মুহিব্বুল্লাহ বচ্চন পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিভিন্ন হাটবাজার ও শিাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ও চলাচলের রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিার্থীসহ পথচারীদের মধ্যে। গত কয়েক বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে এসব প্রাণীর ভ্যাকসিন কার্যক্রম। দিন দিন বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে নারী, শিশুসহ হাজারো মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেয়ার ভ্যাকসিন।
জানা যায়, বেওয়ারিশ কুকুরসহ জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস ছড়ায় এমন প্রাণীর প্রতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভ্যাকসিন দেয়ার কথা থাকলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এ ধরনের কোনো কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ রেখেছে। এজন্য কুকুর, বিড়াল, শিয়াল বেজিসহ জালাতঙ্ক রোগ ছড়ায় এমন প্রাণীরা কাউকে আঁচর বা কামড় দিলেই ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। তা ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন যাবৎ জলাতঙ্ক রোগের কোনো ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে পাকুন্দিয়া পৌর সদর বাজারসহ মির্জাপুর বাজার, পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের আশপাশে ঘুরে দেখা যায়, একেক স্থানে ১০ থেকে ২০টি পর্যন্ত কুকুর জড়ো হয়ে আছে। স্কুল-কলেজের শিার্থী তথা পথচারী দেখলেই তেড়ে আসছে। ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে কেউ কেউ দৌড়ে পালাচ্ছে। স্কুল-শিার্থী মারিয়া বলেন, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই ১০-১২টি কুকুর একসাথে হাঁটে এবং বসে থাকে। অনেকটা ভয় নিয়ে কুকুরদের সামনে দিয়ে রাস্তা পার করতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নূর-এ-আলম খান জানান, আমাদের হাসপাতালে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেয়ার মতো কোনো ভ্যাকসিন নেই। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভ্যাটেনারি সার্জন ডা: তামান্না দিলশাত রিমি জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে উপজেলার সব ইউনিয়নে এ ধরনের প্রাণীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার প্রকল্পটি কয়েক বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে। পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার রিফাত জাহান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



