ভোটযুদ্ধে জয়-পরাজয়ে নিয়ামক হবে অঞ্চল ও মতাদর্শ?

শিক্ষার্থীদের প্রধান চাওয়া নিরাপদ ক্যাম্পাস ও যোগ্য নেতৃত্ব

বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোই মূলত ডাকসু নির্বাচনের মূল কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটারের বেশির ভাগই ১৮টি হলে বসবাস করেন, যার মধ্যে ছাত্রদের জন্য ১৩টি এবং ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি হল রয়েছে।

হারুন ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Printed Edition

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সরব হয়ে উঠছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। এবারের নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ কেবল প্রার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচিতি বা রাজনৈতিক দলের ব্যানারের ওপর নির্ভর করছে না। পাশাপাশি নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে হলভিত্তিক মেরুকরণ, বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পরিচিতি, রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারভিত্তিক প্রত্যাশার মতো জটিল সমীকরণ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যে প্যানেল এই সব প্রভাবককে দক্ষতার সাথে সমন্বয় করতে পারবে, তারাই শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসবে।

বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোই মূলত ডাকসু নির্বাচনের মূল কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটারের বেশির ভাগই ১৮টি হলে বসবাস করেন, যার মধ্যে ছাত্রদের জন্য ১৩টি এবং ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি হল রয়েছে। প্রতিটি হল যেন এক একটি স্বতন্ত্র নির্বাচনী এলাকা। এগুলোর নিজস্ব রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি ও ভোটব্যাংক রয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল অনেকাংশেই নির্ভর করে এই হলগুলোর ভোটের ওপর। তাই সব প্রার্থী ও প্যানেলই হলের ভোটারদের মন জয়ে সর্বোচ্চ কৌশল অবলম্বন করছে।

এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা ‘সুইং’ ফ্যাক্টর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে নারী শিক্ষার্থীদের পাঁচটি হল ও জগন্নাথ হল। এই হলগুলোর ভোট নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ভোটারের প্রায় ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১৮ হাজার ৯০২ জনই ছাত্রী হলের ভোটার। এই বিশালসংখ্যক ভোট যেকোনো প্রার্থীর জন্যই অপরিহার্য। ছাত্রী হলের ভোটাররা দলীয় রাজনীতির চেয়ে প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা, ছাত্রীবান্ধব কর্মসূচি এবং ক্যাম্পাসে তাদের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু আখের সৈকত বলেন, “ডাকসু বা হল সংসদে আমাদের এমন প্রতিনিধি প্রয়োজন, যারা রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, আবাসন ও অন্যান্য যৌক্তিক সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন।”

একই সুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ইনফরমেশন অ্যান্ড সায়েন্স লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী ঊর্মি খাতুন বলেন, “প্রার্থীকে অবশ্যই হলের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। নির্বাচিত হওয়ার পর যেন তাকে সহজেই যেকোনো প্রয়োজনে পাশে পাওয়া যায়, এটাই আমাদের মূল চাওয়া। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট পদগুলোতে আমরা নারী নেতৃত্বকেই বেশি নির্ভরযোগ্য মনে করি।”

ছাত্রীদের এই মনোভাবের কারণে প্রধান ছাত্র সংগঠনগুলোকেও ছাত্রী হলগুলোতে জনপ্রিয় ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে ।

অন্য দিকে জগন্নাথ হল তার স্বতন্ত্র পরিচয়ের কারণে বরাবরই ডাকসু নির্বাচনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। মূলত অমুসলিম শিক্ষার্থীদের এই হলটিতে প্রায় ২ হাজার ২০০ ভোটার রয়েছেন, যা একটি সঙ্ঘবদ্ধ ভোটব্যাংক হিসেবে বিবেচিত। এই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গোষ্ঠীগত ঐক্য অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় তারা প্রায়ই একযোগে ভোট দেন। এর ফলে এই হলের ভোট পেতে প্রতিটি প্যানেলকেই বিশেষ কৌশল নিতে হয়। প্রায় সব প্রভাবশালী প্যানেলেই জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। ছাত্রদলের প্যানেলে চিম চিম্যা চাকমা, শিবিরের প্যানেলে সর্ব মিত্র চাকমা এবং উমামা ফাতেমার স্বতন্ত্র প্যানেলে সূর্মি চাকমাকে অন্তর্ভুক্তি এই কৌশলেরই প্রতিফলন।

ভোটের সমীকরণ কেবল ছাত্রী হল বা জগন্নাথ হলেই সীমাবদ্ধ নয় বরং বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের হলগুলোর মধ্যেও রয়েছে এক ধরনের ভৌগোলিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিভাজন। ক্যাম্পাসের দক্ষিণ প্রান্তে কার্জন হলো এলাকায় অবস্থিত বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত তিনটি হল- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক মুসলিম হল। এই হলগুলোতে সম্মিলিতভাবে ৫,০৫৫ জন ভোটার রয়েছেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ফজলুল হক মুসলিম হলের এবং একই প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক প্রার্থী মহির আলম অমর একুশে হলের ছাত্র হওয়ায় তারা বিজ্ঞান অনুষদের এই ভোট ব্যাংককে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছেন। স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা নিজেও প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী হওয়ায় এই এলাকার ভোট তার পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন।

এর বিপরীতে, শাহবাগ-সংলগ্ন কলাভবন এলাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ‘হলপাড়া’ ডাকসু নির্বাচনের মূল রণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। কবি জসীমউদ্দীন হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং মাস্টার দা সূর্য সেন হলের মতো বড় হলগুলো নিয়ে গঠিত এই এলাকায় প্রায় ৮,১৮৪ জন ভোটার রয়েছেন। প্রধান ছাত্র সংগঠনগুলোর বেশির ভাগ শীর্ষস্থানীয় প্রার্থীই এই হলগুলোর আবাসিক। ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম এবং ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ কবি জসীমউদ্দীন হলের ছাত্র। আবার, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বিজয় একাত্তর হল এবং ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম মাস্টার দা সূর্য সেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এ ছাড়াও নীলক্ষেত-সংলগ্ন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, স্যার এ এফ রহমান হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রায় ৪,৭৩৬ জন ভোটারও নির্বাচনের ফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

হল ও বিভাগের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে আঞ্চলিকতার প্রভাবও বেশ জোরালোভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতাদর্শের চেয়েও ‘এলাকার ভাই’ পরিচয়টি বড় হয়ে উঠছে। এবারের নির্বাচনে প্রধান ৯টি প্যানেলের শীর্ষ ২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের বাড়িই চট্টগ্রাম বিভাগে। এসব প্রার্থী আঞ্চলিক পরিচিতিকে কাজে লাগাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের প্রার্থীরাও নিজ নিজ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সমর্থন আদায়ে জেলা ও বিভাগীয় ছাত্র কল্যাণ সমিতিগুলোর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। স্বতন্ত্র জিএস পদপ্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়া, যার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, জানান যে তিনি তার এলাকার ভোটারদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন এবং এলাকাভিত্তিক সংগঠনগুলো নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩টি বিভাগ এবং টিএসসি কেন্দ্রিক বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও নির্বাচনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। নিজ বিভাগের প্রার্থীর পক্ষে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় প্রচারণা চালাচ্ছেন। যেমন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকেই এবার ২৫ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যা বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাও নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব ঘটনা নির্বাচনের তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশকেই তুলে ধরছে।

শিক্ষার্থীদের প্রধান চাহিদা নিরাপদ ক্যাম্পাস, যোগ্য নেতৃত্ব : আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের জয়ীদের কাছ থেকে নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সঙ্কট নিরসন, মানসম্মত খাবার, সততা, যোগ্যতা ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা এসবই শিক্ষার্থীদের নিকটি প্রধান চাহিদা বিবেচিত হচ্ছে ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পালি অ্যান্ড বুদ্ধিজ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তুহিন বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর প্রথম চাহিদা হলো একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস। যেখানে অনিরাপত্তা বলতে কিছু থাকবে না। ক্যাম্পাস হবে বহিরাগত মুক্ত। রাস্তা পার হওয়ার সময় অন্তত এই কথা চিন্তা করতে হবে না যে কোনো গাড়ি এসে মেরে না দিয়ে যায়। এ ছাড়াও হলগুলোতে আবাসন সঙ্কট এবং মানসম্মত খাবারের সমস্যায় শিক্ষার্থীরা জর্জরিত। যে প্রার্থী একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের প্রতিশ্রুতি দেবেন এবং হলগুলোর সার্বিক সমস্যার সমাধানে কাজ করবেন তাকেই ভোট দেবো ইনশাআল্লাহ।

প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী তুহিন খান বলেন, প্রার্থীকে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে আমার প্রধান অগ্রাধিকার হবে তাদের অতীত কার্যক্রম।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ইশতেহার ঘোষণা, ৮ প্রস্তাবনায় ৫০ দাবি : আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। এতে আটটি প্রস্তাবনায় মোট ৫০ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন বাগছাস সমর্থিত “বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ” প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের, জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ও এজিএস প্রার্থী আশরেফা খাতুন।

ইশতেহারের মূল প্রস্তাবনা : ১. রাজনৈতিক ডাকসুর নিয়মিত নির্বাচন নিশ্চিত, জাতীয় রাজনীতির মহড়া ও ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনা। শিক্ষার্থীদের জন্য হোম টিউটরিং সার্ভিস ঢাকা শহরের শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টিং সার্ভিস; ২. একাডেমিক ও প্রশাসনিক গণতান্ত্রিক সংস্কার, স্বচ্ছ নিয়োগ নীতিমালা, ওয়ান স্টপ সলিউশন, পেপারলেস প্রশাসন, এলএমএস বিস্তার, ডিজিটাল ক্লাসরুম, ল্যাব আধুনিকায়ন, শিক্ষক মূল্যায়ন, নতুন স্টাডি স্পেস, ক্রেডিট ট্রান্সফার এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে সিসিটিভি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা; ৩. শিক্ষার্থী কল্যাণ (স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার)“ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস” চালু, ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান সিট নীতি বাস্তবায়ন, আবাসন সঙ্কট নিরসনে ভর্তুকি ও এটাচমেন্ট, স্বাস্থ্যবীমা, মেডিক্যাল সেন্টার আধুনিকায়ন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপে সুদবিহীন ঋণ। শিক্ষার্থীদের জন্য হোম টিউটরিং সার্ভিস; ৪. শিক্ষার্থীর মর্যাদা (স্টুডেন্ট ডিগনিটি) দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাবসহ পোশাক ও আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে মোরাল পুলিশিং রোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং ভিন্ন ধর্ম, জাতিসত্তা ও মাদরাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ উপলক্ষে চার দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ উপলক্ষে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

ডাকসু নির্বাচনে নতুন ৪ সিদ্ধান্ত : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে নতুন চারটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছ। গতকাল শনিবার চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গৃহীত ৪টি সিদ্ধান্ত হলো : ১) পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

২) বুথের সংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭১০ নির্ধারণ করা হলো। ৩) ভোট গ্রহণের সময় সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত (৮ ঘণ্টা) নির্ধারণ করা হলো। ৪) বিকেল ৪টার মধ্যে ভোটকেন্দ্রের লাইনে যারা থাকবে তারা সবাই ভোট দিতে পারবে।