অনেক আশা নিয়েই এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে গিয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। শিরোপা জেতা হলে তা হলো শততম ট্রফিতে হাত দেয়া। কিন্তু সেমিতেই তাকে স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয়েছিল। হারতে হয়েছিল আলেকজান্ডার জেভরেভের কাছে। সেই যে হারের ধাক্কা তার আর সামলাতে পারছেন না এই সার্বিয়ান। সাবেক এই নম্বর ওয়ান এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারলেন। কাতার ওপেনে বিস্ময়করভাবে প্রথম রাউন্ডে পরাজিত হন মাতেও বেরেত্তিনির কাছে। এরপর পরশু হারলেন ইন্ডিয়ান ওয়েলস ওপেনে। এবার তাকে পরাজয়ের লজ্জা দিলেন বটিক ভ্যান ডার জ্যান্ডস্লুপ। এই ডাচ টেনিসে খেলোয়াড় তাকে সরাসরি তিন সেটেই পরাজিত করেন। ২০০৮ সালের পর টানা তিন ম্যাচে হারতে হলো জোকোভিচকে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পরপর তিন ম্যাচে মাথানত করে মাঠ ত্যাগে বাধ্য হওয়া।
তাহলে কি সোনালি দিন পেছনে ফেলে টেনিস থেকে বিদায়ের করুণ সুর শুনতে শুরু করেছেন এই তারকা খেলোয়াড়টি। পরশু হারের পর বেশ হতাশই ছিলেন তিনি। যদিও ম্যাচোত্তর সংবাদ সম্মেলনে হাসি মুখেই এই কষ্ট আর বেদনার কথা বলছিলেন তিনি। জানান, আমার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার আছে। যা আপনাদের সবারই জানা। তবে গত কয়েক বছর আমি ভালো খেলতে পারছি না। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে ফর্মে থাকতে। আমি আমার প্রত্যাশা মাফিক লেভেলে খেলতে পারছি না। আপনারাও আমার এই পারফরম্যান্স আশা করছেন না। যদিও এক সময়ে আমি একটানা ধারাবাহিকভাবেই ভালো খেলতাম। ৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচ যে শেষের শুরু দেখতে পারছেন এমনটা মনে করছেন টেনিস বিশেষজ্ঞ প্রকাশ অমৃতরাজও।
তাহলে কি মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন ২৪টি গ্র্যান্ডসøাম জয়ী জোকোভিচ। যুগ তাহলে শেষ হয়ে গেছে তার। নাকি সাময়িক এই ধাক্কা সামলিয়ে আবার পুরনো ফর্মে ফিরবেন। হাতে নিতে শুরু করবেন টেনিসের সব ট্রফি। নিকট ভবিষ্যৎই তা বলে দেবে। সাবেক এই নম্বর ওয়ান এখন আছেন র্যাংকিংয়ের সাতে। এ বছর তার খেলা ১১ ম্যাচের মধ্যে হেরেছেন চারটিতে। জয়ের মুখ দেখা অবশ্য সাত খেলায়।



