অন্ধ হাফেজের জন্য সাহায্যের আবেদন

Printed Edition
অন্ধ হাফেজের জন্য সাহায্যের আবেদন
অন্ধ হাফেজের জন্য সাহায্যের আবেদন

জন্মের মাত্র চার বছর পরই চোখের আলো হারিয়ে ফেলেন চান সওদাগর। গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে নিভে যায়। তবে আলোর অভাবে থেমে যায়নি তার জীবনসংগ্রাম। ব্রেইল পদ্ধতিতে পুরো কুরআন মুখস্থ করে তিনি হয়েছেন কুরআনের হাফেজ। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের আমখাওয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা চান সওদাগর (৫৫)। এই গ্রামে একটি ভাঙা কুঁড়েঘরে বসবাস করছেন। পলিথিন আর পুরনো কাপড় মোড়ানো ঘরে পার করছেন তার জীবনের শেষ অধ্যয়। দৃষ্টিহীনতায় কোনো দিনও তাকে পরাজিত করতে পারেনি। সহানুভূতির আশায় হাত না বাড়িয়ে সম্মানের সাথে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। স্থানীয় লোকজন জানায়, চান সওদাগরের একমাত্র ভরসা ছিল ব্রেইল পদ্ধতির কুরআন শরিফ। সে কুরআন স্পর্শ করে তিনি কুরআনের আলোকে আলোকিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিশুদের কুরআন শিক্ষা দিতেন ব্রেইল পদ্ধতিতে। পাশাপাশি ব্রেইল পদ্ধতিতে বই বিক্রয় করে সামান্য যা আয় হতো, তা দিয়ে চলত তার সংসার। ২০২৩ সালে চান সওদাগর করোনায় আক্রান্ত হন। এ সময় হাতে যা সামান্য সঞ্চয় ছিল, সবই শেষ হয়ে যায় চিকিৎসা ও চলার খরচে। তার এখন একমাত্র চাওয়া একটি নতুন ব্রেইল পদ্ধতির তাফসিরসহ কুরআন মাজিদ অথবা ব্রেইল মেশিনটি মেরামতের জন্য সাহায্য এবং মাথা গোঁজার মতো একটি নিরাপদ ঘর। উপজেলা প্রশাসন প্রায় তিন বছর আগে চান সওদাগরকে একটি ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি পর্যন্তই ছিল শেষ। বাস্তবতায় আর দেখা মেলেনি ঘরের। আর্থিক সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

শিরিনা বেগম, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৬৯৪৯, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি., জামালপুর শাখা। বিকাশ/নগদ নম্বর : ০১৭৬১৫৮৬৭৯১। বিজ্ঞপ্তি।