ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে পরীক্ষা পেছানোর দাবি সাদিক কায়েমের

সাদিক কায়েম বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ ও প্রচারণার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। তাই আমাদের দাবি, সব পরীক্ষা যেন ৯ সেপ্টেম্বরের পরে নেয়া হয়।’

হারুন ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Location :

Dhaka City
Printed Edition
ঢাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন
ঢাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন |নয়া দিগন্ত

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে পরীক্ষার সময়সূচি পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাদিক কায়েম। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন তিনি।

সাদিক কায়েম বলেন, ‘আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে অনেক বিভাগের পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন ও ফাইনাল-মিডটার্ম পরীক্ষা রয়েছে। নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ ও প্রচারণার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। তাই আমাদের দাবি, সব পরীক্ষা যেন ৯ সেপ্টেম্বরের পরে নেয়া হয়। এটি কেবল আমাদের নয়, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক দাবিও।’ তিনি আরো জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কমিশনকেও এ দাবি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা পেছানোর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি। তার মতে, ডাকসু নির্বাচন শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারা দেশের মানুষের নজরে রয়েছে এবং এর মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হতে যাচ্ছে।

এ ছাড়া সাদিক কায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে বসার জায়গার সঙ্কট রয়েছে, লাইব্রেরি সংস্কার প্রয়োজন এবং ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের দাম অতিরিক্ত বেশি, যা শিক্ষার্থীদের ওপর অযাচিত চাপ সৃষ্টি করছে।

শিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ক্লাসে পাঠদানের মান বাড়াতে হবে। অনেক শিক্ষক পড়াশোনার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে হবে। এখানে যে রাজনীতি করতে চায় এবং যে চায় না সবাই সমান অধিকার ভোগ করবেন।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিবিরের প্যানেলের (জিএস) সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম ফরহাদ (সভাপতি, ঢাবি শিবির) বলেন, কারো লিখিত অভিযোগের জন্য বসে না থেকে বরং যে যখন যেভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে তাকে তখনই নোটিশ করাই নির্বাচন কমিশনের কাজ। যিনি যখন যেভাবে লঙ্ঘন করেছে আমরা সেভাবেই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।

হলগুলোতে কোনো নির্বাচনী প্যানেল না দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ রাজনীতির বাইরে তাই আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের পালস বুঝেই কাজ করি, আমরা তাদের প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়েই সামনে এগোচ্ছি।