দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি

Printed Edition

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বের কয়েকটি বড় বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক সাইবার হামলার পর দেশে সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপ (বেবিচক)। সাইবার হামলা প্রতিরোধে সংস্থাটি ১০টি বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে, যা ইতোমধ্যে সব বিমানবন্দর প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহবুব খানের স্বারিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সম্প্রতি সাইবার হামলা হয়েছে। এ ধরনের হামলা থেকে বাংলাদেশকে সুরতি রাখতে বিমানবন্দরগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সব অফিসিয়াল ডিভাইসে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, সন্দেহজনক ই-মেইল বা লিংক খোলা যাবে না, সফটওয়্যার ও অ্যান্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা, অফিসিয়াল কম্পিউটারে ব্যক্তিগত অ্যাপ ইনস্টল না করা এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (গঋঅ) ব্যবহার নিশ্চিত করা।

এ ছাড়া কোনো সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে তাৎণিকভাবে বেবিচকের সিএএবি সার্ট টিম, আইটি বিভাগ এবং জাতীয় সাইবার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম (ঈওজঞ)-কে অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে সাইবার হামলার ঝুঁকি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে জানানো হয়, সম্প্রতি লন্ডনের কয়েকটি বিমানবন্দরে সাইবার হামলার কারণে ফাইট পরিচালনা বন্ধ রাখতে হয়েছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেেিত বাংলাদেশও আগাম সতর্কতা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য, গত মাসে বেবিচকের নিজস্ব ওয়েবসাইটও সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল। যদিও বড় ধরনের তি হয়নি, তবে কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। পরে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা বেবিচকের সাইবার ঝুঁকি মূল্যায়ন করে এবং দ্রুত একটি বিশেষায়িত সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পরামর্শ দেয়।

বেবিচক বলছে, বিমানবন্দরগুলোতে শুধু ডিজিটাল নয়, ফিজিক্যাল নিরাপত্তা জোরদার করাও জরুরি। তাই আইটি বিভাগ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা ও বিমান নিরাপত্তা ইউনিটগুলোকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের বড় বড় বিমানবন্দর যেমন হিথ্রো, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও দুবাই সম্প্রতি হ্যাকিং চেষ্টার মুখে পড়েছে এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি আগেভাগে নেয়া একটি ইতিবাচক ও সময়োপযোগী পদপে।