অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিগত ৯ মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পাঁচ বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পে ৪৬ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় করেছে। এই অর্থ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ‘লুটপাটের’ জন্য বরাদ্দ দিয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি পেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘এই টাকাটা লুটপাটের জন্য বেশি করে বরাদ্দ করা হয়েছিল। সরকার জনগণের এই টাকাটা বাঁচিয়ে দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে জ্বালানি খাতে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। ’
এ দিকে গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই ব্যয় সাশ্রয়ের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে। এই বিভাগ থেকে ব্যয় সাশ্রয় করা হয়েছে-১২ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর পরেই রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এই বিভাগে কমেছে ১০ হাজার ৮৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। একইভাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ৮ হাজার ৩৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং সেতু বিভাগে ৭ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ বিভাগে ৭ হাজার ৪৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব তার ফেইস বুকে লিখেছেন, সরকার কী করছে? প্রায়ই শুনি। আমরা বলি, তবু অনেকেই মানতে চান না। আজ মনে হলো একটা উদাহরণ সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ সবাইকে জানানো দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করে দেখা গেছে যে প্রায় সব প্রকল্পেই অযৌক্তিকভাবে এস্টিমেটেড ব্যয় বা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকার এই খরচ কমিয়ে এনেছে।