ছিলেন ব্যবসায়ী, করতেন সাদামাটা জীবন। কিন্তু ২০০৩ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়েই রাতারাতি জীবনের গতিপথ পাল্টে ফেলেন। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ম্যাজিকে তরতর করে শুধু উপরের দিকেই উঠেছেন। সেই থেকে আর পেছন ফিরে আর তাকাতে হয়নি। হয়ে ওঠেন যশোর আওয়ামী লীগের একক নিয়ন্ত্রণ কর্তা, যার কথার বাইরে গিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে কেউ টিকতে পারেননি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর জেলার রাজনীতিতে গডফাদার হিসেবেও আবির্ভূত হন। দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তখন থেকেই শুরু হয় চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি, জমি দখল, মনোনয়ন ও কমিটি বাণিজ্য প্রভৃতি। নেতিবাচক এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিস্তর অভিযোগও জমা পড়েছে। এভাবেই স্থাবর ও অস্থাবর মিলে অবৈধভাবে অর্জন করেছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। বলছি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের কথা। স্থানীয়রা জানান, রাজনীতিতে অভিষেক হওয়ার আগে মূলত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরিবহন ব্যবসার পাশাপাশি ঠিকাদারিও করতেন শাহীন চাকলাদার। যশোর শহরের এমএম আলী রোডে জার্মান ফার্মেসি নামে ওষুধের দোকানও ছিল তার। তবে তিনি মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই মূলত বিপুল পরিমাণ বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেছেন। চাকলাদারের বিরুদ্ধে সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানির অভিযোগও রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।
শাহীন চাকলাদারের উত্থান যেভাবে : ২০০৩ সালে জেলার আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পেয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন শাহীন চাকলাদার। এর এক বছর পর ২০০৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে দলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠেন। শহর ও আশপাশের এলাকায় গড়ে তোলেন ছোট ছোট সন্ত্রাসী গ্রুপ। জেলার রাজনীতিতে এক ভয়ঙ্কর নাম হয়ে উঠেন শাহীন চাকলাদার। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একটানা যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুর পর যশোর-৬ শূন্য আসনটির ২০২০ সালের উপনির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এমপি হওয়ার পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন শাহীন চাকলাদার। একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে হেন কোনো কাজ নেই তিনি করেননি। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে শুধু অসৌজন্যমূলক আচরণই নয়, হামলা-মারধরের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বহুবার। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কৃষক লীগ নেতা আজিজুল ইসলামের কাছে পরাজিত হলেও যশোরের আন্ডারওয়ার্ল্ডে তার আধিপত্য চুল পরিমাণও কমেনি বলে স্থানীয়রা জানান।
অবৈধ সম্পদের পাহাড় : যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকা এবং কেশবপুরের বিভিন্ন স্থানে শত শত বিঘা নামে বেনামে জমি রয়েছে শাহীন চাকলাদারের। এর বাইরে রাজধানীর কলাবাগান, উত্তরাসহ একাধিক স্থানে তার নামে জমি ও ফ্ল্যাট আছে। মালয়েশিয়া, কানাডাসহ আরো কয়েকটি দেশে শাহীন চাকলাদারের নামে-বেনামে জমি ও বাড়ি আছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ২০০৯ সালের পর চাকলাদার কনস্ট্রাকশন নামের ব্যানারে ঠিকাদারি ব্যবসা করেন তিনি। চাকলাদার স্টোন হাউস, নওয়াপাড়া ও যশোরের পাথরের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। যাবির এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে নিলামে ক্রেতা-বিক্রেতা, যাবির মৎস্য খামারের মাধ্যমে মাছ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, চাকলাদার পাবলিকেশন্সের মাধ্যমে প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং ব্যবসা, গরিব শাহ স্টোন ইন্ডাস্ট্রিজের মাধ্যমে ঢাকার গাবতলীতে পাথরের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। শহরের চিত্রা মোড়ে রয়েছে ১২০ কোটি টাকায় নির্মিত ১৭ তলাবিশিষ্ট পাঁচতারকা হোটেল। পুরাতন কসবা ভৈরব নদীর পাড়ে ১২ কাঠা জমিতে পারনীনা হোটেল, গোহাটা রোডে দৈনিক সমাজের কথা ভবন ও পুরাতন কসবায় চাকলাদার ম্যানশন নামে দোতলা বাড়ি রয়েছে তার। রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট ও জেএস টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট, মহাখালীতে সাততলা বাড়ি ও ডিওএইচএসে একটি ফ্লাট, শাহীনবাগ ও কলাবাগানে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। যশোর শহরে আমঘাট তলায় ৭৫ বিঘা জমি, যশোরের ছাঁছড়া ইউনিয়নের ভাদুরিয়ায় ২০ বিঘার মৎস্য খামার, যশোর বিমান অফিসের পাশে আছে বাড়িসহ জমি, পেট্রোল পাম্প ও ধর্মতলায় জমি রয়েছে তার। এ ছাড়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২০০ বিঘার এড়লের বিল, মাহিদিয়ায় ১০০ বিঘার বিলের জমিসহ এ রকম অনেক জায়গা জমি রয়েছে তার। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রজেক্টেও তার মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে। এভাবে নামে বেনামে কত হাজার কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে সাদা চোখে যার নির্দিষ্ট হিসেব করাও কঠিন। দুদক সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের এই সাবেক এমপি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে যে সম্পদ অর্জন করেছেন তার হিসাব মেলানো দুরূহ। চিত্রা মোড়ে যাবির ইন্টারন্যাশনাল ছাড়াও কাঁঠাল তলায় ‘হোয়াইট হাউস’ নামে একটি সুরম্য অট্টালিকা রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি আত্মীয়স্বজনদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন- এমন তথ্যও উঠে এসেছে।
হলফনামায় গরমিল : ২০১৪ সালে শাহীন চাকলাদার যখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন, তখন তার জমা দেয়া হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ ছিল ১৪ কোটি টাকা, যা মাত্র কাগজে কলমে পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। এদিকে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ দুদকের একটি মামলায় ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও জমা দেয়। ওই মামলায় চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তার ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়া হয়েছে। রায়ের সময় শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সর্বশেষ শাহীন চাকলাদারের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে স্ত্রীর নামে প্রায় ৬০০ ভরি স্বর্ণ ও ব্যাংকে রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। তার স্ত্রী ফারহানা জাহান পেশায় গৃহিণী হলেও যাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫ হাজার শেয়ার রয়েছে। চাকলাদার কনস্ট্রাকশনে দুই লাখ টাকা মূল্যের দুই হাজার শেয়ার রয়েছে। মেয়ে অহনা চাকলাদার ও অন্তরা চাকলাদার এবং ছেলে যাবির চাকলাদারের নামেও রয়েছে অঢেল সম্পদ।
চাঁদাবাজির সিন্ডিকেটে যারা ছিলেন : চাঁদাবাজির সর্বনিম্ন দর ছিল ১০ টাকা, যা নেয়া হতো ইজিবাইকের চালকদের কাছ থেকে। তবে চাঁদার টাকার সর্বোচ্চ কোনো সীমা ছিল না। জমি বিক্রি করতে চাঁদা, ক্রয় করতে চাঁদা, বাড়ি তৈরিতে চাঁদা এবং ইট, খোয়া ও বালু বিক্রির নামেও চলত হরদমে চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজদের কবল থেকে বাদ পড়েননি সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, এমনকি পুলিশ সদস্যরাও। জমি, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়ার অসংখ্য নজির আছে শাহীন চাকলাদারের নিজস্ব বাহিনীর। যশোরজুড়ে শাহীন চাকলাদার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কমিটি বাণিজ্যসহ মাদকের রমরমা ব্যবসা গড়ে তোলেন। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে গড়ে তোলেন বিশাল নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। ওই বাহিনীগুলো শাহীন চাকলাদারের হয়ে পরিচালনা করতেন তারই চাচাতো ভাই সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন এলাহী শাহী প্রমুখ। তাদের দিয়ে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখল, ঘের দখল, জুয়ার আসর দখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা আয় করতে থাকেন শাহীন চাকলাদার। তার বিষয়ে সরকারের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।
যাবির ইন্টারন্যাশনাল দখল ও মাদকের অবৈধ রমরমা ব্যবসা : অভিযোগ রয়েছে, আনোয়ারা বেগম নামে এক স্কুল শিক্ষিকা যশোর শহরের চিত্রা মোড়ে তার জমি দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করতে শাহীন চাকলাদারের সহযোগিতা চান। ওই জমি থেকে আগের দখলদার ও শিক্ষিকাকে উচ্ছেদ করে তিনি নিজেই দখল করে গড়ে তোলেন ১৭ তলাবিশিষ্ট ফাইভ স্টার হোটেল। যার নামকরণ করেন ‘যাবির ইন্টারন্যাশনাল’। সেখানে বার, স্পা সেন্টার বসিয়ে এস্কট সার্ভিস কর্মকাণ্ড চালানো হতো। তার নিয়ন্ত্রিত ওই হোটেলে একটি ক্যাসিনো বারও ছিল। যেখানে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত সময় কাটাতে যেতেন। পাশাপাশি মদ ও জুয়ার আসরে অংশ নিতেন। বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ওই হোটেলে মদ ও মাদকদ্রব্য নিয়ে আসত তার লোকজন। হোটেলটি ঘিরে একসময় জুয়া ও অনৈতিক কাজের রমরমা ব্যবসায়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এমনকি ওই হোটেলে বসে এলাকার বিভিন্ন বিচার-সালিশ ও বড় বড় মামলা মীমাংসার নামে শাহীন চাকলাদার কোটি কোটি টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন। যদিও ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকালে ওই হোটেলে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তখন থেকেই হোটেলটি বন্ধ রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি জমি দখল : বকচরে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, যশোর-নড়াইল রোডের বীজ গোডাউনের সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন তিনি। ফিল্ম স্টাইলে দখল করা যাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের পাশে গাজী ইলেকট্রিকের দোতলা মার্কেটের একটি বড় অংশও দখল করে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪১ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাহীন চাকলাদার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদক সূত্র বলছে, ৪২ কোটি ৪৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। তাঁর ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪১ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়াও ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাহীন চাকলাদারের স্ত্রী ফারহানা জাহানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করা হয়েছে। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে শাহীন চাকলাদার ও তাঁর স্ত্রীর নামে যশোরের ১৭ তলা হোটেল, উত্তরায় ১১ তলা হোটেল ও যশোরের জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত। এর বাইরে শাহীন চাকলাদারের নামে থাকা তিনটি গাড়ি ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা একটি গাড়ি ক্রোকের আদেশ দেয়া হয়। শাহীন চাকলাদারের স্ত্রীর তিনটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শাহীন চাকলাদার আত্মগোপনে চলে যান। এলাকায় আলোচনা আছে, তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারতের কলকাতার নিউটাউনে গিয়ে উঠেছেন। আত্মগোপনে থাকায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে শাহীন চাকলাদারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।



