বিএসটিআইয়ের অভিযানে জব্দকৃত কসমেটিকসে আড়াই হাজার গুণ বেশি ক্ষতিকর হাইড্রোকুইনোন

Printed Edition

পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ও নিম্নমানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কসমেটিকস জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কসমেটিকস বিএসটিআই ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এসব কসমেটিকসে বিএসটিআই নির্ধারিত মানের চেয়ে প্রায় আড়াই হাজার গুণেরও বেশি ক্ষতিকর হাইড্রোকুইনোন পাওয়া যায়। যা স্কিন ক্যান্সারসহ লিভার এবং কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আজ বুধবার বিএসটিআইতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

জব্দকৃত মালামালের নমুনা পরীক্ষায় দেখা যায়, বিএসটিআই নির্ধারিত মান অনুযায়ী হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা থাকতে হবে সর্বোচ্চ ৫ মি.গ্রাম/কেজি কিন্তু রিপোর্টে আড়াই হাজার গুণেরও বেশি হাইড্রোকুইনিন পাওয়া যায়। ল্যাবে পরীক্ষাকৃত এনসাইন ব্র্যান্ডের স্ক্রিন ক্রিমে ১৩৯৬৮.৩ মি.গ্রাম/কেজি যা বিএসটিআই নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় ২৭৯৩ গুণ বেশি। এ ছাড়া স্কিনলাইট ব্র্যান্ডের স্ক্রিন ক্রিমে ১২১৭৫.৭০ মি.গ্রাম/কেজি, স্কিনসাইন ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ১২৩২৫.৩৯ মি.গ্রাম/কেজি, নো স্কেয়ার্স ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ১২৪৫২.৯৫ মি.গ্রাম/কেজি, মাইফেয়ার ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ১১৮৭১.১৪ মি.গ্রাম/কেজি, ইলোসন-এইচটি ব্র্যান্ডের স্ক্রিন ক্রিমে ১২১০৮.৬১ মি.গ্রাম/কেজি, মিরাকল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ১১৯১৬.১৯ মি.গ্রাম/কেজি, স্কিন সাইন ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ১১৩৫৪.২৬ মি.গ্রাম/কেজি, স্কিন সানরাইজ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ১১৮৪৩.৫৯ মি.গ্রাম/কেজি হাইড্রোকুইনোন পাওয়া যায়। বিজ্ঞপ্তি।