সাক্ষাৎকার : মাইমুল আহসান খান

নির্বাচনের আগে জরুরি হচ্ছে গণভোট

দেশে তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন হওয়া জরুরি নয়। আগামী বছরের যেকোনো সময় নির্বাচন হলেই হবে। নির্বাচনের আগে জরুরি হচ্ছে গণভোট।

রাশিদুল ইসলাম
Printed Edition

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মো: মাইমুল আহসান খান বলেছেন, দেশে তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন হওয়া জরুরি নয়। আগামী বছরের যেকোনো সময় নির্বাচন হলেই হবে। নির্বাচনের আগে জরুরি হচ্ছে গণভোট। তিনি এও বলেন, ইন্ডিয়া আক্রমণ না করলে ন্যাশনাল সিকিউরিটির কিছু হবে না। বরং ভারতের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচন করাটা হবে বোকামি।

ড. মাইমুল আহসান খান নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নিরাপত্তা ও ভূ-কৌশলগত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি।

নয়া দিগন্ত : গণভোটের এত গুরুত্ব কেন?

ড. মাইমুল আহসান খান : কারণ আমরা তো কোনো কনসেনসাসে নাই। দেশটাকে কিভাবে চালাব, নতুন সংবিধান লাগবে কি লাগবে না, পুরনো সংবিধান অকেজো হবে কি হবে না, কী ধরনের সংবিধান পেতে চাই তা না হলে কোনো সরকার ক্ষমতায় এসে যদি বলে যারা বিপ্লব করেছে এদের আমরা ফাঁসি দেবো, যারা ক্ষমতায় ছিল এরা সবাই অবৈধ, আপনি কি দিয়ে ঠেকাবেন?

নয়া দিগন্ত : এজন্যেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দরকার?

ড. মাইমুল আহসান খান : অবশ্যই। শতভাগ। তা না হলে ইয়ঙ্গার জেনারেশনের জীবন বিপন্ন হয়ে যাবে। আপনার আমার হবে না তার কী গ্যারান্টি?

নয়া দিগন্ত : সব রাজনৈতিক দলই তো দাবি করছে জুলাই আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল।

ড. মাইমুল আহসান খান : তা দাবি করে। কিন্তু এ দেশের মানুষের উল্টে যেতে কতক্ষণ লাগে? একাত্তরে দেখেছি কারা যুদ্ধ করলাম, কারা এসে মুক্তিযোদ্ধা সাজল। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলাম। তখন দেখলাম কারা আন্দোলন করল, কারা ফসল নিলো। আবার যারা ফসল নিলো তারা আবার ভাগ করল। তারপর তারা যে ফসল হারিয়ে ফেলবে সেটা বিশ্বাস করল না। এসব সময়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সরাসরি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছি। এগুলো উল্টে যেতে সময় লাগে না।

নয়া দিগন্ত : রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা থেকে ফিরে আসার পথ কোথায়?

ড. মাইমুল আহসান খান : দেশকে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা থেকে বাঁচাতে হলে, দেশকে একটা স্ট্রিম লাইনে আনতে বড় ধরনের একটা গণভোট আগেই দরকার ছিল। অনেক দেরিতে গণভোট হবে বলা হচ্ছে, তারপরও যদি এটা না হয়, মহাসমস্যায় পড়ে যাব, এটাই ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইস্যু হয়ে যাবে।

নয়া দিগন্ত : গণভোটের মতো একটা কমন ইস্যুতে রাজনৈতিকদলগুলো একাট্টা হতে পারছে না কেন?

ড. মাইমুল আহসান খান : দেখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কিন্তু মোর পাওয়ারফুল দেন প্রাইম মিনিস্টার। প্রেসিডেন্টের তো এখানে কোনো ক্ষমতাই নাই। প্রধান উপদেষ্টাকে যদিও সরকারিভাবে বলছি সরকার প্রধান। প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান সবই। ইন্ডিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তার সমালোচনা করছেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তৈরি বলছেন, তো এটাতো সরাসরি হুমকি। রাজনৈতিক ঐক্য না থাকার কারণে এবং এ সরকারকে বৈধতা দেয়ার ব্যাপারে ঘাটতি থাকায় ভারত হুমকি দেয়ার সাহস পাচ্ছে। প্র্যাক্টটিকালি গণভোট না হলে ইউনূস সরকার অবৈধ হয়ে যাবে।

নয়া দিগন্ত : এরকম একটা পরিস্থিতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, কথা দিচ্ছি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেয়া হবে। রাজনৈতিক সমঝোতা তাহলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে হয়ে গেছে?

ড. মাইমুল আহসান খান : বিএনপিকে ভারত বলেছে যদি ক্ষমতায় আসতে চাও তাহলে এমন কোনো অ্যাকশনে যাবে না আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এটা প্রমিজ করো। প্রণব মুখার্জি বাবুকে যেভাবে প্রমিজ করতে হয়েছে হাসিনা ক্ষমতায় এলে মঈন ইউ আহমেদের চাকরি সে খাবে না। এই প্রমিজ করার পরই সর্বাত্মক ক্ষমতা দিয়ে হাসিনাকে ক্ষমতায় আনা হয় যে মঈন ইউ আহমেদের কোনো সমস্যা নাই। এখনো সেটা চলছে। মঈন ও হাসিনাকে যারা জোট বানিয়ে দিয়েছে, মির্জা ফখরুলকে এখন একইভাবে জোট বানিয়ে দেয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগারদের, যাতে সে রক্ষা করে। যত বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ফখরুল ও আমীর খসরু এরা তিনজন মাস্টারমাইন্ড হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সেফ এক্সিট দিয়েছেন। এমনকি হারুনকেও। বাকিদের কিভাবে সেফ এক্সিট দেয়া যায় ইন্ডিয়া প্রেশার দিচ্ছে এদের ওপর। এরা একটার পর একটা প্রেশার মেনে নিয়েই কাজ করছে। এরা তো আওয়ামী লীগের বি টিম হয়ে গেছে পুরোপুরি।

নয়া দিগন্ত : হাসিনার বিরুদ্ধে খুনের বিচার চলছে, এমন এক সময়ে ফখরুল তাকে দেশে ফিরে এসে জনগণের কাছে হাতজোর করে ক্ষমা চাইতে বলছেন...

ড. মাইমুল আহসান খান : রাজনৈতিক ঐক্য না থাকার কারণেই এটা করা সম্ভব হচ্ছে। দেশদরদী বলেন, অ্যান্টি আওয়ামী লীগার বা ইসলামপন্থী বলেন আমাদের মধ্যে একটা আন্ডারলাইন ইউনিটি ছিল অনেক আগে। সেই ঐক্যকে দ্রুতই নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এরা তো গণভোট বা বিপ্লবী সরকার করল না। চুপ্পুকে রেখে দিলো। কোনো ক্ষমতা না থাকলেও চুপ্পু বা অ্যাটর্নি জেনারেল সবাই তো আওয়ামী লীগের লোক। এরা আমার ছাত্র, এদের ডিএনএ আমি চিনি, কে কোথায় এরা কাদের সাথে কী কাজ করেছে। আওয়ামী লীগারদের ও একই সময় তারেক রহমানকে সহযোগিতা করবে এ গ্যারান্টি চুপ্পুকে দেয়ার পর সে অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ পেয়েছে। এসব কাজ যে হচ্ছে এনসিপির ছেলেমেয়েরা দেখি সব জানে। কিন্তু ওরা তো এখনো ছেলেপেলে রয়ে গেছে এবং ওদের কোনো মুরব্বি নাই, ওরা মুরব্বি ধরতেও জানেনি। এখন পর্যন্ত গণভোটটা করতে পারে নাই। দু’দিন পর হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে না যাবজ্জীবন দেবে এমন শলাপরামর্শের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। মির্জা ফখরুল হাসিনাকে মাফ চেয়ে ইলেকশনে আসতে বলছেন।

নয়া দিগন্ত : ভারত যে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের কথা বলে, এসবই কি সেই মহাপরিকল্পনার অংশ?

ড. মাইমুল আহসান খান : অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই।

নয়া দিগন্ত : এ থেকে মুক্তির উপায় কী, সাধারণ মানুষ এত রক্ত দিলো...

ড. মাইমুল আহসান খান : রক্ততো আমরা বারবার দেই। ৪৭ কিংবা সিপাহি বিদ্রোহ থেকে শুরু করে বাঙালি তো রক্ত কম দিলো না। কিন্তু সমাজকে যারা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত তাদের সমর্থন আমরা বেশি দিন ধরে রাখতে পারি না। যারা সঠিক নেতৃত্ব দেবেন তাদেরকেও ক্ষমতায় রাখতে পারি না। কৌটিল্য অর্থনীতি থেকে শুরু করে বাংলাদেশ বিরোধী ও বাঙালি বিরোধী একটা বিশাল চক্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএস পরবর্তী সময়ে বিজেপি এরা ১০০ বছর ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। শেরেবাংলা সেই কবে আরএসএসের সাথে কথা বলে যখন বুঝল সর্বনাশ করবে এরা, তখন তাদের নিউট্রালাইজ করার জন্য তিনি বললেন, তোমরা আমার সাথে ক্ষমতা শেয়ার কর। নেতাজি আরএসএসকে নিউট্রালাইজ করতে গেলে গান্ধী তাকে কংগ্রেস থেকে বের করে দেন। বলেছিলেন, ‘মাই পুওর চাইল্ড’। রবীন্দ্রনাথের মতো ব্যক্তি গান্ধীকে বললেন, নেতাজী তো নির্বাচিত ও পপুলার। তাকে নির্বাচিত পদ থেকে জোর করে বের করছেন, ব্লাকমেইল করে সিগনেচার করিয়ে নিচ্ছেন। এ কাণ্ড করেন না, ভারতের সর্বনাশ হয়ে যাবে। দেশ ভাগ হলে তখন গান্ধী বললেন, কংগ্রেস নিষিদ্ধ করে দাও। আরএসএসকে প্রধান দল বানাও। তখন বুঝা গেল গান্ধী কী জিনিস। তো আমরা তো বুঝছি না, মাঝে মাঝে অবাক হই এ জাতি এত স্যাক্রিফাইস করে কিন্তু অগ্রসর হতে পারে না।

নয়া দিগন্ত : তাহলে এখন গণভোটই প্রথম সমাধান?

ড. মাইমুল আহসান খান : ভারত তো চেয়েছিল মঈন ইউ আহমেদের মতো একটা মিলিটারি সরকার। ইউনূসের জাতিসঙ্ঘ ও বিদেশী যোগাযোগ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। ডিপ্লোমেসির সাহায্যে তিনি তা রুখে দিতে পেরেছেন। এটা বিরাট ব্যাপার। ভারতের আরেকটি প্ল্যান ছিল সিভিল ওয়ার ঘটানো যায় কি না হাসিনা চলে যাওয়ার পর। সেটাও ইউনূসের কারণে ঠেকে গেছে। দুর্ভিক্ষ ঘটানো যায় কি না সেটাও ইউনূস প্র্যাক্টটিক্যালি বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মোকাবেলা করেছেন। প্রান্তিক মানুষকে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এখনো দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কষ্টে আছে। বেকারত্ব নিরসন ও বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমার কেন জানি মনে হয় একটা গণভোট হলে ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। তিনি নির্বাচন করবেন না। নির্বাচনে দাঁড়ানোর মতো লোক তিনি নন।

নয়া দিগন্ত : অন্ধ হলে তো প্রলয় বন্ধ হয় না, গণভোট হলো, বিপ্লবী সরকার গঠন হয়নি, এই আত্মবিস্মৃত রাজনৈতিকদলগুলো রাজনীতিকে কোথায় নিয়ে যাবে? আবার সেই ভারতের সাথে নতজানু অবস্থান?

ড. মাইমুল আহসান খান : না পরিস্থিতি যত খারাপ ছিল আগে এখন ততটা না। তার কারণ বাংলাভাষাভাষী মানুষের একটা চেতনা এসেছে, হিন্দি সংস্কৃতির আধিপত্য ঠেকানো না গেলে বাঙালি জাতি এই পাড়ে, ওই পাড়ে, ত্রিপুরায়, আসামে যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ও দাসত্ব বরণ করতে হবে। মমতার ওপর লেখা একটা বইতে আমি দেখিয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গে একটা অ্যান্টি দিল্লি হিন্দুত্ববাদী একটা ওয়েভ চলছে। যদি মহুয়া মৈত্রীর বক্তব্যগুলো আগাগোড়া দেখেন, সায়নী ঘোষ আছেন, বিজেপি এতই পাজল হয়ে গেছে যে তারা বলছে আমাদের জিতিয়ে দাও আমরাই কাঁটাতার তুলে দেবো। ত্রিপুরায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ বাঙালি। এটাতো আমাদের পেটের ভেতর ঢুকে আছে। ত্রিপুরার মানুষ বলছেÑ বাংলাদেশের মানুষ যদি বিমাতাসুলভ আচরণ করে তাহলে তো আমরা খেয়ে পরেই বাঁচব না। আসামে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে। ওখানে বাঙালিদের ওপর এত বেশি অত্যাচার করা হচ্ছে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী ওখানে গিয়ে বলছেন- আমার কাছে তো এটা ইন্ডিয়া মনে হয় না, এটা বাংলাদেশ মনে হয়। গ্লোবাইজেশনের এ ওয়ার্ল্ডে এসব কিছু অজানা থাকছে না।

নয়া দিগন্ত : গ্লোবালাইজেশনের এ ওয়ার্ল্ডে তো গাজায় মুসলিম নিধন চলছেই?

ড. মাইমুল আহসান খান : গাজাতে দু’টি সমস্যা। দখল করতে করতে জায়গাটা খুব ছোট করে নিয়ে এসেছে ইসরাইলিরা। অনেক মানুষকে মেরে ফেলেছে, বিতাড়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষ, বাংলাদেশের আশপাশে আরো ১৭-১৮ কোটি বাংলাভাষাভাষি মানুষ আছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ কোটি বাঙালি জাতির সাথে ভারতের গুজরাটি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দিল্লির আরএসএসের যে কঠিন পরিকল্পনা এটা শিক্ষিত বাঙালি মাত্রই জানে। জাতিগতভাবে বরং আমাদের জানতে দেরি হয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়রা অনেক আগেভাগেই এটা জানেন। আমাদের ভয় একটাই- যদি ইন্টারনাল ক্যাওয়াসটা টলারেবল থেকে ইনটলারেবল পর্যায়ে চলে যায়।

নয়া দিগন্ত : বাংলাদেশের ব্যাপারে তো ভারতীয় নীতির কোনো পরিবর্তন নেই বরং আগ্রাসী মনোভাব লক্ষ করা যাচ্ছে..

ড. মাইমুল আহসান খান : ভারতের অর্থনীতি ক্রমেই আরো খারাপের দিকে যাবে। ওদের ইলেকশনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচন করাটা হবে বোকামি। এটা বাংলাদেশীরা বুঝতে পারছে না। ইন্ডিয়ান ইলেকশনটা আগে হওয়া জরুরি এ কারণে যে, ভারতীয়রা চাচ্ছে বাংলাদেশে এতকিছু হওয়ার পর নির্বাচনে ভারতপন্থী রাজনৈতিকদলগুলোর জয় হোক। বিএনপির বিজয় মানে অনেকটা ইন্ডিয়ার বিজয় হয়ে যাবে। তাহলে ভারতীয়দের পক্ষে আমাদের যাচ্ছেতাইভাবে হ্যান্ডেল করা সহজ হবে। আর ওদের ইলেকশনটা হয়ে গেলে সেখানে অ্যান্টি আরএসএস শক্তি দাঁড়িয়ে গেলে আমাদের এখানে ইলেকশন হলে এর ওপরে এত চাপ আসত না। এখন যে চাপটা বাংলাদেশের ওপর দিচ্ছে এটা কঠিন চাপ। বুঝেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কি বডি ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলছেন।

নয়া দিগন্ত : আমাদের করণীয়টা কী?

ড. মাইমুল আহসান খান : করণীয়টা হচ্ছে আমাদের নিজেদের পাহারা দিয়ে রাখা যাতে মানুষ শান্তিতে, স্বস্তিতে বসবাস করতে পারে। নিজেরা নিজেদের সাথে মারামারি না করে। এইটা হলেই আমাদের চলবে।