লন্ডনে গাল গ্যাডটের ছবির শুটিং ঘিরে আইনি বিতর্ক

সাকিবুল হাসান
Printed Edition
লন্ডনে গাল গ্যাডটের ছবির শুটিং ঘিরে আইনি বিতর্ক
লন্ডনে গাল গ্যাডটের ছবির শুটিং ঘিরে আইনি বিতর্ক

যুক্তরাজ্যে গ্যাল গ্যাডট অভিনীত একটি সিনেমার শুটিংয়ে বিঘœ ঘটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ফিলিস্তিনপন্থী আটজন বিক্ষোভকারীকে আদালতের নির্দেশে এখন থেকে শুটিং এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে। বৃহস্পতিবার দ্য টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‘দ্য রানার’ নামক এই সিনেমাটিতে ইসরাইলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাডট অভিনয় করছেন, যিনি পূর্বে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) কাজ করেছেন। এই আট বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে ট্রেড ইউনিয়ন আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে, কারণ তারা মে মাসে লন্ডনে এবং এর বাইরে বিভিন্ন শুটিং লোকেশনে টানা কয়েক দিন ধরে সিনেমার কাজ ব্যাহত করেছেন বলে অভিযোগ।

তাদের বিরুদ্ধে ট্রেড ইউনিয়ন অ্যান্ড লেবার রিলেশন্স (কন্সলিডেশন) অ্যাক্ট ১৯৯২-এর অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে যে তারা এমনভাবে আচরণ করেছেন ‘যাতে অন্য একজন ব্যক্তিকে সিনেমাটির শুটিং করা থেকে বিরত করা যায়, যা করার আইনি অধিকার তার ছিল।’ উল্লেখ্য, এই আইনটি মূলত ধর্মঘটের সময় পিকেটিং মোকাবিলার জন্য তৈরি হয়েছিল এবং এটি কর্মস্থলে প্রবেশে বাধা দেওয়াকে নিষিদ্ধ করে। বৃহস্পতিবার ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জানানো হয় যে এই আট বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে সব মামলার শুনানি ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

তাদের সবাইকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে, তবে শর্ত হলো তারা যেন গ্যাল গ্যাডট-এর সিনেমার শুটিংয়ের স্থান থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ না করেন।

গ্যাডট-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময়, প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনি কেফিয়াহ পরিধান করে রাজধানীতে ‘গ্যাডট আবর্জনা, লন্ডনে স্বাগত নয়’ এবং ‘গাজার অনাহার বন্ধ করো’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়েছিলেন। এই বিক্ষোভের মুখে তিনি নাকি লন্ডন ছেড়ে যাওয়ার কথাও বিবেচনা করেছিলেন।

অন্যদিকে, মে মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসে গ্যাল গ্যাডট-এর নাম যখন হলিউড ওয়াক অফ ফেমে একটি তারার উপর খোদাই করা হয়, তখন পরবর্তীতে গ্রাফিতি দিয়ে সেটি বিকৃত করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত চারজন বিক্ষোভকারীর আইনি প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা হডজ জোনস অ্যান্ড অ্যালেন-এর আইনজীবী কেটি ম্যাকফ্যাডেন বলেছেন : ‘আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একটি পাবলিক প্লেসে, গ্যাল গ্যাডট সংশ্লিষ্ট একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন। তারা সব সময়ই নিজেদের সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতি রেখে কাজ করেছেন, যা যুক্তরাজ্যের আইন দ্বারা সুরক্ষিত। আমরা হতাশ যে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস করি যে, এটি তাদের অধিকারের ওপর একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, অপ্রয়োজনীয় ও বেআইনি হস্তক্ষেপ। আমরা এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণরূপে মোকাবেলা করব।’