ডাচ সিরিজ দিয়ে ব্যস্ত থাকবে টাইগাররা

জসিম উদ্দিন রানা
Printed Edition

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন টানা ব্যস্ততার এক বছর পার করছে। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে যাত্রা শুরু, এর পর থেকে একের পর এক সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করছে আরো রোমাঞ্চকর লড়াই।

বছরের সূচনা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’টি টেস্ট সিরিজ দিয়ে এপ্রিল মাস শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর সাদা বলের লড়াই খেলতে আলাদা সফরে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে। জুনে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে সফর করে শ্রীলঙ্কায়, যেখানে ছিল দু’টি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-২০ ম্যাচ। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলে ফেরা বাংলাদেশ কিছুটা বিশ্রামে যায়।

ভারত না আসায় ডাচদের আগমন

আগস্টে ভারতের বাংলাদেশ সফরের কথা থাকলেও তারা পিছিয়ে যায়। ফলে প্রস্তুতি ম্যাচের খোঁজে নামে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডস রাজি হয় সফরে আসতে। এটাই হবে তাদের প্রথম বাংলাদেশ সফর। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ মাঠে গড়াবে সিলেটে।

এশিয়া কাপের আসর

৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে এশিয়া কাপ। আয়োজক ভারত হলেও ভেন্যু নির্ধারিত হয়েছে আমিরাত। গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা চার দল যাবে সুপার ফোরে, আর সেখান থেকেই নির্ধারিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনালের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

আফগানিস্তান সিরিজ

এশিয়া কাপ শেষে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে মোট ছয় ম্যাচের এই দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। যদিও এটি আফগানিস্তানের হোম সিরিজ, কার্যত আমিরাতেই হবে আয়োজন।

ঘরের মাঠে ফেরা

১৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচের লড়াই হবে মিরপুর ও চট্টগ্রামে।

বছরের শেষ উৎসব

৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিতে লড়বে আয়ারল্যান্ড। ওয়ানডে ম্যাচগুলো স্থগিত থাকলেও নিশ্চিত হয়েছে দু’টি টেস্ট ও তিনটি টি-২০ ম্যাচ।