ক্যারিবীয় সাগরে নৌযানে ফের মার্কিন হামলা, নিহত ৪

Printed Edition

আলজাজিরা

ভেনিজুয়েলার উপকূলসংলগ্ন আন্তর্জাতিক পানিসীমায় একটি ছোট নৌযানে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, নৌকাটি ‘মাদক’ বহন করছিল এবং হামলাটি তার নির্দেশেই পরিচালিত হয়েছে। গত শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ঢেউয়ের ওপর দিয়ে ছুটে চলা একটি নৌকা হঠাৎ বিমান হামলায় আগুনে পুড়ে যায়। হেগসেথ দাবি করেন, নিহতরা ‘মাদক সন্ত্রাসী’ এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে বিপজ্জনক মাদক পাঠাচ্ছিলেন।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে তিনটি পৃথক হামলায় ১৭ জন নিহত হন। প্রতিবারই ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, নৌযানগুলো মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল, যদিও এখনো কোনো প্রমাণ প্রকাশ করা হয়নি। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, এসব হামলা প্রেসিডেন্টের ‘সেনাপতি হিসেবে সাংবিধানিক কর্তৃত্বের’ মধ্যে পড়ে। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে এভাবে টার্গেট হত্যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

জাতিসঙ্ঘ সনদ অনুযায়ী, কেবল সশস্ত্র আক্রমণের জবাবে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করা যায়, মাদক পাচার সেই শ্রেণীতে পড়ে না। মার্কিন প্রশাসন কংগ্রেসে একটি গোপন নথি দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন মাদকচক্রগুলোর সাথে ‘অ-আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সঙ্ঘাতে যুক্ত এবং এসব গোষ্ঠীকে ‘অবৈধ যোদ্ধা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।