দলের এই আসরে লাল-সবুজ নারীরা অনায়াসেই চান্স পেয়েছে। বাকি দলগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, ভারত, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, উগান্ডা, থাইল্যান্ড ও জাঞ্জিবার। পুরো আসরের বাজেট সাড়ে ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে পাঁচ কোটি টাকা। বাকি টাকা স্পন্সরের মাধ্যমে জোগাড় করার আশ্বাস সেক্রেটারি সোহাগের। অতিথি দলগুলোর আসা যাওয়ার সব বিমান ভাড়াই দিচ্ছে আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন। বাংলাদেশকে দিতে হবে স্থানীয় খরচ। সবগুলো দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের একটি হোটেলে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন। প্রতি দল কোচ-কর্মকর্তা ও খেলোয়াড় সহ ২০ সদস্যের। ১৪ দলের নাম উল্লেখ করা হলেও স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে পোল্যান্ড ও পাকিস্তান নারী দলকে। যদি কোনো দল শেষ মুহূর্তে আসতে ব্যর্থ হয় তখন এই দলগুলো থেকে নেয়া হবে বিকল্প। সে সাথে এই প্রথম ভারতের বাইরে হচ্ছে কাবাডি বিশ্বকাপ।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ ফের দাপট দেখাতে চায় কাবাডিতে। এশিয়ান গেমসে আগে বাংলাদেশ নিয়মিতই পদক পেত এই ডিসিপ্লিনে। পুরুষ দলের পর নারী দলই পদক জিতেছিল। তবে এখন সেই পদকও হাতছাড়া। সাফ গেমস বা হাল আমলের এস এ গেমসে লাল-সবুজরা এখন পর্যন্ত এই কাবাডিতে স্বর্ণের দেখা পায়নি। রৌপ্য আর ব্রোঞ্জে আটকা। তবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের লক্ষ্য এশিয়ান গেমসে পদক পুনরুদ্ধার ও এবং এস এ গেমসে স্বর্ণ পদক পাওয়া। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তাদের অবস্থান আরো উন্নত করতে চায়। কাবাডি সেক্রেটারির মতে, আমরা এবার র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করতে চাই।

নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপে ভালো করতে বাংলাদেশ দল নেপালের সাথে ম্যাচ খেলার চেস্টা করছে। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ দল নেপালে গিয়েছিল পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে। সেখানে তারা ২-৩ সেটে হেরে আসে। এবার ফিরতি সফরে বাংলাদেশে আসবে নেপাল। সে সাথে বাংলাদেশ পুরুষ দলও নেপাল সফরে যাবে।