আজ রোকেয়া দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে একীভূত হচ্ছে স্মৃতিকেন্দ্র

‘বেগম’ শব্দটি নামের আগে না লিখলেও দেদার ব্যবহার

সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো
Printed Edition

আজ ৯ ডিসেম্বর মহিয়সী নারী রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫তম জন্ম এবং ৯৩তম মৃত্যু দিবস। আজীবন তিনি বেগম প্রথার বিরুদ্ধে লিখেছেন লড়েছেন; কিন্তু সেই বেগম শব্দটি তার নামের সাথে জুড়িয়ে দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। লেখা হচ্ছে দেদার। শুধু তাই নয়, পায়রাবন্দে একটি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক হাব তৈরির প্রতিশ্রুতিও লালফিতায় বন্দী। উদ্ধার হয়নি ৩০০ বিঘা লাখেরাজ সম্পত্তি, মসজিদ, দীঘিসহ কোনো কিছুই। আঁতুর ঘরটিরও হয়নি সংস্কার। উদ্যোগ নেই কলকাতা থেকে দেহাবশেষ জন্মভিটেয় আনার। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, গবেষক ও সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য আশার কথা, অবহেলায় পড়ে থাকা রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রটি অবশেষে যুক্ত হচ্ছে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। আজ এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে বাংলা একাডেমির সাথে।

ইতিহাস, গবেষণা গ্রন্থ অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ‘বেগম’ প্রথার বিরুদ্ধে লিখেছেন ও লড়েছেন রোকেয়া সাখাওয়াত। সেই বেগম শব্দটিই জুড়ে দেয়া হয়েছে তার নামের আগে। অথচ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার নামের সাথে কখনোই ‘বেগম’ ব্যবহার করেননি। তার সময়ে প্রকাশিত গ্রন্থ, স্বহস্তে লিখিত পত্রে কোথাও এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের কোনো নারীর নামেও ‘বেগম’ শব্দটি নেই। পরিবারের দেয়া তার নাম রোকেয়া খাতুন। আদর করে তাকে ডাকা হতো রুকু নামে। চিঠিপত্রে তিনি রুকু, রোকেয়া, রোকেয়া খাতুন, মিসেস আর এস হোসেন, (মিসেস) আর এস হোসেন নামে তিনি লিখেছেন।’

তথ্যমতে, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত শামসুন নাহার ১৯৩৭ সালে যে রোকেয়া জীবনী লিখেছেন, সেখানে তিনি তার নামের আগে ‘বেগম’ যুক্ত করে লিখেছেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী হলের নাম রাখা হয় হয় রোকেয়া হল। সেই হলের ভিতরে ভাষ্কর্যেও আছে ‘বেগম রোকেয়া’। অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত রোকেয়া রচনাবলিতে সম্পাদক আব্দুল কাদিরসহ পরবর্তী সময়ে যারা মহাপরিচালক ছিলেন তাদের অনেকেই নিবেদন বক্তব্যে ‘বেগম’ রোকেয়া উল্লেখ করেছেন। ২০০৬ সালের সংস্করণে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসনের প্রকাশিত বইগুলোর প্রচ্ছদপৃষ্ঠা দেয়া হয়েছে। সেখানে ‘অবরোধবাসিনী’ ব্যতীত অন্য যে বইগুলোর প্রচ্ছদ রয়েছে সেখানে মিসেস আর এস হোসেন উল্লেখ আছে। ‘অবরোধবাসিনী’ বইয়ের প্রচ্ছদপৃষ্ঠায় আছে ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’। এ বইয়ের যে প্রচ্ছদপৃষ্ঠা রোকেয়া রচনাবলিতে সন্নিবেশ করা হয়েছে, সেখানে ব্রাকেটবন্দী আছে পাকিস্তান শব্দটি। অর্থাৎ এই বইটি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জীবনকালের সংস্করণ নয়, পাকিস্তান আমলের সংস্করণ। এতেও প্রমাণিত হয়, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার বইয়ে মিসেস আর এস হোসেন লিখেছেন। এ ছাড়াও বাংলা একাডেমি চরিতাভিধানে নাম পরিচয়ে ‘বেগম’ উল্লেখ না করলেও আলোচনার মধ্যে ‘বেগম’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তাহ্মিনা আলমের গবেষণাগ্রন্থ ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন : চিন্তা-চেতনার ধারা ও সমাজকর্ম’ শীর্ষক গ্রন্থের নামেই শুধু ‘বেগম’ শব্দটি যুক্ত নয়, বইটির ভূমিকা লিখেছেন তৎকালীন মহাপরিচালক মনসুর মুসা। তিনিও ‘বেগম’ লিখেছেন।

দেখা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান সুফী ‘বেগম রোকেয়া : জীবন ও সাহিত্য’ শীর্ষক গ্রন্থ লিখেছেন। এই গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন আনিসুজ্জমান। সেখানে তিনি ‘বেগম’ রোকেয়া লিখেছেন। তিনি বেবী মওদুদ সম্পাদিত ‘রোকেয়া চিরন্তনী প্রতিকৃতি’ গ্রন্থে ‘নারী মুক্তি, সমকাল ও ‘বেগম’ রোকেয়া’ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন। এই গ্রন্থে আব্দুল কাদির, কবির চৌধুরী, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, সেলিনা হোসেন, সৃব্রত বড়–য়া, গীতাদাসসহ অনেকেই রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামের সাথে ‘বেগম’ শব্দটি যোগ করেছেন।

অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, আব্দুল মান্নান সৈয়দ ‘বেগম রোকেয়া’ শীর্ষক গ্রন্থ রচনা করেছেন। গোলাম মুরশিদ রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া গ্রন্থে রোকেয়া নামে আলোচনা সম্পূর্ণ করলেও পত্রিকায় প্রকাশিত তার রচনার পরিচয় দিতে গিয়ে ‘বেগম’ রোকেয়া উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়াও তার অনেক প্রবন্ধে ‘বেগম’ রোকেয়া লিখেছেন। আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া সম্পাদিত ‘রোকেয়া : যুক্তিবাদ নবজাগরণ ও শিক্ষা সমাজতত্ত্ব’ শীর্ষক গ্রন্থে আবুল কাশেম ফজলুল হক, হোসনে আরা কামাল, শেখ ইসরাইল, হাসান আজিজুল হক, সৈয়দা ফরিদা রহমান, তাহমিনা আলমসহ অনেকেই ‘বেগম’ শব্দটি যুক্ত করেই রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন লিখেছেন।

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ভাইয়ের পৌত্রী মাজেদা সাবের। তিনিও ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়ী’ শীর্ষক গ্রন্থসহ বিভিন্ন প্রবন্ধে ‘বেগম’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তবে আরডিআরএস বাংলাদেশ প্রকাশিত ‘রোকেয়ার উত্তরসূরি’ গ্রন্থে তিনি অজ্ঞতাবশত ‘বেগম’ শব্দটি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে যুক্ত করেছেন বলে দাবি করেন। মালেকা বেগম ‘মৃত্যুঞ্জয়ী রোকেয়া : স্বদেশী ও স্বাদেশিক’ শীর্ষক গ্রন্থে ‘বেগম’ যুক্ত করেননি। বরং রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে ‘ৎ’ ব্যবহার না করার কারণও উল্লেখ করেছেন। মালেকা বেগমসহ কেউ কেউ ‘বেগম’ শব্দটি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামের সাথে যুক্ত করেননি। নাসিমা আকতার সম্প্রতি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনিও ‘রোকেয়ার স্বাদেশিক চিন্তা’ গ্রন্থে ‘বেগম’ শব্দটি যুক্ত করেছেন।

অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান গ্রন্থেও ‘বেগম’ রোকেয়া উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত বাংলা পিডিয়াতেও নাম পরিচয়ে ‘বেগম’ না থাকলেও পরিচিতি বর্ণনায় ‘বেগম’ শব্দটি বারবার লেখা হয়েছে। এভাবে অনেক রচনা এবং রচয়িতা ছাড়াও অনেক লেখক তাদের রচনায় ‘বেগম’ শব্দটি যুক্ত করেছেন।

শুধু লেখালেখিতেই নয়। তাকে নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। তাতেও লেখা হয়েছে ‘বেগম’ শব্দটি। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের নামকরণ হয়েছে ‘বেগম’ রোকেয়া নামে। রংপুরে যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি কলেজ এবং স্মৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানেও বাদ যায়নি ‘বেগম’ শব্দটি। বিশ^বিদ্যালয়টি আরো একধাপ এগিয়ে। তার নামের ইংরেজি বানানটিও তারা বিকৃত করে লিখেছেন। তিনি ইংরেজিতে জড়য়ঁরধয লিখলেও তারা জড়শবুধ লিখেছেন। তার সম্মানার্থে যে রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন করা হয়েছে সেখানেও ‘বেগম’ রোকেয়া পদক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ গবেষকরা। রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, ‘রোকেয়া সাখাওয়াত কোনো কিছুতেই কখনোই তার নামের আগে ‘বেগম’ শব্দটি কখনোই লেখেননি। লিখেছেন ‘মিসেস’। ‘মিসেস’ শব্দের অনুবাদ করে ‘বেগম’ শব্দটিও ব্যবহার করা যায় না। বাংলার মুসলমানরা যখন বাংলা বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করাকে ধর্মীয় গোড়ামি মনে করত। মুসলমান পুরুষরাও যখন ইংরেজি পড়ত না পাপের ভয়ে, সেই সময়ে মুসলিম নারী হিসেবে ‘মিসেস’ শব্দটি ব্যবহার করাও ছিল অনেক ‘সাহসের’। সেই ‘সাহসী’ নাম পরিবর্তন করে প্রচলিত নারীর নামের আদলে তার নামটি পরিবর্তন করে ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ নামে রূপান্তর করা হয়েছে। বাংলা ব্যাকরণগত দিক বিবেচনায়ও এ নাম ভুল। বাংলায় ‘বেগম’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে বিবাহিত নারী। একই নামে একবার ‘স্বামীর নাম’ আরেকবার ‘বিবাহের’ কারণে ‘বেগম’ যুক্ত করাটা বাহুল্য দোষে দুষ্ট হয়। সর্বোপরি, যেহেতু লেখকের নামে পরিবর্তন আনার সুযোগ কোনো অবস্থায়ই সুযোগ নেই তাই তার নামের সাথে আরোপিত অংশটুকু বাদ দেয়াই সমীচীন।”

তাহলে এর সমাধান কি-এমন প্রশ্নের উত্তরে গবেষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘বাংলা একাডেমি প্রমিত বানান-উচ্চারণ বিষয়ক বিধান প্রণয়ন করে থাকে। সেই প্রতিষ্ঠান ‘একাডেমী’ বানানটি ‘একাডেমি’ নামে শুদ্ধ করেছে। প্রতিষ্ঠানের নাম সংশোধনের সুযোগ থাকলেও লেখকের নাম সংশোধন-পরিমার্জন-পরিবর্তন-পরিবর্ধন করার ক্ষমতা অন্য কারো নেই। যিনি যে নামে লিখবেন সেটাই তার নাম। সে কারণে আমরা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখি। শরচ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখি না। মীর মশাররফ হোসেন কিংবা জসীম উদ্দীন নামে কিছুতেই কোনো পরিবর্তন আনয়ন করার সুযোগ নেই। নাম অনুবাদ করেও লেখা যায় না। কিন্তু রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ক্ষেত্রেই কেবল ব্যতিক্রম।” ড. তুহিন ওয়াদুদ আরো বলেন, “রোকেয়া সাখাওয়াত হোসনের নামের সাথে ‘বেগম’ যুক্ত করা আমাদের জাতীয় অজ্ঞতার স্মারক হিসেবেই বিবেচিত। যেভাবেই হোক বাংলার সবচেয়ে বড় নারী প্রগতিশীল মানুষ এবং লেখকের নাম আমরা ভুল নামেই লিখছি এবং বলছি। ‘বেগমের’ সীমা অতিক্রম করার চেষ্টায় নিয়োজিত লেখক রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে আমরা ‘বেগমে’র গণ্ডিতে বন্দী করেছি। এই ভুলের সংশোধন অত্যন্ত জরুরি। একটি ভুল আমরা অজ্ঞতাবশত যতদিন ইচ্ছে করতে পারি। কিন্তু ভুলটি জানার পর আর একদিনও যাতে ভুল না হয় সে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমিই পারে শুদ্ধ নামে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে জাতির কাছে উপস্থাপন করতে। এজন্য মিসেস আর এস হোসেন অথবা মিসেস রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নামে সংশোধন করা প্রয়োজন। কিংবা বিভিন্ন সময়ে তিনি যে নামগুলো ব্যবহার করেছেন সেগুলোও গ্রহণ করতে পারি। সেই উদ্যোগ নিতে হবে বাংলা একাডেমিকে।’

রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের উপপরিচালক আবিদ করিম মুন্না জানান, ‘তার প্রকৃত নাম রোকেয়া খাতুন। ১৯৩১ সালে রোকেয়ার মৃত্যুর এক বছর আগে খান বাহাদুর তছাদ্দক আহমেদকে লেখা একটি চিঠির স্বাক্ষরেও তিনি রোকাইয়া খাতুন লিখেছেন। পারিবারিকভাবে তাকে রকু বলে ডাকা হতো। বিয়ের পরে তিনি নাম লেখা শুরু করেন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, কখনো মিসেস আরএস হোসেন। তিনি কখনোই তার নামে আগে বেগম শব্দটি লেখেননি। আইন করে অথবা অর্ডিন্যান্স জারি করে প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এটা সংশোধন করা উচিত।’ অবশেষে রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র যুক্ত হচ্ছে বিশ^বিদ্যালয়ের সাথে : দীর্ঘ দাবির প্রেক্ষিতে গত বছর রোকেয়া দিবসে পায়রাবন্দ অবহেলায় পড়ে থাকা স্মৃতি কেন্দ্রটি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একীভূত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই সময়কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. আমিনুল ইসলাম। সেটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রটির সাথে সমঝোতা স্মারক সই হবে বাংলা একাডেমির সাথে। ক্যাম্পাসে আলোচনা সভায় এই চুক্তি হওয়ার কথা।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো: শওকাত আলী জানান, রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রটি রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের সাথে একীভূত করার সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলা একাডেমির ডিজি এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে সই করবেন। এর মাধ্যমে এই বিশ^বিদ্যালয় বিশেষ করে বাংলা এবং ইতিহাস প্রতœতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্মৃতি কেন্দ্রটির সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে যাবে। স্মৃতি কেন্দ্রটিকে ঘিরে নতুন প্রজন্মের মাঝে রোকেয়ার জীবন কর্ম প্রচার-প্রসার, গবেষণা ও চর্চায় দ্বার উন্মুক্ত রচিত হবে।