এসএসসি পাসেই মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্র্যাজুয়েশন শেষে সুযোগ কর্মসংস্থানের

আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
Printed Edition

এসএসসি কিংবা দাখিল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে আধুনিক ও নান্দনিক ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত মালয়েশিয়ার মাহসা অ্যাভিনিউ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ। টিউশান ফি’র ওপর শতভাগ স্কলারশিপে স্বল্প খরচে অ্যাডমিশন নেয়া যাচ্ছে। এক বছর মেয়াদি ফাউন্ডেশন প্রোগ্রামে অথবা সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ স্কলারশিপে সম্পন্ন করা যাচ্ছে আড়াই বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। কোর্স চলাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ৪২টি বিভিন্ন সিস্টার গ্রুপ অব কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ আছে।

প্রতিষ্ঠানটির এক বাংলাদেশী কর্মকর্তা বশির ইবনে জাফর জানান, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সাবজেক্ট এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন একজন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা শেষ করেই কর্মজীবনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে পারেন। পড়াশোনা শেষে দক্ষতার ভিত্তিতে মিলছে কর্মসংস্থানও। ইতোমধ্যে একাধিক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মাহসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

বাংলাদেশীদের জন্য মালয়েশিয়া মানেই লাখ লাখ দক্ষ অদক্ষ শ্রমিকদের অন্যতম শ্রমবাজার। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত মিনিস্টার ও ডেপুটি হাইকমিশনার শাহানারা মনিকা বলেন, শ্রম বাজারের পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় শিক্ষাখাতকে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো সহজ কার্যকর করার জন্য উপদেষ্টার সফরের যৌথ মিটিং এ গ্রাজুয়েট প্লাস ভিসা চেয়েছি। সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং আমরা আশাবাদী এটা শ্রীঘ্রই চালু হবে। মালয়েশিয়ায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ, আন্তর্জাতিক মানের ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরসহ সব সুযোগ সুবিধা, উন্নত জীবনযাপনের অনুকূল পরিবেশ থাকায় বর্তমান বাংলাদেশী প্রচুর শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামিম আহসান বলেন, বর্তমানে মালয়েশিয়ার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক দিয়ে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান এবং খুব শ্রীঘ্রই প্রথম স্থানে পৌঁছব। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক বক্তৃতায় বলেছিলেন বিদেশীদের আমরা আহ্বান জানাব তারা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে এ দেশেই কর্মসংস্থানে যোগ দেবেন এবং আমাদের দেশকে সমৃদ্ধ করবেন।

আর আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে মালয়শিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন এবং এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাতে পারবেন।