রয়টার্স
চীন সরকার জানিয়েছে, তারা তাইওয়ান পুনঃএকত্রীকরণের ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা ‘একেবারেই বাতিল করছে না’। চীনের এমন ঘোষণা অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরো বাড়াতে পারে। চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দফতরের মুখপাত্র পেং ছিং’এন গতকাল বুধবার বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পুনঃএকত্রীকরণ আমাদের মূল লক্ষ্য হলেও, আমরা বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা একেবারেই বাতিল করছি না’।
এই বক্তব্যটি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ বার্তার বিপরীতে অনেক কঠোর অবস্থান তুলে ধরেছে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে এবং কখনোই দ্বীপটির স্বাধীনতা মেনে নেয়নি। যদিও ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ মডেলের আওতায় শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলা হয়, তবে চীন কখনোই বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা পুরোপুরি অস্বীকার করেনি। তবে এমন সরাসরি ও প্রকাশ্য হুমকি সাধারণত বিরল।
এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে এবং চীন তাইওয়ানের ওপর সামরিক চাপ বাড়াচ্ছে। চলতি মাসেই চীন তাইওয়ান ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে, যা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
চীনের সাম্প্রতিক অবস্থান তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তিনটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘পুনঃএকত্রীকরণের’ পর তাইওয়ানের সামাজিক ব্যবস্থা ও জীবনধারা সম্মান করা হবে, এবং ‘দেশপ্রেমিক’ নেতারা দ্বীপটি পরিচালনা করবেন। কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ বার্তার বিপরীতে পেং ছিং এনের হুঁশিয়ারি চীনের দ্বৈত কৌশলকে স্পষ্ট করে।



