সিংগাইরে সার মজুদ রেখে চড়া দামে বিক্রি, বিপাকে কৃষক

সোহরাব হোসেন, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)
Printed Edition

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের গোলাইডাঙ্গা বাজারে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সারের ডিলার মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সার মজুদ রেখে অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তার মালিকানাধীন চারটি গুদামে প্রচুর সার মজুদ থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সার দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সার সঙ্কটে পড়েছেন প্রকৃত কৃষকরা, ব্যাহত হচ্ছে আবাদ কার্যক্রম।

গত মঙ্গলবার একাধিক ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগের পর মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সে উপস্থিত হয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। গোলাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম জানান, ৩০ বিঘা জমি আবাদের জন্য তার ১৫ বস্তা ডিএপি সার প্রয়োজন। তিন দিন ধরে ঘুরে রাতের অন্ধকারে এক হাজার ৪০০ টাকা দরে মাত্র ছয় বস্তা সার পেয়েছেন তিনি। পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও সার না দেয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আরেক কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ইউরিয়া সার ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হলেও ডিএপি বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ টাকায়, যা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।

গোলাইডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি বাদশা মিয়া বলেন, ‘ডিলাররা সবাই মেমো ছাড়া চড়া দামে সার বিক্রিতে একজোট হয়েছেন। গুদামে প্রচুর সার থাকলেও কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী দিচ্ছে না।’ তিনি আরো জানান, রাতের আঁধারে তাকে কিছু সার দেয়া হলেও কোনো ক্যাশ মেমো দেয়া হয়নি।

অভিযুক্ত ডিলার মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কৃষকদের সার দেয়া হচ্ছে, তবে পর্যাপ্ত দিতে না পারায় তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে।’ তবে তিনি উপস্থিত দুই সাংবাদিককে টাকা দিয়ে বিষয়টি ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, মেমো ছাড়া বা অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।