রয়টার্স
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত তিন দিনের শান্তি আলোচনা কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় আয়োজিত এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের লক্ষ্য ছিল সীমান্ত সংঘর্ষ ও উগ্রবাদী কার্যক্রম বন্ধে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতায় পৌঁছানো। তবে আলোচনায় অংশ নেয়া উভয় পক্ষের অবস্থান এতটাই দূরত্বপূর্ণ ছিল যে, কোনো যৌথ বিবৃতি ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়।
সূত্র জানায়, পাকিস্তান আলোচনায় আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কাছে লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়েছিল যে, তাদের ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানবিরোধী উগ্রবাদী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না। আফগান প্রতিনিধিদল এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং দাবি করে, পাকিস্তান তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যর্থতার দায় অন্যের ওপর চাপাতে চাইছে।
আলোচনার ব্যর্থতার ফলে সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৫ অক্টোবর কান্দাহার সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়, যার মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এই ঘটনার পর ১৯ অক্টোবর দোহায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, যার ভিত্তিতে ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়।
তবে আলোচনার পরিবেশ শুরু থেকেই ছিল উত্তপ্ত। পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়া কোনো অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। অপরদিকে, তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকার জানায়, তারা ইতোমধ্যে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং টিটিপির কার্যক্রমে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। আলোচনায় অংশ নেয়া এক কূটনৈতিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। বাস্তবিক অর্থে, কেউই আপস করতে প্রস্তুত নয়।’



