আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য এইচএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে গতকাল এসব তথ্য জানা গেছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০২৩ সালের নীতিমালা বাদ দিয়ে তার আদলে করা হচ্ছে নতুন পর্যবেক্ষক নীতিমালা। আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন সংস্থার ২০ হাজারেরও বেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন। নীতিমালা অনুযায়ী এইচএসসি বা সমমান পাস করলেই সে সময় পর্যবেক্ষক হওয়ার সুযোগ ছিল।
পর্যবেক্ষণের বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তাতে দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক বিষয়ে সুপারিশ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও পর্যবেক্ষণ নীতিমালাসহ ৯টি বিষয়ে প্রস্তাব চেয়ে ইসি সচিবকে চিঠি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মতামত নিয়ে এপ্রিলের শুরুতে সার্বিক বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর কথা রয়েছে।
সংস্কার নীতিমালার নতুন খসড়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো: আনোয়ারুল ইসলাম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যবেক্ষক নীতিমালায় মূলত শিক্ষাগত যোগ্যতার একটি বিষয় এসেছে। আগে এসএসসি পাস ছিল, এবার পর্যবেক্ষক হতে এইচএসসি পাস হতে হবে। একটা লেভেল মেনটেইন করার জন্য এটা নির্ধারণের পক্ষে মত দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ যিনি করবেন তার অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা মিনিমাম লেভেলে না থাকলে তো হবে না। কাউকে খাটো করার জন্য নয়। অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন মিনিমাম থাকলে ভালো হয়, আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা ভালো হয়।
এই ইসি বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া বাকি সব আগের নীতিমালার মতোই নতুন পর্যবেক্ষক নীতিমালা করা হবে। সে অনুযায়ী সব সংস্থা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবে। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়া হবে। তিনি জানান, নাম সর্বস্ব, ভূঁইফোড় কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর সাথে পর্যবেক্ষকদের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্টতা রয়েছে- সেসব বিষয়েও নজর রাখবে ইসি।