নয়া দিগন্ত ডেস্ক
২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাজলো ক্রাসনাহোরকাই। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে রয়েল সুইডিশ একাডেমি তার নাম ঘোষণা করে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও শিল্পের শক্তি দেখানো তার প্রভাবশালী ও দূরদর্শী সাহিত্যকর্মের জন্য’ এ বছর তিনি সাহিত্যে নোবেল পেলেন। লাজলো ক্রাজনাহরকাই ডিস্টোপিয়ান ও বিষণœতাময় উপন্যাসগুলোর জন্য খ্যাত। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আছে, সাটানট্যাঙ্গো, দ্য মেলানকোলি অব রেজিস্ট্যান্স। এগুলো পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি ২০১৫ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার এবং ২০১৯ সালে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড ফর ট্রান্সলেটেড লিটারেচার জেতেন।
লেখক লাজলো ক্রাসনাহোরকাই ১৯৫৪ সালে রোমানিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব হাঙ্গেরির ছোট শহর জিউলাতে জন্মগ্রহণ করেন। জিউলার মতোই একটি প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল হলো ক্রাসনা হোরকাইয়ের প্রথম উপন্যাস সাতানটাঙ্গোর (১৯৮৫ সালে প্রথম প্রকাশিত) প্রেক্ষাপট।
এই উপন্যাসে উঠে এসেছে হাঙ্গেরির একটি গ্রামীণ পরিত্যক্ত সমবায় খামারে বাস করা দরিদ্র কিছু মানুষের কথা। সমাজতন্ত্রের পতনের ঠিক আগমুহূর্তে যারা অনিশ্চয়তা ও নিরাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সাতানটাঙ্গো হাঙ্গেরির সাহিত্য জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। লাজলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের ব্রেকথ্রু উপন্যাস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এই বইটি। তার দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য মেলানকোলি অব রেজিস্ট্যান্স (১৯৮৯ সালে প্রকাশিত, ইংরেজি অনুবাদ ১৯৯৮) পড়ে আমেরিকান সমালোচক সুসান সোনট্যাগ তাকে বলেছিলেন সমসাময়িক সাহিত্যের ‘অ্যাপোক্যালিপসের মাস্টার’।
১৯০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে ১১৭ বার। সাম্প্রতিক বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন অ্যানি এরনো, বব ডিলান, আবদুলরাজাক গুরনাহ, লুইজ গ্লিক, পিটার হান্ডকে, ওলগা তোকারচুক ও হান কাং। লাজলো হাঙ্গেরির নোবেল জয়ী দ্বিতীয় সাহিত্যিক। ২০০২ সালে সে দেশের ইমরে কার্তেজ নোবেল সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।