আব্দুল আজিজ, জয়দেবপুর থেকে (গাজীপুর)
গাজীপুর সদর উপজেলার পাইনশাইল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মির্জাপুর বাজার এখন দখল ও অব্যবস্থাপনার কারণে ধ্বংসের পথে। শত বছরের পুরনো এই বাজারের সরকারি জায়গা ইজারাদারদের যোগসাজশে অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে দোকান ও শূকরের খামার। ফলে জায়গার সঙ্কটে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে নদীর ভেতর ও সড়কের ওপর দোকান বসাচ্ছেন। অবৈধ দখল, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায় হারিয়ে যাচ্ছে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই বাজার যা একসময় গাজীপুরের প্রাণবন্ত বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল।
প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকা ইজারা রাজস্ব সরকার পেয়ে থাকলেও বাজারে নেই দৃশ্যমান উন্নয়ন। বিশেষ করে বুধবার হাটের দিনে হাজারো মানুষের ভিড় হলেও নেই পাবলিক টয়লেট, বিশুদ্ধ পানি বা সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। মির্জাপুর-জামালপুর আঞ্চলিক সড়কটি বাজারের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের রাস্তা পার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। আন্ডারপাস না থাকায় প্রতি হাটে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট সৃষ্টি হয়। বাজারের পূর্বাংশে কয়েকটি টিনের টল ঘর থাকলেও পশ্চিম প্রান্তে নেই কোনো ছাউনি। বৃষ্টিতে ও রোদে খোলা জায়গায় ব্যবসা চালাতে গিয়ে কষ্টে পড়ছেন দোকানিরা। প্রশাসনের নীরবতায় শত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে বছরের পর বছর। ৩৮৬টি চান্দিনা ভিটির অধিকাংশই চুক্তি নবায়ন ও ইজারামূল্য পরিশোধ ছাড়াই দখলদারদের দখলে রয়েছে।
বাজার কমিটির উপদেষ্টা সাজাহান শিকদার বলেন, বাজারের মোট আয়তন প্রায় ৫২ বিঘা (১৭.১৬ একর)। তবে এস এ ও আর এস খতিয়ানে উল্লেখ রয়েছে মাত্র ৩.৭৪ একর, বাকি জমির হিসাব নেই। মির্জাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী জানান, বাজারের জায়গা দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের পদক্ষেপ জরুরি। আমরা উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মাহবুবুল হক জানান, প্রতি বর্গমিটার ৫০ টাকা হারে বাৎসরিক ভাড়া ধার্য থাকলেও বেশির ভাগ দখলদার তা পরিশোধ করে না। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



