দ্বিক সংসদ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বাস্তবসম্মত নয়

Printed Edition
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সিপিডির জাতীয় সংলাপে অতিথিরা : নয়া দিগন্ত
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সিপিডির জাতীয় সংলাপে অতিথিরা : নয়া দিগন্ত

সংলাপে সিপিডির প্রস্তাব

- স্বৈরাচারী ব্যবস্থা শেখ হাসিনাকে দানবে পরিণত করে-বদিউল আলম

- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আপনাদের নিজস্ব বিষয়-ইইউ

- বিএনপি পিআরের পে নয়, এটা আমরা গ্রহণ করি না-শামা ওবায়েদ

বিশেষ সংবাদদাতা

কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ছাড়া শুধু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার কার্যকর জবাবদিহি আনতে পারবে না। তাই উচ্চক গঠন না করে বিদ্যমান সংসদকেই কার্যকর করার ওপর জোর দিতে হবে। বাংলাদেশে সংসদীয় জবাবদিহি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি মনে করে, দ্বিকবিশিষ্ট সংসদ গঠন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বাস্তবসম্মত নয়। বরং বিদ্যমান এককবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থাকেই আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী করা উচিত। সুপারিশে সিপিডি বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিশেষ করে ঐকমত্য কমিশনের উচিত চূড়ান্ত ঐকমত্য তালিকা থেকে উচ্চক গঠনের প্রস্তাব বাদ দেয়া। ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আপনাদের নিজস্ব বিষয়। আর নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা শেখ হাসিনাকে দানবে পরিণত করেছিল।

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রস্তাবিত উচ্চক জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে?’ শীর্ষক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সংলাপে বক্তারা এই অভিমত জানান। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে এর আয়োজন করে। সিপিডি ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য রাখেন। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর নিজাম আহমেদ।

জাতীয় এই সংলাপে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন না থাকার ব্যাপারে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আয়োজকদের প থেকে বলা হয়, আমাদের সংলাপ আরো কয়েকটা ধাপে হবে। এই ধাপে শুধু উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আগামীতে অন্য সবসহ তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

সিপিডি সুপারিশে বলছে, ঐকমত্য কমিশনের উচিত চূড়ান্ত ঐকমত্য তালিকায় বিচার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচনব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে ল্য করে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবের ওপর মনোনিবেশ করা। ১৩তম নতুন সংসদের উচিত নিচের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং কার্যকরী পদেেপর মাধ্যমে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেয়া। ত্রয়োদশ নতুন সংসদ ‘গণতন্ত্র, আইনসভা, নির্বাহী ও আইনবিষয়ক সংসদীয় কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করতে পারে।

উপস্থাপনায় সিপিডির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত বেশ কিছু সংস্কার ধারণা যেমন- বাইক্যামেরালিজম, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, দলনিরপে ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বা নিয়োগ কমিটি গঠন নীতিগতভাবে আকর্ষণীয় হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এসব কার্যকর নয়। দীর্ঘদিনের দলীয় আনুগত্য, পৃষ্ঠপোষকতা এবং ‘বিজয়ী সব পায়’ রাজনীতির সংস্কৃতিতে এসব প্রস্তাব কার্যত প্রতীকী হয়ে থাকে। এতে জবাবদিহি বা ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার বদলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা, প্রভাব বিস্তার ও মতার কেন্দ্রীকরণ আরো বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

সিপিডি দেখেছে যে সংবিধান এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত সংস্কার পদ্ধতিগুলো আদর্শিক আবেদন বহন করে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ব্যবহারিক প্রযোজ্যতার অভাব রয়েছে। দ্বিকীয়তা, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, নির্দলীয় ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্তি এবং নিয়োগ কমিটির মতো প্রস্তাবগুলো জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ আধিপত্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবুও ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত পপাত, পৃষ্ঠপোষকতা এবং বিজয়ী-সব-নিয়ে নেয়া রাজনৈতিক নীতি দ্বারা গঠিত একটি ব্যবস্থায়, এই ব্যবস্থাগুলো কার্যকরী হওয়ার পরিবর্তে শোভাময় হয়ে ওঠার ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও তাদের গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দেয়া যায় না। বাস্তবে তারা অচলাবস্থা, কারসাজি, অথবা প্রভাবশালী দলগুলোর অধীনে মতার আরো কেন্দ্রীকরণের মতো অপ্রত্যাশিত পরিণতি ডেকে আনতে পারে। সুতরাং জবাবদিহিতা এবং ভারসাম্য নিশ্চিত করার পরিবর্তে, এই প্রক্রিয়াগুলো বিদ্যমান দুর্বলতাগুলোকে পুনরাবৃত্তি করতে পারে। যা দেখায় যে গভীর কাঠামোগত এবং সাংস্কৃতিক রূপান্তর ছাড়া, কেবল প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারই বাংলাদেশে অর্থপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং ভারসাম্য নিশ্চিত করতে পারে না।

উপস্থাপনায় বলা হয়, বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য প্রদত্ত বিভিন্ন সুপারিশের প্রশংসা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংসদ সদস্যদের ফোর ক্রসিং, বিরোধী দল থেকে সদস্য নিয়োগ করে স্থায়ী কমিটিগুলোকে কার্যকর করা, রাজনৈতিক দলের তহবিল সংগ্রহ ও তহবিল ব্যবহারের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, স্থানীয় সরকারকে আরো বেশি আর্থিক কর্তৃত্ব প্রদান, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে উচ্চতর নারী প্রতিনিধিত্ব। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নির্বাহী দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মতা থাকা উচিত- তাই সরকার কর্তৃক নিযুক্ত সব গুরুত্বপূর্ণ এবং সাংবিধানিক পদ, তবে জাতীয় সংসদ কর্তৃক একটি পর্যালোচনা কমিটির মাধ্যমে সেগুলো পর্যালোচনা করা যেতে পারে।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিপীড়নের কারণে শেখ হাসিনা দানবে পরিণত হয়েছেন। এই যে দানবে যাতে পরিণত না হন, এর প্রতিষেধক হিসেবে বা এটা ঠেকানোর জন্য উচ্চক দরকার। উচ্চকরে মাধ্যমে চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কিন্তু উর্দি পরে মতায় আসেননি এবং শেখ হাসিনা এসে কিন্তু সংবিধানও বাতিল করেননি। শেখ হাসিনা নির্বাচনের মাধ্যমে এসেছেন। যদিও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা কিভাবে স্বৈরাচারে পরিণত হলেন, কিভাবে দানবে পরিণত হলেন? কারণ স্বৈরাচারী ব্যবস্থাই তাকে দানবে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ল্য হলো এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা; দানবীয় ব্যবস্থার অবসান ঘটানো। অবসান না ঘটালেও কিছু চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করা, মতার ভারসাম্য করা। সেটার মাধ্যমে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করা এবং দানব সৃষ্টি হওয়া বন্ধ করা সম্ভব।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো শেখ হাসিনা দানবে পরিণত হয়েছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী এবং এর মাধ্যমে তিনি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। যে সরকার যখন মতায় থাকবে, সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং তার পরিণতি কী হয়েছে, সেটা আমরা দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পর সবগুলো নির্বাচনই জালিয়াতি নির্বাচন হয়েছে, না হয় একতরফা বা বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। উচ্চক যদি থাকত, তাহলে শেখ হাসিনার পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করা সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন, আজ বলা হচ্ছে, আমরা নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধির কাছে মতা হস্তান্তর করা হবে। দুর্ভাগ্যবশত, জনগণের প্রতিনিধিরা যদি দুর্বৃত্ত হন, তাহলে তো সেই একই, পুরনো জিনিসের পুনরাবৃত্তি হবে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে হবে। এসব নিয়ম-কানুন বদলানো দরকার, যাতে কাঠামো ঠিক হয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতি না বদলালে কোনো কিছু কাজ করবে না।

ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, গত ১৪ মাসে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সংসদ নেই। ইইউ নতুন সংসদ গঠনে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ েেত্র বিভিন্ন ধরনের দতাসহ কিছু সহযোগিতা করে যাচ্ছে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি বলেন, নাগরিকসমাজ ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারসহ সাধারণ নাগরিকদের মতামত জরুরি। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আপনাদের নিজস্ব বিষয়। তবে আমি চাই, বাংলাদেশ অনেক অর্জন করুক। ইইউ বাংলাদেশকে সমর্থনে সবসময় পাশে থাকবে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, আমরা একমত পোষণ করছি, যদি উচ্চক থাকে, এটা সংসদকে গ্রহণযোগ্য করবে। কী পদ্ধতিতে হবে, সেটা আলোচনা হতে পারে। বিএনপির অবস্থান এখন আমরা পিআরের পে নই, এটা আমরা গ্রহণ করি না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচিত হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাবে, তাদের যদি উদ্দেশ্য থাকে একটা ভালো সংসদ তৈরি করার, জবাবদিহিমূলক সংসদ তৈরি করার, তাহলে আপনি পিআর রাখেন আর না রাখেন একই জিনিস হবে।

শামা ওবায়েদ বলেন, আমাদের উচ্চকে কারা থাকতে পারে, সিভিল সোসাইটি, শিাবিদ, সাংবাদিক এমন ব্যক্তি। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটিও বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। সিভিল সোসাইটিকেও যদি আপনি পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকে আনেন, তখন কিন্তু তারা তাদের মতাদর্শকে স্থাপন করতে চাইবে। সুতরাং এমন সিভিল সোসাইটি আমাদের উচ্চকে প্রয়োজন, যারা দেশের স্বার্থে তাদের আলোচনাটা আনবে এবং দেশের সংসদের যাতে দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকে সেই স্বার্থে আলোচনাটা আনবে। সেই জায়গায় আমাদের আসতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা বাংলাদেশের বাস্তবতায় উচ্চকরে প্রয়োজন মনে করি না। বাংলাদেশের জন্য কতটুকু প্রয়োজন, সেটা ভেবে দেখা দরকার। নিম্নক যেটা আছে, সেটাকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়। তিনি বলেন, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। গরিবের টাকায় শ্বেতহস্তি ও নতুন করে জমিদার পালা ছাড়া আমার কাছে অন্য কিছু মনে হয় না।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে বাংলাদেশে স্বৈরশাসন চলে আসা বা মতা দীর্ঘায়িত করতে চাওয়া, এই সবকিছুকে সাংবিধানিক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হতো। সেই জায়গায় কিভাবে একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স তৈরি করা যায়, তার একটি স্বরূপ আমরা উচ্চকে পাবো। যদি সেই উচ্চকে পিআরের ভিত্তিতে প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়। আমরা উচ্চকরে যত উপযোগিতা নিয়ে আলাপ করব, এসব উপযোগিতা একটি শর্তের ওপর নির্ভরশীল। সেটা হলো- উচ্চকে ভোটের পিআর অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব নির্বাচিত হতে হবে। তিনি বলেন, যদি এই পিআর পদ্ধতিতে প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি না থাকে, তাহলে আর এই উপযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।