ক্যাচ মিসের মহড়ায় হোয়াইটওয়াশ

Printed Edition
ক্যাচ ছাড়ছেন তৌহিদ হৃদয়  : ইন্টারনেট
ক্যাচ ছাড়ছেন তৌহিদ হৃদয় : ইন্টারনেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজে প্রথম দু’টি হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচটি ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। আগের দুই ম্যাচেই হারের দায় ছিল ব্যাটারদের। তৃতীয় ম্যাচে যোগ হলো ক্যাচ মিস আর ফিল্ডিং। ক্যাচ আর ফিল্ডিং মিসের মহড়া করে ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়দের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। শেষ টি-২০তে ৫ উইকেটে হার লিটন দাসদের। টাইগারদের গড়া ১৫১ রানকে তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্টের ঝড়ো ফিফটিতে ভর করে ১৯ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ১৫২ রানকে তাড়া করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে ৫ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল আমির জঙ্গুর ব্যাটে ছুঁয়ে প্রথম স্লিপে গেলে তা মিস করেন অপ্রস্তুত সাইফ হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে সফল মাহেদী হাসান। তার বল এগিয়ে এসে আলিক আথানেজ খেলতে গিয়ে মিস করেন। স্ট্যাম্প ভাঙতে দেরি করেননি লিটন দাস। চতুর্থ ওভারে আবার ভাগ্য খারাপ শরিফুলের। এবারো জীবন পেলেন জঙ্গু। মিড অফে ওঠা ক্যাচ পেছনে গিয়ে নাগালে পেলেও হাতে জমাতে ব্যর্থ হন তৌহিদ হৃদয়।

উইন্ডিজের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ষষ্ঠ ওভারে। নাসুম আহমেদের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে মিস করেন ব্রেন্ডন কিং। সরাসরি বল চলে যায় স্ট্যাম্পে। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেটের দেখা পেলেন রিশাদ হোসেন। ২৩ বলে ৩৪ রান করা দু’বার জীবন পাওয়া জঙ্গু এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। ৮ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৫৫ রান সংগ্রহ সফরকারীদের। পানি পানের বিরতি শেষে ১১তম ওভারের প্রথম বল খেলা শেষে মাটিতে শুয়ে পড়েন নুরুল হাসান সোহান। পায়ে টান পড়ায় ব্যথায় কাতরা"িছলেন। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।

সেখান থেকে ১১ ওভার শেষে ৮২ আর ১৩ ওভারে সেই ৩ উইকেটে ১১৪ রান। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়া যেন শেষ হয়নি তখনো। এবার তানজিম সাকিব। ১৩তম ওভারে কাভারে ক্যাচ দেন অগাস্ট। ২৭ রানে জীবন পান তিনি। তবে তিন ওভারেই ঝড়ে সব এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের। ১৩ থেকে ১৫, এই তিন ওভারে ঝড় তোলেন রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্ট। ১৩তম ওভারে ২১, ১৪তম ওভারে ১৪ আর ১৫তম ওভারে ১৫ রান। ১২তম ওভার শেষে ৯৩ থেকে ১৪৩ রান পৌঁছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের ওভারে রিশাদের জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম বলে রোস্টন ও তৃতীয় বলে আউট হন অগাস্ট। ওভার শেষে তখন জয় থেকে ৬ রান দূরে উইন্ডিজ। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান তানজিদ হাসান তামিম। ভালো শুরুর পর চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায় ১০৭ রানে। সাইফ হাসানকে সাথে নিয়ে ৬৩ রানের ইনিংস গড়েন তানজিদ। ২৩ রানে বিদায় নেন সাইফ। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৯ রানের ইনিংস খেলে ২০তম ওভারে প্রথম বলে ফেরেন তানজিদ। দুই অঙ্কে কেবল পৌঁছাতে পারেন এই দুই ব্যাটার। আউট হওয়া বাকি আট বথ্যাটারের কেউ ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন শেখ মাহেদী হাসান। ১৪.২ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ১০৭। সেখান থেকে ৪৪ রান যোগ করতে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। উইন্ডিজের হয়ে ৩ উইকেট নেয়া একমাত্র বোলার হ্যাটট্রিকম্যান রোমারিও শেফার্ড হন সিরিজসেরা। ম্যাচসেরা রোস্টন চেজ।