সাক্ষাৎকার: ড. মনির আহমেদ

বাংলাদেশীরা দেখিয়েছে কিভাবে স্বৈরাচারী শাসক হঠাতে হয়

পাকিস্তানি সাংবাদিক ড. মনির আহমেদের জন্ম বাংলাদেশের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হলেও তার শৈশব ও শিক্ষাজীবন সম্পন্ন হয়েছে পাকিস্তানেই। ৫৪ বছর ধরে পাকিস্তানে রয়েছেন তিনি। কর্মসূত্রে পাকিস্তানের জংগ্রুপের ডেইলি নিউজে নিউজ এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন ৩৫ বছর।

রাশিদুল ইসলাম
Printed Edition
সাক্ষাৎকার : ড. মনির আহমেদ
সাক্ষাৎকার : ড. মনির আহমেদ

পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক ড. মনির আহমেদ বলেছেন বাংলাদেশের মানুষ জুলাই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দেখিয়েছে কিভাবে স্বৈরাচারী শাসক হঠাতে হয়। বাংলাদেশীদের সম্পর্কে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। অনেক পাকিস্তানি মনে করেন ’৭১এ তারা তাদের আসল শত্রু চেনেননি। পাকিস্তানি যে শাসককে বাংলাদেশীরা হটিয়েছে, আজকে সেই ধরনের শাসকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের নিজেদেরকেই লড়তে হচ্ছে। এটা সাধারণ মানুষের ধারণা। তবে পাকিস্তান সরকারের ধারণা ভিন্ন। তাদের মধ্যে উঠতি পুঁজিপতিরা বাংলাদেশের উঠতি পুঁজিপতি বা অলিগার্কদের মধ্যে এক ধরনের সম্পর্ক খোঁজে।

নয়া দিগন্তকে দেয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

পাকিস্তানি সাংবাদিক ড. মনির আহমেদের জন্ম বাংলাদেশের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হলেও তার শৈশব ও শিক্ষাজীবন সম্পন্ন হয়েছে পাকিস্তানেই। ৫৪ বছর ধরে পাকিস্তানে রয়েছেন তিনি। কর্মসূত্রে পাকিস্তানের জংগ্রুপের ডেইলি নিউজে নিউজ এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন ৩৫ বছর। এর পাশাপাশি ১৫ বছর ধরে বিবিসি বাংলা সার্ভিসের প্রতিবেদক ও ১২ বছর কাজ করেছেন জার্মানির ডিডব্লিউ রেডিওতে। কাজ করেছেন নয়া দিগন্তের পাকিস্তান সংবাদদাতা হিসেবেও। এ ছাড়া ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে হ্যান্ডস ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে অধ্যাপনা করছেন। করাচির নিম্ন আদালতের আইনজীবী হিসেবে রয়েছে পেশাগত অভিজ্ঞতা। ইইউ থেকে ইংরেজিতে, ঢাকা থেকে বাংলায়, করাচি থেকে উর্দুতে প্রকাশিত হয়েছে তার উপন্যাস।

নয়া দিগন্ত : ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় পাকিস্তান কি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারবে?

মনির আহমেদ : দেখেন সর্বপ্রথম লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। ভিয়েতনামসহ আরো কয়েকটি দেশও। আমেরিকাও চায় পাকিস্তান যেন এধরনের কয়েকটি দেশে যৌথ বিনিয়োগ করে ভারতের ওপর বাণিজ্যিকভাবে আরো চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যাতে ভারত চীনের দিকে বেশি না ঝুঁকে ফের আমেরিকার দিকেই ফিরে যায়। বাণিজ্যিক ভারসাম্য সৃষ্টির মাধ্যমে আমেরিকা এভাবেই সবদিকে খেলছে। পাকিস্তান আসবাবপত্র সহ অন্যান্য পণ্য আমেরিকায় রফতানিতে কিছুটা ছাড় পাবে। বরং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারলে আমেরিকায় সরাসরি রফতানির চেয়ে বেশি লাভবান হতে পারবে পাকিস্তান। বিশেষ করে তুলা, সুতা বাংলাদেশে পাঠিয়ে যৌথ বিনিয়োগে কাপড় উৎপাদন করে পোশাক রফতানিতে ভ্যালুএ্যাডের মাধ্যমে উভয় দেশ বিরাট লাভবান হতে পারে।

নয়া দিগন্ত : সার্ককে ফের সক্রিয় করে তোলার কথা বলা হচ্ছে, কতটুকু সম্ভাবনা রয়েছে... কারণ বড় দেশ হিসেবে ভারত বলছে পাকিস্তান সন্ত্রাসী দেশ, তাকে নিয়ে সার্ককে সক্রিয় করা যাবে না...

মনির আহমেদ : সন্ত্রাসবাদী ধারণাটাই এসেছে কমিউনিজম থেকে। যখন স্বাভাবিকভাবে কোনো দেশে কোনো কিছু করা যায় না তখন সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমেই গোপনে তা করা হয়। আফগানিস্তানে তালেবান, ভিয়েতনামে ভিয়েতকংরা এভাবেই করেছে। পলিটিক্যাল একটা মিনস নিয়ে সন্ত্রাসবাদের মোড়কে তা এগিয়ে নেয়া হয়। এ ধরনের সন্ত্রাসবাদ ভারত ব্যবহার করলেও চীনকে শায়েস্তা করার ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকা জোটবদ্ধ থাকায় এতদিন তা দেখেও না দেখার ভান করা হয়েছে। পাকিস্তানকে দিয়েই আমেরিকা তালেবান তৈরি করেছে। বিন লাদেনকে তৈরি করেছে। আবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে পাকিস্তানকে দিয়ে আমেরিকা নিজের স্বার্থসিদ্ধি করেছে। আফগানিস্তানে সরকার পতনের পর মার্কিন সেনাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এ্যাবোটাবাদে অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যা করে আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের সাথে পাকিস্তানকে জড়িয়েছিল। আসলে আমেরিকা চায় পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তিকে কমজোর করতে। সেটা ইসরাইল বা অন্যকোনো দেশকে দিয়ে হলেও। এখন সন্ত্রাসবাদের কথা বলে ভারত সার্ককে সক্রিয় করতে না দিলে ভারতকে বাদ দিয়ে সার্কের অন্যান্য সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে নতুন করে জোট গঠনের কথা ভাবতে হবে। কারণ ভারতকে নিয়ে আ

নয়া দিগন্ত : সিন্ধু নদী ও উপনদীগুলো থেকে পানি প্রবাহ পাকিস্তানে বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে ভারত, এই বিরোধ কি ভবিষ্যতে দুই দেশকে পানিযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে?

মনির আহমেদ : পাকিস্তান ইতোমধ্যে বলে দিয়েছে সিন্ধু নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করলে ওই বাঁধ বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হবে। সর্বশেষ কয়েক দিনের যুদ্ধে পাকিস্তানের কাছে ভালো নাস্তানাবুদ হয়েছে ভারত। ফের পানিযুদ্ধ হলে তো এখানে পরাশক্তিরা এসেও যোগ দেবে। তাদের সাথে ডিল বা মোকাবেলা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত সিন্ধু নদীর পানি ভারত ঠেকাতে পারবে না। কারণ সিন্ধু নদীর পানি নিয়ে চুক্তির মধ্যে স্টেকহোল্ডার হিসেবে বিশ্বব্যাংকও রয়েছে। অর্থাৎ ভারত পানি বন্ধ করলে বিশ্বব্যাংকও হস্তক্ষেপ করবে।

নয়া দিগন্ত : করাচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের ভবিষ্যৎ কিভাবে দেখছেন?

মনির আহমেদ : প্রাথমিকভাবে চালুর পর আলুসহ অন্যান্য পণ্য গিয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগে উভয় বন্দরের মধ্যে জাহাজ চলাচল ছিল। সমুদ্র পথে বন্ধু শত্রু সবদেশের জাহাজই চলাচল করে। ভারতের বাধার কারণে পাকিস্তান সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে মালামাল পাঠাতে পারেনি। সিঙ্গাপুর হয়ে ঘুরে পাঠাতে হতো। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সমুদ্রপথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের বাজার ভারতের কাছ থেকে পাকিস্তানের কাছে হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে এই ভয় সবসময় এ ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করেছে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে, নির্বাচিত বা বিপ্লবী সরকারও নয়। বাংলাদেশের খবরাখবর যতটুকু আমরা পাই তাতে মনে হয় আওয়ামী লীগ শাসনামলে যে উঠতি পুঁজিবাদ বা অলিগার্ক শ্রেণি গড়ে উঠেছিল তারা হয়তো এখনো চান না যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পথে বাণিজ্য দ্রুত গড়ে উঠুক। কারণ তাদের সাথে তো ভারতের ব্যবসায়ীদের একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বাজার ভারতের দখলে থাক এটাও তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থের মধ্যে নিহিত।

নয়া দিগন্ত : জুলাই আন্দোলন নিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের কি ধারণা রয়েছে?

মনির আহমেদ : পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মধ্যে বাংলাদেশীদের নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে। তারা বলছে, বাংলাদেশীরা রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে স্বৈরাচারী শাসকের পতন ঘটাতে হয়। অনেক পাকিস্তানি মনে করেন ’৭১-এ তারা তাদের আসল শত্রু চেনেননি। পাকিস্তানি যে শাসককে বাংলাদেশীরা হটিয়েছে, আজকে সেই ধরনের শাসকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের নিজেদেরকেই লড়তে হচ্ছে। এটা সাধারণ মানুষের ধারণা। পাকিস্তান সরকারের ধারণা ভিন্ন। তাদের মধ্যে উঠতি পুঁজিপতিরা বাংলাদেশের উঠতি পুঁজিপতি বা অলিগার্কদের মধ্যে এক ধরনের সম্পর্ক খোঁজে।

আবার অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো থিউরি নিয়ে পাকিস্তানিদের মধ্যে কিছুটা ভিন্ন উপলব্ধি রয়েছে। ইউনূস দারিদ্র্য বিমোচন করতে গিয়ে যে ‘মাইক্রো সার্ক’এর জন্ম দিয়েছেন তার কিছুটা সমালোচনা হয়। তারা মনে করেন মাইক্রো সার্কের পুঁজি নিয়েই ইউনূসকে দারিদ্র্য বিমোচন করতে হচ্ছে এবং এর ফলে ঋণগ্রহীতাদের ওপর আরো বেশি সুদ চেপে বসছে। আর পুঁজিবাদীদের কাছ থেকে মূলধন এনে, প্রযুক্তি এনে মানবসম্পদ উন্নয়ন বা যতই পণ্য উৎপাদন করি আন্তর্জাতিক বাজারে উন্নত দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ ওসব দেশের পুঁজির আকার বড়, প্রযুক্তিও অধিক অগ্রসর। উন্নত দেশগুলো থেকে প্রযুক্তি আসতে আসতে ওসব দেশের প্রযুক্তি আরো উন্নত হয়ে যায়।

নয়া দিগন্ত : সম্প্রতি আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে বলেই মনে হয়, পাকিস্তান এ সফলতা কিভাবে অর্জন করল?

মনির আহমেদ : ১৯৪৭ সাল থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আর্মিরাই পাকিস্তানে রাজত্ব করছে। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান যখন সামরিক বাহিনী শাসন করে তখন জনগণের সাথে সম্পর্ক নেই এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে সামনে নিয়ে এসে এমন কায়দায় সরকার গঠন করে যাতে প্রয়োজনে যখন তখন সরকারকে ভেঙে ফেলা যায়। নির্বাচনে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ (পিটিআই) এত ভালো ফলাফল করবে ধারণা ছিল না। ইমরান খানকে ঠেকাতে গিয়ে পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা আমেরিকাকে পরিষ্কার বলে দিয়েছে ইমরান খানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ডিল সম্ভব নয়। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চমৎকার এক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছে পাকিস্তানের বর্তমান শাসক। চীন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের শাসকরা বলেছেন বেইজিংয়ের চেয়ে ওয়াশিংটনের সাথে ভাষা ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ইসলামাবাদ অনেক কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভালো সম্পর্ক। এ ছাড়া ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিছুটা খারাপ হয়ে পড়ায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে পাকিস্তান। তাছাড়া ইর্ন্টানলি ও এক্সর্টানলি আমেরিকা দেখছে এটা বড় সুযোগ। কারণ আমেরিকা কারো পাকা বন্ধু হয় না, তারা সময়ের বন্ধু হয়। যখন যেখানে যা দরকার তারা সে ভূমিকা সেখ

নয়া দিগন্ত : বেলুচিস্তানে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি বিএলএ নামে যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আছে তাকে মার্কিন পররাষ্ট্রদফতর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলেছে। বেলুচিস্তানে চীন বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে বিনিয়োগ করেছে, চীনাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে, পাকিস্তানের অভিযোগ রয়েছে বিএলএকে মদদ দিচ্ছে ভারত। তো বেলুচিস্তানে মার্কিন বিনিয়োগ কি ভবিষ্যতে অস্থিতিশীল বা জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে?

মনির আহমেদ : অবশ্যই। এমন শঙ্কা রয়েছে। অনেক ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে যে ভারত বিএলএকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকাও এখন বলবে যে পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষায় আমরা সাথে আছি। আবার আমেরিকার সাথে ভারতের সম্পর্ক অবনতি হওয়ায় পুরনো দুশমনি ভুলে ভারত চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। জটিল এ পরিস্থিতি কোনো দিকে আগাবে সেটা বলা মুস্কিল।

নয়া দিগন্ত : পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো বা সাধারণ মানুষ এসব বিষয় কিভাবে দেখছে?

মনির আহমেদ : পিটিআই অনেক আগেই বলে দিয়েছে পাকিস্তানে কোনো মার্কিন ঘাঁটি করতে দেয়া হবে না। ইমরান খান এ প্রসঙ্গে ‘অ্যাবাসুলেউটলি নট’ এমন শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ব্যাপারে মার্কিনিদের হাত ছিল। বিকল্প যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে তারা আবার সামরিক বাহিনীর কাঁধে ভর করে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় এসেছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আমেরিকার সাথে চমৎকার এক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা পাকিস্তানে সুযোগ নিতে চাচ্ছে তেল ও খনিজসম্পদে বিনিয়োগের। এতে বেশির ভাগ লাভ হবে মার্কিন কোম্পানিগুলোর। বাকি লাভ হবে যারা ক্ষমতায় আছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে চীনের যেসব বিনিয়োগ রয়েছে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে, এ পরিস্থিতিতে এখানে মার্কিন বিনিয়োগ আসলে হাঙ্গামা বাধবে। ভারতের মাধ্যমে চীনকে শায়েস্তা করার মার্কিনি উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমেরিকা চাচ্ছে পাকিস্তানের সাথে দোস্তি করে এখানে চীনা বিনিয়োগে ইকোনমিক যে করিডোর গড়ে তোলা হচ্ছে সে কাজটাকে যেন মন্থর বা স্লো করা যায় এ জন্য পাকিস্তানকে ব্যবহার করবে আমেরিকা। পাকিস্তানের বর্তমান শাসকরা আমেরিকার যেকোনো শর্ত মেনে নেবে তা না হলে দেখা যাবে ইমরান খান আবার জেল থেকে বের হ