সাক্ষাৎকার : সালমা আলী

সামাজিক পুনর্বাসন সম্ভব হলে যৌনকর্মী বলে কিছু থাকত না

নারীদের দেহব্যবসা এমন মহামারী আকারে পৌঁছে গেছে যে এতে নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

বিশেষ সংবাদদাতা
Printed Edition

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেছেন, অতীতে বিভিন্ন সরকারের সময় টানবাজার, কান্দুপট্টিসহ বিভিন্ন পতিতালয়ের নারীদের পুনর্বাসন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পুনর্বাসন হলে যৌনকর্মীদের পেশার স্বীকৃতি নিয়ে যে দাবি উঠেছে তা উঠত না। তিনি বিষয়টিকে ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির সাথে দেখে আরো বিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য মীমাংসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সাথে অ্যাডভোকেট সালমা আলী বিভিন্ন হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও বাড়িতে পতিতাবৃত্তির যে ব্যাপক বিস্তার ঘটছে তা কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণের জোর দাবি জানান। নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নারীদের দেহব্যবসা এমন মহামারী আকারে পৌঁছে গেছে যে এতে নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। যুবসমাজের নৈতিকতার অবক্ষয় আরো ব্যাপক আকারে ঘটছে।

অ্যাডভোকেট সালমা আলী। মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাহী প্রধান। নারীর অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষ করে নারীপাচার রোধ এবং প্রবাসী নারীশ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখছেন এ মানবাধিকার নেত্রী। তার সাক্ষাৎকারের চৌম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো।

নয়া দিগন্ত : নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নারীর জন্য ৩০০ সংরক্ষিত আসন, বিয়ে-তালাক, উত্তরাধিকারে সমান অধিকার দেয়ার সুপারিশ, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে ফৌজদারি আইনে অন্তর্ভুক্তসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। এসব দাবি দাওয়াকে আপনি কিভাবে দেখছেন।

সালমা আলী : এগুলো আমাদের সবার যুদ্ধ, অনেক দিনের চাওয়া এবং এসব বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের জাজমেন্টও আছে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সন্ত্রাস রোধের জন্য এসব সংস্কার জরুরি। সংবিধানে নারীদের প্রতিটা ক্ষেত্রে সমান অধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু এগুলোর তো বাস্তবায়ন দরকার। এজন্য রাজনৈতিক পরিবেশ একটা বিরাট ব্যাপার। তবে সংবিধানে পারিবারিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে কিছু করা যাবে না এমন বিধি রয়েছে। কিন্তু বাকিগুলো আমাদের অনেক দিনের দাবি এবং যে সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই কিন্তু মনে করেছে যে এসব যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এখন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো গৃহীত হলে পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার এসে সংসদে তা আইন আকারে পাস করে নিতে পারবে। অতীতে এ নিয়ে অনেক কমিটি হয়েছে, সুপারিশ করা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। এখন এসব বিষয় এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন।

নয়া দিগন্ত : নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে কিছু স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে যেমন যৌনকর্মীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে তাদের কর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এটাকে শিল্প হিসেবে নিলে তো ভবিষ্যতে এখানে বিনিয়োগের সুযোগ নেবে পাচারকারীরা, বিদেশে নারী পাচার বাড়বে, ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিধির সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক বিষয়টি....

সালমা আলী : দেখেন এটা এক বিরাট বিতর্কের বিষয়। এটা যদি কোনো নারীর ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে ডেফিনিটলি জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি। কিন্তু ১৮ বছরের ওপরে বিষয়টি ভিন্ন। আমি আমার জীবনে অনেক নারীকে এ ধরনের পেশা থেকে উদ্ধার করেছি। পুনর্বাসন করেছি, তাদের একটা বড় অংশ রেড লাইট বা নিষিদ্ধ এলাকার মেয়ে। কিন্তু আদালতে যেয়ে দেহব্যবসার স্বীকৃতি যদি কেউ নেয় সেটি অন্য জিনিস। পার্সোনালি আমি কখনো কোনো মেয়েকে সেক্সওয়ার্কার বলি না। কিন্তু কোনো কোনো অ্যাকটিভিস্ট মনে করেন দেহব্যবসার মতো বিষয়টি স্বাধীন। আমি মনে করি, এ ধরনের পেশার ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন দরকার। টানবাজার বা কান্দুপট্টির ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা করা হয় নাই। পুনর্বাসন করা হলে কিন্তু তাদের পেশাকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা আসত না। যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে অবশ্য দ্বিমত আছে।

নয়া দিগন্ত : নারীর যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতির ক্ষেত্রে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কিভাবে আসা যায়?

সালমা আলী : সমস্যা হচ্ছে বাস্তবে নারীকে যৌনকর্ম থেকে ফিরিয়ে আনার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। সত্যিকার পুনর্বাসন সম্ভব হয়নি। যার জন্য নারীকে এ পেশায় থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতার কথা উঠছে।

নয়া দিগন্ত : কিন্তু যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলে তখন তো আর পুনর্বাসনের প্রয়োজন থাকবে না।

সালমা আলী : এ সমস্যার নিরসন করতে হবে চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের মাধ্যমে। সেক্সওয়ার্কার হিসেবে কোনো পেশা যদি নারী নিজে বেছে নেয়, নেয়ার সুযোগ থাকে এবং সামাজিকভাবে যদি এর পুনর্বাসন, নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সেক্সওয়ার্কার বলে কোনো নারীকে আপনি রাস্তা থেকে তুলে জেলে নিয়ে গেলে তা নারীর প্রতি সহিংসতা হবে। এটা চলতে দেয়া যায় না। আবার ১৮ বছরের কোনো মেয়ে যদি স্বেচ্ছায় হোক বা তাকে জোরপূর্বক যৌনকর্মে বাধ্য করা হয় তখন সে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলেও সমাজ তাকে নেয় না। সমাজচ্যুত হয়ে পড়ে। তো সে কোথায় যাবে? এখান থেকে সে হয়তো যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি চায় বা এমন দাবি উঠেছে।

নয়া দিগন্ত : যৌনকর্ম নিয়ে তাহলে বৈধ ও অবৈধ বলে সমাজে কিছু থাকবে না?

সালমা আলী : বাড়িতে বাড়িতে, হোটেলে হোটেলে, গলিতে গলিতে যে যৌনকর্ম চলছে, ব্যবসা চলছে এগুলো বন্ধ করা উচিত। এগুলো সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে।

নয়া দিগন্ত : স্বীকৃতি দিলে নারীকে যৌনকর্ম থেকে সরিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য একটা চাপ সৃষ্টির বাধ্যতামূলক বিষয়টি তো আর থাকছে না।

সালমা আলী : এটা অনেক বড় বিতর্কের বিষয়। পারস্পরিক তর্কবিতর্কের মধ্যে দিয়ে আমাদের একটা গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজে নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে নারীপক্ষ হয়ত একরকম বলবে, নারী পরিষদ আবার অন্য রকম বলবে। আমাদের মহিলা আইনজীবীরা আবার অন্যরকম বলবে। আমরা যতই বিতর্ক করি না কেন, শেষ পর্যন্ত একটা ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে। বিশেষ করে এ ধরনের নারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্যে পুনর্বাসনে বিরাট ধরনের স্কিম নেয়া উচিত।

আমাদের হাতে যেগুলো ধরা পড়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে, রেড লাইট এলাকা, প্রেমের ফাঁদে পড়ে পাচার হয়ে যাওয়া মেয়ে, বিদেশে পতিতালয়ে বিক্রি হয়ে যাওয়া মেয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা আমরা করছি সেফহোমে রেখে। একটা এমএ পাস মেয়েকে তার খালাত ভাই প্রেম করে দুবাইতে নিয়ে গিয়ে রেড লাইট এলাকায় বিক্রি করে চলে গেছে। আমি পার্সোনালি তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে সফল হয়েছি। কিন্তু এ রকম অনেক শিক্ষিত মেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় বাধ্য হচ্ছে। সেই মেয়েগুলো কিন্তু নিজের ইচ্ছায় যায়নি এ পথে। এ দিকটা নিয়ে কাজ করা দরকার। কোনো সরকারই কার্যকর কোনো পুনর্বাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলেনি। কী করবে, খুব বেশি হলে একটা সেলাই মেশিন দিয়ে বসিয়ে দেবে। কিন্তু সে ফের সেই আদিম পেশায় ফিরে গেল কি না বা চক্রান্তে পড়ল কি না তার কোনো ফলোআপ নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই, সবচেয়ে বড় কথা নারীর নির্ভরতার জায়গাটা আমরা তৈরি করতে পারছি না। তারপরও বলব আগের চেয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। আগে যেমন বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের মেয়েদের ফিরিয়ে আনতাম তো অনেকে তাদের ফিরিয়ে নিত না। তাদের আইসোলেটেড রেখে চাকরিবাকরি, এটা-ওটার ব্যবস্থা করতাম। এখন কিন্তু ভিকটিমদের পরিবারগুলো তাদের মেনে নিয়ে গ্রহণ করছে।

নয়া দিগন্ত : এত ভয়াবহ অবস্থা তাহলে কিভাবে রোধ করা যায়?

সালমা আলী : আমি ওপেনলি বলতে পারি, পরিস্থিতি ভয়াবহ। রাজশাহীতে গিয়ে দেখলাম পর্যটনের ওখানে দুটো মেয়েকে নিয়ে এসেছে একটা রুমে। এরপর পুলিশে জানাজানি, সাংবাদিকরা এলো, তারপর পয়সা ভাগাভাগি। এই দুর্নীতি আর সামাজিক অনাচারের সাথে সবাই জড়িত। ঢাকায় ফিরে এসে পর্যটন অফিসে আমি কমপ্লেইন করলাম যে, রাজশাহীতে আপনাদের পর্যটনে উল্টাপাল্টা অনেক কিছু ঘটছে। আসলে সামাজিকভাবে আমরা যদি যার যার দায়িত্ব পালন করি তাহলে সমাজের এই ব্যাপকহারে কলুষিত হয়ে পড়ার বিষয় কিছুটা হলেও রোধ করা যেত। যৌনকর্মকে নেদারল্যান্ডসের মতো আমাদের দেশে পুরোপুরি লিগালাইজ করা যাবে না। চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের মধ্যেই রাখতে হবে। পুনর্বাসনের পথ খোলা রেখে নিয়ন্ত্রণের পথে চলতে হবে।

নয়া দিগন্ত : নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে সম্পদ ভাগাভাগির ক্ষেত্রে নারী-পুরুষকে সমানভাবে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পদ বণ্টনে রাষ্ট্রের কোনো এখতিয়ার কিভাবে থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোতে তো এটা নেই। আমি আমার মেয়েকে সম্পদ বেশি দেবো এটাতে রাষ্ট্রের বলার কী আছে? বরং ইসলাম ধর্মে নারী-পুরুষকে সম্পদ বণ্টনের ভারসাম্যপূর্ণ বিধান রয়েছে, এটাকে সমান ভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে বণ্টন করতে যেয়ে তো সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির শঙ্কা থেকে যায়।

সালমা আলী : আপনি যদি আপনার সম্পদ জীবদ্দশায় কাউকে লিখে দিয়ে যান তো কারো কিছু বলার নেই। কিন্তু ভারতের দিকে তাকান, মেয়েরা শুধু জীবনস্বত্ব পেত, যতদিন বেঁচে থাকবে খালি ভোগদখল করবে। সে দেশে ১৯৫৮-এর পর নারী-পুরুষ সমান পায়। সংবিধানে যদি নারী-পুরুষ সমান বলা হয়ে থাকে তাহলে অনেকে বলছেন আমার ভাই যে সম্পদ পায় বোন হিসেবে আমি সমান পাবো না কেন। আপনার কাছে ভিন্ন মনে হতে পারে। আপনি যদি দিয়ে যান তো আটকাবে না কেউ। এখন আপনি যদি আপনার সম্পদ সব ছেলেদের দিয়ে যান তো একটা অংশের জন্য আপনার মেয়ে মামলা করতে পারবে। আবার দুই মেয়ের একজনকে দিলেন না অন্যজনকে দিলেন তাহলে যে পেল না ওই মেয়ে মামলা করতে পারবে। আমাদের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে অনেকে ভাইবোনদের মধ্যে ফ্ল্যাট তৈরির পর সমানভাবে ভাগ করে নিচ্ছে। ছয়টা ফ্ল্যাট, তিন মেয়ে ও তিন ছেলে, অনেকে সমান সমান ভাগ করে দিচ্ছে। দিয়ে দেয়, ভাইরাও কিন্তু মাইন্ড করে না। কিন্তু আবার অনেকে আছে ধর্মে যা আছে তা অনুসরণ করে।

নয়া দিগন্ত : কিন্তু ইসলাম ধর্ম যা দিয়েছে নারী ও পুরুষকে পশ্চিমা বিশ্ব কিন্তু তাও দেয়নি নারী-পুরুষকে, বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দিয়েছে। তো ধর্ম আমাদের যা দিয়েছে তারপরও আবার এ নিয়ে বিতর্কে যাচ্ছি কেন?

সালমা আলী : এটা নিয়ে আরো গবেষণা হওয়া দরকার। আমাদের আরো বসতে হবে। আলোচনা করতে হবে। তারপর অর্ডিনেন্স আকারে সুপারিশগুলোকে পরবর্তী সময়ে পার্লামেন্টে বিতর্কের মধ্য দিয়ে এগুলো পাস হবে। সংবিধানে নারী-পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলেছে বলে আমরা মহিলাদের সমতার বিষয়টির ওপর বেশি জোর দিয়েছি। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সংসদে যেখানে নারীদের আরো কাজ করার সুযোগ আছে সে বিষয়গুলো সুপারিশ আকারে আমরা তুলে ধরছি। নারীদের প্রাইভেসির বিষয় রয়েছে। সংবিধান সংশোধনের সমতার কথা বলা হচ্ছে। এসব সুপারিশ না এলে সেক্যুলার একটা সমাজব্যবস্থায় নারীদের অধিকার আমরা কিভাবে নিশ্চিত করব। এখন সুপারিশ করছি আমরা, পরে যে দল ক্ষমতায় আসবে তাদের ওপর আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারব এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য। সবার চাওয়াটাকে সম্মান দিতে হবে আমাদের। কে কী চায় ডিবেট করে যেটা আমাদের জন্য ভালো হয়, ধর্মীয় অনুশাসন থেকে আরম্ভ করে নারীর সমতার দিকটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। আসলে নারীকে সমতা বা সক্ষমতা কয়টা মানুষ দিতে পারে এও ভাবতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে বিতর্কের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং কোন সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির বাইরে থেকে গ্রহণযোগ্য ফয়সালায় আমাদের পৌঁছাতে হবে।