নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার গড়িমসি করছে অভিযোগ করে এটি জাতির জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী পরিষদেও বৈঠকে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার গড়িমসি করছে, যা জাতির জন্য উদ্বেগজনক। কেউ কেউ গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিচ্ছেন, যা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মতে, একটি অবাস্তব ও অপরিপক্ব ধারণা। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে গণভোটের গুরুত্ব মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে। এটি জাতির সাথে প্রতারণার শামিল এবং গণভোট প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলবে। কারণ, জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হলে গণভোটও স্থগিত হয়ে যাবে- যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ প্রোপটে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে, সরকার যেন অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করে। পাশাপাশি, ওই গণভোটের ফলাফলের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন থেকে সরে আসায় বৈঠকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতারা বলেন, জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে জাতি সরাসরি ভোট প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, জাল ভোট ও কারচুপি প্রতিরোধ হবে এবং ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে। জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
বৈঠকে গত ১৭ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর হামলায় জুলাই যোদ্ধারা আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি আহতদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।


