বিশ্বসঙ্গীতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে ৬৮তম আসরের মনোনয়নে শীর্ষে কেন্ড্রিক লামার ও লেডি গাগা। তাদের মধ্যে হবে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। অন্যদিকে আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামার অডিওবুক মনোনয়ন এনে দিয়েছে বড় চমক। পরলোকগত ওস্তাদ জাকির হোসেনের স্মৃতিতে উৎসর্গ করা অ্যালবাম জায়গা করে নিয়েছে গ্র্যামিতে। তবে টেলর সুইফট কিংবা কোল্ডপ্লের নাম নেই কোথাও!
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সর্বাধিক মনোনয়ন পেলেন আমেরিকান র্যা পার কেন্ড্রিক লামার। এবার তার ঝুলিতে এসেছে ৯টি মনোনয়ন। এর মধ্যে রয়েছে ‘জিএনএক্স’-এর জন্য বহুল কাক্সিক্ষত বর্ষসেরা অ্যালবামের মনোনয়ন।
২০২৬ সালের ৬৮তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতটি বিভাগে মনোনীত হয়েছেন আমেরিকান গায়িকা লেডি গাগা। এর মধ্যে ‘মেহেম’-এর সুবাদে বর্ষসেরা অ্যালবাম পুরস্কারের দৌড়ে আছেন তিনি।
গ্র্যামির অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার বিভাগে কেন্ড্রিক লামার ও লেডি গাগা এর আগে পাঁচবার করে মনোনীত হয়েছেন। কিন্তু একবারও কাক্সিক্ষত সোনালি গ্র্যামোফোনটি জিততে পারেননি তারা।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যদি কেন্ড্রিক লামারের হাতে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার স্বীকৃতি ওঠে, তাহলে ‘জিএনএক্স’ হবে ২১ বছর পর এই পুরস্কার পাওয়া প্রথম র্যা প অ্যালবাম। সর্বশেষ ২০০৪ সালে ৪৬তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে হিপ-হপ যুগল আউটকাস্টের ‘স্পিকারবক্স/দ্য লাভ বিলো’ র্যা প অ্যালবাম হিসেবে মূল পুরস্কারটি অর্জন করে। ‘জিএনএক্স’ জিতলে এই পুরস্কারজয়ী প্রথম একক র্যা প শিল্পী হিসেবে ইতিহাস গড়বেন লামার।
গ্র্যামির গত আসরে ‘নট লাইক আস’ অ্যালবামের সুবাদে সর্বাধিক পাঁচটি পুরস্কার জিতেছেন কেন্ড্রিক লামার। আবারো তার বেশি জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন সঙ্গীতবোদ্ধারা।
বর্ষসেরা অ্যালবাম বিভাগে কেন্ড্রিক লামারের অন্যতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকান র্যা পার টাইলার, দ্য ক্রিয়েটরের ‘ক্রোমাকোপিয়া’ ও হিপ-হপ জুটি ক্লিপসের ‘লেট গড সর্ট এম আউট’। এর মধ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ক্লিপসের নতুন অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
গ্র্যামির ইতিহাসে ‘অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’ বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকায় এবারই প্রথম জায়গা পেয়েছে তিনটি র্যা প অ্যালবাম। একই বিভাগে আরো মনোনীত হয়েছে পুয়ের্তোরিকান তারকা ব্যাড বানির ‘দেবি তিরার মাস ফতোস’। এ নিয়ে কেবল দ্বিতীয়বার পুরোপুরি স্প্যানিশ-ভাষার একটি অ্যালবাম এই পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। প্রথমটি ছিল ২০২২ সালে প্রকাশিত ব্যাড বানির অ্যালবাম ‘উন ভেরানো সিন তি’।
এবারের আসরে রেকর্ড অব দ্য ইয়ার ও সং অব দ্য ইয়ার বিভাগে আরো দু’টি মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছে ‘দেবি তিরার মাস ফতোস’। এর মধ্য দিয়ে ব্যাড বানি প্রথম লাতিন শিল্পী হিসেবে গ্র্যামির একই আসরে শীর্ষ তিনটি বিভাগে মনোনয়ন পেলেন।
এবারের আসরে ছয়টি মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যাড বানি। তার সমানসংখ্যক মনোনয়ন এসেছে সাবরিনা কার্পেন্টার ও লিয়ন টমাসের ঘরে। গতবার দু’টি গ্র্যামি পুরস্কার জয়ী আমেরিকান গায়িকা সাবরিনা কার্পেন্টারের ‘ম্যানচাইল্ড’ রেকর্ড অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার ও সেরা পপ সলো পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনীত হয়েছে। তার ‘ম্যানস বেস্ট ফ্রেন্ড’ মনোনয়ন পেয়েছে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার ও সেরা পপ অ্যালবাম বিভাগে।
সেরা নতুন শিল্পী বিভাগে লিয়ন টমাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটিশ তারকা অলিভিয়া ডিন ও লোলা ইয়াং, মেয়েদের ব্যান্ড ক্যাটস আই, পপতারকা অ্যাডিসন রেই। তাদের মধ্যে আরঅ্যান্ডবি সঙ্গীতশিল্পী লিয়ন টমাসের ‘মাট’ জায়গা পেয়েছে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার বিভাগে।
কে-পপের সাফল্য : প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা গান (সং অব দ্য ইয়ার) বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কে-পপ। এগুলো হলো রোজে ও ব্রুনো মার্সের সাড়াজাগানো ‘আপাতে’ ও নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সর্বাধিকবার দেখা অ্যানিমেটেড ছবি ‘কেপপ ডেমন হান্টার্স’-এর মেয়েদের ব্যান্ড হান্টার/এক্সের বিশ্বব্যাপী হিট ‘গোল্ডেন’।
গ্র্যামির ‘বিগ ফোর’ পুরস্কার ভাবা হয় অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার, রেকর্ড অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার ও সেরা নতুন শিল্পী বিভাগ চারটিকে। এগুলোর অন্তত একটির সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নেয়া প্রথম কে-পপ আইডল এখন কোরিয়ান মেয়েদের ব্যান্ড ব্ল্যাকপিঙ্কের অন্যতম সদস্য রোজে। আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী ব্রুনো মার্সের সাথে তার দ্বৈত গান ‘আপাতে’ মনোনীত হয়েছে রেকর্ড অব দ্য ইয়ার ও সং অব দ্য ইয়ার বিভাগে। আশির দশকে প্রকাশিত আমেরিকান গায়িকা টনি বাসিলের কালজয়ী ‘মিকি’ গানে এটি অনুপ্রাণিত। সেরা পপ যুগল/দলীয় পারফরম্যান্স বিভাগেও মনোনয়ন পেয়েছে ‘আপাতে’। এছাড়া গানটির সহ-লেখক অ্যামি অ্যালেন সংরাইটার অব দ্য ইয়ার (নন-ক্লাসিক্যাল) বিভাগে মনোনীত হয়েছেন। ‘আপাতে’ গানের সুবাদে প্রডিউসার অব দ্য ইয়ার (নন-ক্লাসিক্যাল) বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন কানাডার সারকাট। ‘গোল্ডেন’ মোট তিনটি মনোনয়ন পেয়েছে। সেরা সং রিটেন ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে গানটি। এটি গেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ান-আমেরিকান গায়িকা ইজেই, রেই আমি, আমেরিকান র্যা পার অড্রে নুনা। গানটি তৈরি করেছেন ইজেই ও মার্ক সনেনব্লিক। সেরা রিমিক্সড রেকর্ডিং, নন-ক্লাসিক্যাল বিভাগে মনোনীত হয়েছে ডেভিড গেট্টার ‘গোল্ডেন’ রিমিক্স। গ্র্যামির সামনের সারির যেকোনো একটি বিভাগে মনোনীত হওয়া প্রথম অ্যানিমেটেড ব্যান্ড হান্টার/এক্স। ২০০৫ সালে ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী ডেমন আলবার্নের ভার্চুয়াল ব্যান্ড গরিলাজের ‘ফিল গুড ইঙ্ক’ গ্র্যামির সেরা পপ কোলাবেরশন পুরস্কার জিতেছে।
দালাইলামার মনোনয়ন : তিব্বতের আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক নেতা দালাইলামা প্রথমবার গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেয়েছেন। তার ধ্যানের সংগ্রহশালা নিয়ে সাজানো গ্রন্থ ‘মেডিটেশনস : রিফ্লেকশন্স অব হিজ হলিনেস দ্য দালাইলামা’ রয়েছে সেরা অডিওবুক, ন্যারেশন ও স্টোরিটেলিং রেকর্ডিং বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। একই বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতি কেতাঞ্জি ব্রাউন জ্যাকসনের ‘লাভলি ওয়ান : অ্যা মেমোয়ার’, আমেরিকান অভিনেত্রী ক্যাথি গার্ভারের ‘এলভিস, রকি অ্যান্ড মি : দ্য ক্যারল কনোরস স্টোরি’, ফরাসি সঙ্গীতশিল্পী ফ্যাব মরভাঁর ‘ইউ নো ইটস ট্রু : দ্য রিয়েল স্টোরি অব মিলি ভানিলি’ ও দক্ষিণ আফ্রিকান কমেডিয়ান-উপস্থাপক ট্রেভর নোয়ার ‘ইন্টু দ্য আনকাট গ্রাস’।
অভিনয়ের সাথে গান: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বব ডিলানের গান গেয়ে সেরা কম্পাইলেশন সাউন্ডট্র্যাক বিভাগে মনোনীত হয়েছেন কানাডিয়ান অভিনেতা টিমোথি শ্যালামে। নিজের অভিনীত বব ডিলানের বায়োপিক ‘অ্যা কমপ্লিট আননোন’-এর জন্য গানগুলো গেয়েছেন এই তারকা। অন্যদিকে, আমেরিকান অভিনেত্রী সিনথিয়া এরিভো দু’টি মনোনয়ন পেয়েছেন। এর মধ্যে ‘উইকেড’ ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি আরিয়ানা গ্র্যান্ডের সাথে তার গাওয়া দ্বৈত গান ‘ডিফায়িং গ্র্যাভিটি’ সেরা পপ যুগল/দলীয় পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনীত হয়েছে। এছাড়া সেরা অ্যারেঞ্জমেন্ট, ইনস্ট্রুমেন্টাল অথবা আ কাপেলা বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে সিনথিয়া এরিভোর ‘বি ওকে’। সেরা ট্র্যাডিশনাল পপ ভোকাল অ্যালবাম বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে স্যার এলটন জন ও ব্র্যান্ডি কার্লাইলের সম্মিলিত গান ‘হু বিলিভস ইন অ্যাঞ্জেলস’। সেরা সং রিটেন ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া বিভাগে মনোনীত হয়েছে এলটন জনের ‘নেভার টু লেট’।
আনুশকার ডাবল : পণ্ডিত রবি শঙ্করের মেয়ে সেতারবাদক আনুশকা শঙ্কর দু’টি মনোনয়ন পেয়েছেন। সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম বিভাগে মনোনীত হয়েছে তার ‘চ্যাপ্টার থ্রি : উই রিটার্ন টু লাইট’। এছাড়া সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে অ্যালবামটির কাজ ‘ডেব্রেক’। ‘চ্যাপ্টার থ্রি : উই রিটার্ন টু লাইট’ অ্যালবামে আনুশকার সাথে বাজিয়েছেন আলম খান ও সারথি কোরওয়ার। মনোনয়ন পেয়েছেন তারাও।
ওস্তাদ জাকির হোসেনের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ : সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম বিভাগে মনোনীত হয়েছে শক্তি ব্যান্ডের ‘মাইন্ড এক্সপ্লোশন (ফিফটিয়েথ অ্যানিভার্সারি ট্যুর লাইভ)’। এটি হলো ব্যান্ডের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ট্যুরে লাইভ রেকর্ড করা একটি অ্যালবাম। শক্তি ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত তবলা বাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন। গত আগস্টে প্রকাশিত ‘মাইন্ড এক্সপ্লোশন (ফিফটিয়েথ অ্যানিভার্সারি ট্যুর লাইভ)’ তার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। গ্র্যামির সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনীত হয়েছে শক্তি ব্যান্ডের ‘শ্রিনিস ড্রিম (লাইভ)’।
৭ নভেম্বর অনলাইনে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করা হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেকর্ডিং অ্যাকাডেমির সিইও হার্ভি ম্যাসন জুনিয়র। মোট ৯৫টি বিভাগে মনোনীতদের নাম প্রকাশের আয়োজনে অংশ নেন তারকারা। তাদের মধ্যে ছিলেন গতবারের গ্র্যামি জয়ী চ্যাপেল রোন, ডোচি, সাবরিনা কার্পেন্টার, লিজো, স্যাম স্মিথ, নিকোল শেরজিঙ্গার, ক্যারল জি, জন ব্যাটিস্টে। এবারের আসরে নতুন যুক্ত করা হয়েছে সেরা অ্যালবাম প্রচ্ছদ বিভাগ।
টেলর সুইফট কেন মনোনীত হননি : ২০০৬ সালের পর প্রথমবার গ্র্যামির মনোনয়ন তালিকায় বিবেচিত হননি আমেরিকান পপ সুপারস্টার টেলর সুইফট! তার সাম্প্রতিক অ্যালবাম ‘দ্য লাইফ অব অ্যা শোগার্ল’ প্রকাশিত হয়েছে গত অক্টোবরে। ততদিনে এবারের আসরের মনোনয়নের সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩০ আগস্টের মধ্যে প্রকাশিত গান কিংবা অ্যালবামগুলো ৬৮তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। তবে ধারণা করা যায়, ‘দ্য লাইফ অব অ্যা শোগার্ল’ ২০২৭ সালের গ্র্যামিতে নিশ্চিত মনোনীত হবে। এর মধ্য দিয়ে ‘অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’ বিভাগে অষ্টমবারের মতো মনোনয়ন পেতে পারেন তিনি।
গ্র্যামিতে বরাবরই ফেভারিট থাকা কোল্ডপ্লে ব্যান্ড এবারের আসরে জায়গা পায়নি। তাদের দশম অ্যালবাম ‘মুন মিউজিক’ উপেক্ষা করেছেন ভোটাররা যদিও অনেক বিশ্লেষক পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ‘অল মাই লাভ’ গানের জন্য সং অব দ্য ইয়ার বিভাগে জায়গা করে নিতে পারে।
গ্র্যামির মনোনয়ন প্রক্রিয়া : ২০২৬ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের জন্য প্রায় ২৩ হাজার কনটেন্ট জমা পড়েছে। এরমধ্যে সং অব দ্য ইয়ার’ বিভাগে জমা পড়ে সর্বাধিক মোট এক হাজার ১৫টি গান। সবচেয়ে কম (৪৮টি) কনটেন্ট এসেছে বেস্ট কম্পাইলেশন সাউন্ডট্র্যাক ফর ভিজ্যুয়াল মিডিয়া বিভাগে। জমা হওয়ার পর পর্যালোচনা ও যাচাই করে ভোটিং সদস্যদের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া হয়। প্রায় ১৫ হাজার সঙ্গীতশিল্পী, সমালোচক ও সঙ্গীত জগতের পেশাজীবীরা ভোট দিয়ে মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করেন। আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ডিং অ্যাকাডেমির আয়োজনে ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টোডটকম অ্যারেনায় তারকাবহুল অনুষ্ঠানে গ্র্যামির পুরস্কার বিতরণ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্ক শেষবারের মতো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম প্যারামাউন্ট প্লাসে দেখা যাবে এই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন।



