সিলেট ব্যুরো
দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ থেকেই সূচিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের জন্য প্রথম যে সভাটি হয়েছিল, সেটি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আয়োজন করেছিল। তাই কেমুসাসকে পাশ কাটিয়ে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় সাহিত্য-সংস্কৃতির মাঝে যে দুর্যোগ চলছে, এজন্য লেখকদের এগিয়ে আসতে হবে। কালচারাল হেজিমনিকে মোকাবেলা করার মাধ্যমেই আমরা আমাদের কালচারাল পলিসি ঠিক করতে পারব।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে ষোড়শ কেমুসাস সাহিত্য সম্মেলন ২০২৫-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত শনিবার রাতে দিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন কেমুসাস শহীদ সোলেমান হলে অনুষ্ঠিত হয়। সংসদের সভাপতি ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খানের সভাপতিত্বে এবং আল ইসলাহ সম্পাদক, সম্মেলন উদযাপন উপকমিটির সদস্য সচিব আহমদ মাহবুব ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো: রিজাউল ইসলাম, কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক সোলায়মান আহসান। ‘সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বিনির্মাণে সিলেটী নাগরীলিপির ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক মোস্তফা সেলিম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেমুসাসের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী।
প্রথম অধিবেশন কবি সম্মেলন বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এবং এতে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ কবিকে পুরস্কৃত করা হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন কেমুসাসের সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী এবং বক্তব্য রাখেন সংসদের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী, বর্তমান সহসভাপতি রুহুল ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী। উদ্বোধন উপলক্ষে লেখক ও কবিদের একটি র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। সাহিত্য সম্মেলন উদযাপন উপকমিটির সদস্য ইশরাক জাহান জেলী ও মিনহাজ ফয়সলের যৌথ সঞ্চালনায় কবি সম্মেলনের প্রথম পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।



