রংপুরে অর্ধ কোটি টাকার ভেজাল গুড় ধ্বংস, ২ লাখ টাকা জরিমানা

Printed Edition

রংপুর ব্যুরো

রংপুরে ভোজাল গুড় কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২৪ মেট্রিক টন গুড় ও তিন টন পচা মিষ্টি ধ্বংস এবং মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ধ্বংস করা ভেজাল গুড় ও পচা মিষ্টির বর্তমান বাজার দর ৫৪ লাখ টাকার বেশি।

গতকাল বিকেলে নগরীর দর্শনা সূত্রাপুর এলাকার বাবা-মায়ের দোয়া গুড় কারখানায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণা কর্মকর্তা রুনায়েত আমিন রেজা, জেলা স্বাস্থ্য স্যানিটারি অফিসার মাহবুবার রহমান, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা লোকমান হোসেন। তাদেরকে সহযোগিতা করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ।

অভিযানের সময় ৬০ কেজি ওজনের ৪০৯টি টিন ভর্তি ২৪ হাজার ৫৪০ কেজি ভেজাল গুড় এবং ৭০ কেজি ওজনের ৪০টি ড্রামে দুই হাজার ৮০০ কেজি পচা মিষ্টি এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকারক রাসায়নিক, পচা চিটাগুড়, কারখানায় ব্যবহৃত রং এবং ভেজাল চিনি দিয়ে হাতেনাতে গুড় উৎপাদন কার্যক্রম ধরে ফেলেন। পরে কারাখানাটি সিলগালা করে মালামালগুলো ধ্বংস করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় নিরাপদ খাদ্যা নিরাপত্তা আইনে কারখানার মালিক নুর মোহাম্মদকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে মালিক নুর মোহাম্মদ দুই লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

কারখানার মালিক নুর মোহাম্মদ জানান, ‘তিনি আট মাস থেকে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির চেষ্টা করছেন। সারা দেশেই ভেজাল চলছে। আমিও একটু ভেজাল দিয়েছি। পচা মিষ্টি, ভেজাল চিনি এবং কেমিক্যাল ও ফেভার দিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারজাত করছি।’

কারাখানার কর্মচারী আরিফ জানান, ‘যেহেতু এখানে পচা মালামাল দিয়ে গুড় বানানো হয়। সেহেতু কারখানার কোনো শ্রমিক আমরা কখনই এ গুড় খাই না।’

রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারখানায় অভিযান চালাই। এবং হাতেনাতে ভেজাল গুড় উৎপাদনের সামগ্রী উদ্ধার করে ধ্বংস করেছি। এসব গুড় খেয়ে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। মালিক দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এখানে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছিল।