এইচএসসিতে ২০২ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

Printed Edition

নয়া দিগন্ত ডেস্ক

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীায় দেশের ২০২টি শিাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিার্থীও পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৬৫টি, এতে চলতি বছর শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তিন গুণের বেশি বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেশের ১১টি শিা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করে। বাংলাদেশ আন্তঃশিা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির এ ফল প্রকাশ করেন। এ বছর ১১টি শিা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ।

জামালপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার দু’টি কলেজ ও একটি আলিয়া মাদরাসা থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। জানা যায়, জেলার ইসলামপুর উপজেলার মালমারা আলিয়া মাদরাসা থেকে ১৪ জন পরীার্থী পরীায় অংশ নিয়ে একজনও পাস করেনি। এ ছাড়া মেলান্দহ উপজেলার এসএম শিখা মোখলেছুর রহমান কলেজ এবং বকশিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রবাজার রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজেরও পাসের হার শূন্য বলে জানা গেছে।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, জেলার দুটি উপজেলার ছয়টি কলেজের কেউ পাস করেনি। কলেজগুলো হলো- কালীগঞ্জ উপজেলার সোনারহাট উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, শিয়াল খোওয়া কলেজ, দুহুলী এসসি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং কাকিনা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, আদিতমারী উপজেলার গন্ধমরুয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, নামুড়ী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ।

নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, জেলার সৈয়দপুর উপজেলার একটি শিাপ্রতিষ্ঠানের পরীায় অংশ নেয়া একমাত্র শিার্থীটিও অকৃতকার্য হয়েছে। এমন ভরাডুবির ঘটনা এলাকায় ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, এবার দিনাজপুর শিা বোর্ডে ৪৩টি কলেজ থেকে কেউ পাস করেনি। ২০২৪ সালের ফলাফলে শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যা ছিল ২০টি। এই ৪৩টি কলেজে মোট পরীার্থীর সংখ্যা ১৮২ জন। এসব কলেজের মধ্যে নীলফামারী জেলার ১০টি, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি, দিনাজপুর জেলার চারটি, ঠাকুরগাঁও জেলার ছয়টি, লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি, রংপুর জেলার চারটি, গাইবান্ধা জেলার দুটি ও পঞ্চগড় জেলার তিনটি।

ময়মনসিংহ অফিস জানান, ময়মনসিংহ শিা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীায় শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ময়মনসিংহের সাতটি, জামালপুরের দুটি, নেত্রকোনার চারটি এবং শেরপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার ভুটিয়ারকোনা আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নান্দাইলের বরিল্লা কে এ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ত্রিশালের সিটি রয়েল কলেজ, ত্রিশাল আইডিয়াল কলেজ, গৌরীপুর পাবলিক কলেজ, মুক্তাগাছার প্রিন্সিপাল পারভীন জাকির কলেজ, ফুলবাড়িয়ার আলাপসিংহ কলেজ। জামালপুরের বকশিগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রাশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মেলান্দহ উপজেলার এস এম শিখা মোখলেসুর রহমান কলেজ, নেত্রকোনার কেন্দুয়ার গোপালপুর মডেল কলেজ, জনতা আদর্শ মহাবিদ্যালয়, নেত্রকোনা সদরের ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ এবং পূর্বধলার জোবায়দা জহুরউদ্দিন সরকার মহিলা কলেজ। শেরপুর সদরের মন্মথ দে কলেজ এবং নালিতাবাড়ি উপজেলার হীরন্ময়ী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দিনাজপুর শিা বোর্ডের অধীনে নীলফামারী জেলার ১০টি কলেজের কোনো শিার্থী পাস করতে পারেনি। শূন্য পাসের হার কলেজগুলো হলো- নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ সৃজনশীল কলেজ, সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়নখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, একই উপজেলার চেওড়াডাঙ্গী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজ, ডিমলা উপজেলা জিলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাউতারা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডিমলা সীমান্ত কলেজ ও ডিমলা গয়াখড়িবাড়ি মহিলা কলেজ।