গত শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার রাজনৈতিক চুক্তির দলিল হিসেবে বিবেচিত ঐতিহাসিক জুলাই সনদ পাঠ্য বইয়ে যুক্ত করার বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ দিকে পাঠ্য বইয়ের আরো কিছু বিষয় যুক্ত কিংবা বাতিল করা নিয়ে আজ রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। আজকের সভায় পাঠ্য বইয়ে জুলাই সনদ যুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
অন্য দিকে এর আগে গত মাসে এনসিসিটির সভায় বাংলা সাহিত্য বইয়ে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সংযুক্ত করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হওয়ায় সরকারের উচ্চপর্যায়ে থেকেই পুনরায় আলোচনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়। যদিও অনেকের মতে, এ বিষয়টি বাংলা সাহিত্যে সংযুক্ত না করে পৌরনীতি কিংবা ইতিহাস বইয়ে যুক্ত করার ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন। আজকের এনসিসিসির সভায় সিদ্ধান্ত আসতে পারে ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্য বইয়ে থাকবে নাকি বাদ দেয়া হবে।
ড. ইউনূস শুক্রবার তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন এ দিনটি আমাদের নতুন ইতিহাসে মহান একটি দিন । তিনি বলেন, এটার কথা চিন্তা করলেও গা শিহরে ওঠে, আজ এমন একটি দিন। দলটি সারা পৃথিবীর জন্য একটা বড় রকমের উদাহরণ হয়ে থাকবে। বহু জায়গায় সেটা পাঠ্য পুস্তকে থাকবে। ক্লাস রুমে আলোচনা হবে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে এটা নিয়ে আলোচনা হবে বিভিন্ন দেশে কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক, তারা কী বলল, আমরা কী চাই। তারা চেষ্টা করে দেখবে তাদের দেশে সেটা সম্ভব কি না। যে উদাহরণ আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা সৃষ্টি করেছেন, সেটা দেশের জন্য তো বটেই, সারা পৃথিবীর জন্য এ জুলাই সনদ উদাহরণ হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ঐকমত্যে পৌঁছাতে কী কী বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তা তরুণদের জানাতে পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন দেখে তাদের নেতারা তাদের বিষয়গুলো কীভাবে বিবেচনা করছেন। তারা যেন অনুপ্রাণিত হয়। আজকে শুধু অনুষ্ঠান না, সারা জাতি এটা থেকে অনুপ্রাণিত হবে। নতুন পথের দিশা পাবে। আমরা ছোট জাতি না, কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে বেঁচে থাকার জাতি না, আমরা আমাদের মতো চলি, মাথা উঁচু করে চলি এবং সারা দুনিয়াতে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। সেই সামর্থ্য আমাদের আছে।



