কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর ছয় লেন সেতুর অ্যাপ্রোচসংলগ্ন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কয়েক কোটি টাকার অধিগ্রহণকৃত জমি অবৈধভাবে দখল করে মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, সওজের নোটিশ অমান্য করে প্রভাবশালী একটি চক্র এই নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাতামুহুরী সেতুর পূর্ব পাশে সওজ অফিসসংলগ্ন চিরিঙ্গা মৌজার এলএ মামলা নং ১৬/৬৫ (১৯৫৪-৫৫) ও ৩৯/৫৭-৫৮ অনুযায়ী ১.৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ‘ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট (বাংলাদেশ)’ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত জমিও অধিগ্রহণ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এই সুযোগে দুবাই এহেছান ও সোলতান সিরাজী নামের দুই ব্যক্তি সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগসাজশ করে সওজের এই জমি নিজেদের মালিকানাধীন দেখিয়ে পুনঃঅধিগ্রহণের তালিকায় ঢুকিয়ে দেন। এতে দুবাই এহেছান চার কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬৮ টাকা এবং সোলতান সিরাজী তিন কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮৯ টাকা উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালান। এ বিষয়ে জমজম হাসপাতালের এমডি মোহাম্মদ গোলাম কবির জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণ শাখায় অভিযোগ করেন এবং হাইকোর্টে রিট (মামলা নং ৮৮৭৮/১৯) দায়ের করেন। আদালত জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় মোট আট কোটি ৫৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৭ টাকা তারা উত্তোলন করতে পারেননি।
কক্সবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, দুবাই এহেছান সওজের জমিতে অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা তুলছেন এমন প্রমাণ পেয়েছি। তাকে ১৪-১৫ দিন আগে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপনা না সরালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি আরো বলেন, এই এলাকায় এর আগেও একবার উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু দখলদাররা আবার স্থাপনা তুলেছে।



