বিনোদন প্রতিবেদক
গতকাল ১৯ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের রমফোর্ডেও মেফেয়ার ভ্যানুতে হয়েছে ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা এবং সাহিত্য সাংস্কৃৃতিক উৎসব। উদীচী যুক্তরাজ্যের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ‘লন্ডন বাংলা বইমেলা এবং সাহিত্য সাংস্কৃতিক উৎসব’-এর প্রধান সমন্বয়ক। লন্ডন থেকে বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে থাকা দেশের প্রখ্যাত তবলা শিল্পী চন্দন দত্ত জানান, যন্ত্রশিল্পী হিসেবে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে তিনি এবং মনোয়ার হোসেন টুটুল ছিলেন। থাকবেন লন্ডনের স্থানীয় মিউজিসিয়ানরাও। আজ এই লন্ডন বাংলা বইমেলায় গানে গানে মুগ্ধ করবেন সাবিনা ইয়াসমিন। সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘এই আয়োজনে আমাকে সম্পৃক্ত রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এর প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা ভাইকে। সেইসাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি লন্ডন বাংলা বইমেলা ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক উৎসবের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সকলকে। এই আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করার জন্য আমি গত ১২ অক্টোবর লন্ডনে এসেছি। এর আগেও আমি লন্ডনে শো করতে এসেছি। তবে এবারের বিষয়টা ব্যতিক্রম। আশা করছি সবার সাথে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, গানে গানে গল্প আড্ডা হবে। সবাইকে আজকের আয়োজনে আসার নিমন্ত্রণ রইল।’ সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আগামী ২৫ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরবেন। চন্দন দত্ত জানান, এই আয়োজনে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে একইমঞ্চে গান গাইবেন কলকাতার প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মৌসুমী ভৌমিক। দিনব্যাপী এই আয়োজনের মধ্যে গানের পর্ব শুরু হবে ৬টা ৩০ মিনিটে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে ভিসা প্রেজেন্টস একটি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাবিনা ইয়াসমিন। তার আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাবিনা ইয়াসমিনকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া হয়। এই আয়োজনটি ছিল শিল্পকলার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় আয়োজন। প্রয়াত বরেণ্য সুরকার-সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষের সঙ্গীত পরিচালনায় এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ সিনেমাতে ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম গান করেন। তবে ১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ও নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘আগুন নিয়ে খেলা’ সিনেমাতে আলতাফ মাহমুদের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘মধু জোছনা দীপালি’ গানটি গাওয়ার মধ্যদিয়ে প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বরেণ্য এই সঙ্গীত শিল্পী ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার’সহ সর্বোচ্চ ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে প্রমোদকার (খান আতাউর রহমানের ছদ্মনাম) পরিচালিত ‘সুজন সখী’ সিনেমাতে গান গাওয়ার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আরো ১৩ বার এই পুরস্কারে ভূষিত হন।