মামদানি জয়ী হলে নিউ ইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের

Printed Edition
নিউ ইয়র্কে নির্বাচনী প্রচারণায় জোহরান মামদানি : এএফপি
নিউ ইয়র্কে নির্বাচনী প্রচারণায় জোহরান মামদানি : এএফপি

নয়া দিগন্ত ডেস্ক

নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি জনমত জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুয়োমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার শুরু হওয়া ভোটগ্রহণের আগে প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপে মামদানি পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ সমর্থন, যেখানে সাবেক গভর্নর কুয়োমো পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ এবং রিপাবলিকান নেতা স্লিওয়া মাত্র ১৪ শতাংশ। আলজাজিরা।

মামদানি নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তার প্রচারণার মূল প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্রি চাইল্ডকেয়ার, বিনামূল্যে বাসযাত্রা এবং ভাড়ার উপর স্থগিতাদেশ। তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্কের শ্রমজীবী মানুষদের জন্য একটি মানবিক শহর গড়াই আমাদের লক্ষ্য।’ নির্বাচিত হলে মামদানি হবেন নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র। অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু কুয়োমো, যিনি এক সময় নিউ ইয়র্কের গভর্নর ছিলেন, ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে মামদানির কাছে পরাজিত হয়ে এখন স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুয়োমো তার অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতার ওপর জোর দিচ্ছেন এবং শহরের নিরাপত্তা ও ব্যবসায়িক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্ককে আবার কার্যকর ও নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া, যিনি গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলস প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত, তার প্রচারণায় অপরাধ দমন ও পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন। তবে তার সমর্থন তুলনামূলকভাবে কম। এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কুয়োমোকে সমর্থন দিয়েছেন এবং মামদানিকে ‘চরম বামপন্থী’ বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মামদানি জয়ী হলে নিউ ইয়র্কের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। মামদানি এই সমালোচনার জবাবে বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের আন্দোলন দেখে ভয় পেয়েছেন, কারণ আমরা বাস্তব সঙ্কটের সমাধান নিয়ে এসেছি।’ নির্বাচনের আগেই সাত লাখ ৩৫ হাজারের বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন, যা ভোটার আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকদের মতে, মামদানি তরুণ ও প্রগতিশীল ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়, তবে চূড়ান্ত ফল নির্ভর করবে ভোটার উপস্থিতি ও শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তের ওপর। নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন শুধু শহরের ভবিষ্যৎ নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। মামদানি, কুয়োমো ও স্লিওয়ার মধ্যে প্রতিযোগিতা এখন শেষ পর্যায়ে, এবং ৫ নভেম্বরের ফলাফল নির্ধারণ করবে শহরের পরবর্তী নেতৃত্ব কে হবেন।