গাজায় সেবা বাড়াতে প্রস্তুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Printed Edition

আরব নিউজ

ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্থায়ী শান্তির পথে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। এ যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনে নতুন উদ্যমে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ডব্লিøউএইচও গাজার ভয়াবহ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ বাড়াতে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য খাত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ইসরাইলি হামলায় গাজায় বসবাস করা প্রতি ১০ জনে একজন নিহত বা আহত হয়েছেন। প্রতি ১০টি বাড়ির মধ্যে ৯টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। কৃষিজমির ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা উজাড় হয়ে গেছে। গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ নিহত বা আহত এবং হাজার হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। গাজায় আহত প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষের মধ্যে ৪০ হাজারেরও বেশি জীবন-পরিবর্তনকারী গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।

ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ পরিচালনা করে গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে, যেখানে ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনির বসবাস ছিল। মাত্র ৩২০ বর্গ কিলোমিটারের উপত্যকার ওপর এক লাখ টনের বেশি বিস্ফোরক নিক্ষেপ করেছে আইডিএফ।

ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতায় গাজায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইউনিসেফের তথ্য মতে, এ যুদ্ধে ২০ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি শিশু, যাদের মধ্যে অন্তত ২১ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।