ক্রীড়া প্রতিবেদক
গত ম্যাচেই নিজেদের মারাত্মক ক্ষতি করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল। দুর্বল জর্দানের বিপক্ষে তাদের জেতার কথা ছিল পাঁচ-ছয় গোলে। সেখানে তারা ৩ মিনিটে লিড নিয়ে এরপর ৮৯ মিনিটে গোল হজম করে। যা সাইফুল বারী টিটুর দলকে ১-১-এ ড্র করতে বাধ্য করে। সৌরভী আকন্দ প্রীতি, আলপি আক্তার, পূর্ণিমা মারমা ও মামনি চাকমারা পরিকল্পনা হীন খেলা উপহার দিয়েই জয়ের সুযোগ হারিয়েছিল। ১৩ আক্টোবরের সেই ব্যর্থতার পর চাইনিজ তাইপে প্রমাণ করেছে জর্দান যে দুর্বল দল। তারা ৬-১ গোলে হারায় এই আসরের ‘এইচ গ্রুপের স্বাগতিকদের। এতে চাইনিজ তাইপে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে। আর বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট ভাণ্ডারে জমা করে আছে দ্বিতীয় স্থানে। তবে অর্পিতা বিশ্বাসদের সামনে বিশাল সুযোগ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্বে উঠার। এ জন্য আজ তাদের জিততেই হবে ফিফা র্যাংকিংয়ে ৪২-এ থাকা দলটির বিপক্ষে। উল্লেখ্য, ফিফা র্যাংকিংয়ে জর্দান ৭৬ ও বাংলাদেশ ১০৪-এ অবস্থান করছে।
জর্দানের দক্ষিণ অঞ্চলের পর্যটন শহর আকাবাতে বাংলাদেশ ও চাইনিজ তাইপের এই ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশ আরো দুইবার চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে খেলেছিল। ২০১৬ সালে কৃষ্ণা রানীরা ৪-২ গোলে হারিয়েছিল ঢাকায়। এরপর ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে পরাজিত করে চাইনজ তাইপে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের সেই বাছাই পর্ব হয়েছিল তাজিকিস্তানের দুশানবেতে।
জর্দানের বিপক্ষে জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশ কোচের বক্তব্য ছিল, ‘আমরা দুর্ভাগ্য বশত এই ম্যাচ জিততে পারিনি। সারাক্ষণ লিডে থেকেও শেষ সময়ে গোল হজম।’ আসলে অর্পিতারা সেই ম্যাচে যে যার মতো খেলেছিল উদ্দেশ্য হীন। কোচ টিটুও একজনের বেশি খেলোয়াড় বদল করতে পারেননি।
তাই আজ তাদের বিপক্ষে জয় ছাড়া কোনো চিন্তাই নেই। কোচ টিটু আকাবা থেকে ভিডিও বার্তায় জানান, কোয়ালিফাই করার জন্য চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। আমরা জর্দানের বিপক্ষে চাইনিজ তাইপের খেলা দেখেছি। কিভাবে তাইপের মেয়েরা গোল করেছে দুই অর্ধে তা দেখেছি। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে গোল হজম না করি। সে সাথে কিভাবে গোল করা যায়। মোট কথা আমরা পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলতে চাই।’ আরো জানান, একটি গোলই পাল্টে দিতে পারে পুরো খেলার চিত্র। জিতলেই আমরা কোয়ালিফাই করব। তাই ম্যাচের শুরু থেকেই আমরা সে লক্ষ্যে মাঠে নামব।