- জব্দকৃত বৈদেশিক অর্থ ফেরত দিতে হবে
- ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ মেনে নিতে হবে
কিছু শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কথা মতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিতে রাজি হতে পারে ইরান। পারমাণবিক আলোচনা সম্পর্কে অবগত দুই ইরানি কর্মকর্তা গত বুধবার জানিয়েছেন, তেহরানের জব্দকৃত বৈদেশিক অর্থ ছেড়ে দিলে এবং বেসামরিক কাজে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার মেনে নিলে চলমান পারমাণবিক কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিতে পারে তার।
ওই দুই কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন যদি তেহরানের শর্ত মেনে নেয়, তবে শিগগিরই রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটা সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ আলোচনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে। তবে এই বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি বলেছেন এক কর্মকর্তা। তারা দাবি করছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের শর্ত মেনে নিলে এক বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত রাখবে ইরান।
আর ইতোমধ্যে সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম হয় তারা বিদেশে পাঠিয়ে দেবে নইলে বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য জ্বালানিতে রূপান্তর করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকি মধ্যে পাঁচ দফা আলোচনায় হলেও এখন পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। এর মাধ্যমে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিরোধের অবসান হতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে, ২০১৫ সালের ব্যর্থ চুক্তির বদলে নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগের অঙ্গীকার করতে হবে, কারণ এটির মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ তৈরি হতে পারে। ইরানি কর্তৃপক্ষ যেমন মার্কিন নির্দেশনা মানতে রাজি হয়নি, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগও স্বীকার করেনি। তাদের সব সময় দাবি ছিল, বেসামরিক উদ্দেশ্যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে মার্কিন হস্তক্ষেপ প্রকারান্তরে সার্বভৌমত্বে আঘাতের শামিল।
এ দিকে, ইরানি কর্মকর্তাদের দাবি প্রচারিত হলে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, তেহরানের পক্ষ থেকে এরকম কোনো শর্ত এখন পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে উত্থাপিত হয়নি। এই প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পায়নি রয়টার্স।