১৫ মে ইস্তাম্বুলে কিয়েভ-মস্কো নিঃশর্ত আলোচনার প্রস্তাব

শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের যুদ্ধবিরতি চান জেলেনস্কি

বিবিসি
রয়টার্স
Printed Edition
শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের যুদ্ধবিরতি চান জেলেনস্কি
শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের যুদ্ধবিরতি চান জেলেনস্কি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কিয়েভের সাথে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ আলোচনায় বসবে তবে তার আগে রাশিয়াকে ১২ মে থেকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে। ইউক্রেনের এ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “রাশিয়ানরা যে অবশেষে যুদ্ধ শেষ করার কথা ভাবছে, তা বেশ ইতিবাচক লক্ষণ। সমগ্র বিশ্ব অনেক দিন ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছে। আর যেকোনো যুদ্ধ থামানোর প্রথম ও জরুরি শর্তই হলো যুদ্ধবিরতি।”

এর আগে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতারা মস্কোকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানোর পর কিইভকে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তার প্রস্তাব, ১৫ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মুখোমুখি বসা এবং ওই আলোচনার লক্ষ্য হওয়া উচিত টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ইউক্রেইনের যুদ্ধের পেছনে থাকা মূল কারণগুলো দূর করা। ইউক্রেনে রাশিয়ার দেয়া তিন দিনের এক তরফা যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর রোববার পুতিন এ প্রস্তাব দেন।

এ দিকে জেলেনস্কি বলেছেন, “একটি দিনও মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখার কোনো কারণ থাকতে পারে না। আমরা আশা করছি, রাশিয়া আজ ১২ মে থেকে পূর্ণাঙ্গ, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, আর ইউক্রেনও তাদের সাথে বসতে প্রস্তুত।” পুতিনের সরাসরি আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর প্রত্যয় নিয়ে যিনি দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেছেন।

“এই অবিরাম ‘রক্তস্নান’ শেষ হবে বলে আশা করছি, তাহলে কত শত প্রাণ বাঁচবে ভাবুন। এটা হবে পুরোপুরি নতুন এবং অনেক চমৎকার একটি বিশ্ব,” দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনায় বসা নিশ্চিত করতে কাজ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে বলেন ট্রাম্প। এ দিকে জেলেনস্কির মন্তব্যের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি আলোচনা শুরু করতে হলেও ‘আগে যুদ্ধবিরতি দরকার’।

তিনি এবং ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশের শীর্ষনেতা শনিবার কিয়েভে একত্রিত হয়ে রাশিয়াকে সোমবার থেকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে মস্কোকে ‘ব্যাপক’ নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তারা। ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি, এখন রাশিয়ার দিক থেকেও একই ধরনের ‘প্রতিক্রিয়া আশা করছেন’ তারা। “যখন অস্ত্র কথা বলে তখন কোনো আলোচনা হতে পারে না,” বলেছেন তিনি।

জেলেনস্কির গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী আন্দ্রি ইয়ারমাকও বলেছেন, মস্কো-কিইভ সরাসরি আলোচনার আগে রাশিয়াকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে। “প্রথমে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি, তারপর বাকি সব। রাশিয়া যেন কথার খেলা দেখিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা না করে,” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধান ইয়ারমাক।