গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র নিরাপত্তায় স্পেন-ইতালির যুদ্ধজাহাজ

Printed Edition

আলজাজিরা

গাজায় দীর্ঘ দিন ধরে চলা ইসরাইলি অবরোধ ভাঙতে একাধিক নৌযান নিয়ে ইউরোপ থেকে রওনা হয়েছেন অধিকারকর্মীরা। তাদের মধ্যে একজন পরিবেশবাদী আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ। তবে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে পরিচিত এই নৌবহর এরই মধ্যে একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে নিরাপত্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন ও ইতালি। দেশ দু’টির নৌবাহিনীর জাহাজ এই ফ্লোটিলাকে সুরক্ষা দেবে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, তার দেশের নৌবাহিনী ইতালির সাথে মিলে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে রক্ষার জন্য যুদ্ধজাহাজ পাঠাবে। এই ফ্লোটিলা আন্তর্জাতিক নৌসীমায় গাজায় সাহায্য পৌঁছে দেয়ার পথে ড্রোন হামলার মুখে পড়েছে।

গত বুধবার নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় সানচেজ বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করা আবশ্যক এবং এই সাহায্য অভিযান চালানো ৪৫ দেশের নাগরিকদের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ভূমধ্যসাগরে চলার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, ‘স্পেনের সরকার দাবি করছে যে, আন্তর্জাতিক আইন মানা হোক এবং তার নাগরিকদের নিরাপদভাবে ভূমধ্যসাগরে চলার অধিকার রক্ষা করা হোক।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘আগামীকাল আমরা কার্টাগেনা থেকে একটি নৌযান পাঠাব, যাতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সম্পদ-রসদ থাকবে, যাতে ফ্লোটিলাকে সহায়তা বা উদ্ধার অভিযান চালানো প্রয়োজন হলে তা করতে পারি।’ এ দিকে ইতালির নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি ফ্রিগেট জাহাজ পাঠাবে, যাতে ফ্লোটিলায় যেকোনো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করা যায়। এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো গত বুধবার ফ্লোটিলার ওপর রাতের বেলায় হওয়া হামলার নিন্দা করেছে।

ইতালির দুই বামপন্থী বিরোধী আইনপ্রণেতা এই ফ্লোটিলায় অংশ নিচ্ছেন। এই ফ্লোটিলায় প্রায় ৫০টি বেসামরিক নৌযান রয়েছে, যেগুলো সাহায্য সরবরাহ নিয়ে গাজায় যাচ্ছে এবং ইসরাইল আরোপিত সমুদ্র অবরোধ ভাঙার আশা করছে।