আলজাজিরা
গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠাতে উদ্যোগী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ফর গাজা (জিএসএফ) নৌবহরের আরেকটি জাহাজে টানা দ্বিতীয় রাতেও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলা হয়েছে। এ ঘটনার আগের দিন গতকাল মঙ্গলবার জিএসএফ জানিয়েছিল, তিউনিসিয়ার একটি বন্দরে তাদের একটি প্রধান নৌকায় ড্রোন হামলা হয়েছে।
মঙ্গলবারের হামলা নিয়ে ফ্লোটিলা আয়োজক কমিটির সদস্য টিয়াগো আভিলা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফ্যামিলি’ নামের নৌকাটিকে তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছে একটি দাহ্য পদার্থ বহনকারী ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। আমাদের দলের কয়েকজন সদস্য নৌকায় ছিলেন, তবে কেউ আহত হননি।
ফ্লোটিলার গণমাধ্যম টিম ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় ‘ফ্যামিলি’ নৌকাটিতে হামলার মুহূর্ত। তবে তিউনিসিয়া সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিদি বু সাঈদ বন্দরে নৌকায় ড্রোন হামলার খবর ‘সত্য নয়’। তারা দাবি করেছে, নৌকাটির ভেতরেই আগুন লেগেছিল।
এই ঘটনা আসে একদিন পর, বহরের অন্য একটি নৌকাতেও একই ধরনের সন্দেহভাজন ড্রোন হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে একটি জাহাজকে তিউনিসিয়ার আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর ফ্ল্যাশিং লাইটযুক্ত জাহাজ দিয়ে ঘিরে থাকতে দেখেছেন।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে এই বহরটি ফিলিস্তিন সমর্থক কর্মী ও সাহায্যসামগ্রী নিয়ে গাজার দিকে যাত্রা করছে। আবহাওয়া ও অন্যান্য কারণে যাত্রা বারবার বিলম্বিত হওয়ার পর বহরটি বুধবার আবার যাত্রা শুরু করার কথা ছিল। আয়োজকদের একজন সমন্বয়কারী মেলানি শোয়াইৎসার এএফপিকে বলেন, দ্বিতীয় রাত, দ্বিতীয় ড্রোন হামলা।
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেস্কা আলবানিজ ভিডিও পোস্ট করে বলেন, ভিডিওতে দেখা যায়, কোনো আলো ছাড়া একটি ড্রোন দূর থেকে একটি বস্তু ফেলে যা ‘আলমা’ জাহাজের ওপর ডেকে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রথম হামলার সময় বহরের কিছু সদস্য বলেন, তারা ড্রোনটি চোখে দেখেছেন এবং সাথে সাথেই জাহাজের সামনের অংশে আগুন ধরে যায়।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ ঘটনার পরেও বুধবার তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন এবং সঙ্কল্প ও আত্মবিশ্বাসের সাথে মিশন চালিয়ে যাবেন।



