প্রিন্স আশরাফ
একশ’ তিন.
ঘাটে খলিলের সাথে দেখা সেই ষণ্ডামার্কা দুজনের একজন। সেও জুয়েলকে ভালোভাবে দেখে নিচ্ছে। দুজন দুজনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। জুয়েলের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল।
জুয়েল টাল সামলাতে নৌকার ছই জোরে চেপে ধরে রাখল। ওদের নৌকার গা ছাড়িয়ে ছপ ছপ শব্দ তুলে ওই নৌকাটাও এগিয়ে যাচ্ছে। ষণ্ডামার্কা লোকটা তখনও দাঁড়িয়ে আছে।
জুয়েল ভেতরে ঢুকে নাভিদের দিকে তাকিয়ে অর্থপূর্ণ চোখ ইশারা করল, তার মানে ওই ব্যাটারাই।
নাভিদ শব্দ করেই বলল, ‘নৌকা ছেড়ে দিয়েছে?’
‘হ্যাঁ, নাভিদ ভাই। ব্যাটা কেমনভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছিল। মতলব সুবিধের না।’
‘ঘটনা কি হতে পারে? ওরা আমাদের পিছে লাগলে আমাদের দেখে চলে যাবে কেন?’
‘মনে হয় পিছে লাগেনি। অন্য ঘটনা।’
‘হু। আমারও তাই মনে হয়। ওরা আমাদের দেখে কিছু আন্দাজ করেছে। হয়তো ওই মাজেদ ব্যাটা এদের জানিয়ে দিয়েছে। ফোনে বাদায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে এরা নিজেরাই নৌকা করে জানিয়ে দিতে যাচ্ছে। তার মানে এরা ওদের অবস্থান জানে।’ (চলবে)



