শেষ মুহূর্তের জোরালো প্রচার অভিযানে মামদানি ও অন্য প্রার্থীরা

নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচন

Printed Edition
নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচন
নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচন

এপি

নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে নির্বাচন আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগের দিন প্রার্থীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় শেষ মুহূর্তের প্রচার অভিযান চালিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান এবং স্বাধীন প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে জনসভা, র‌্যালি, মিডিয়া সাক্ষাৎকার এবং দরজায় দরজায় প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তার প্রচার অভিযানে অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আবাসন সঙ্কট মোকাবেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্ক সিটি এমন একজন মেয়র চায়, যিনি সব সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।’ মামদানি শেষ সপ্তাহে নাগরিক অধিকার নেতা আল শার্পটন ও অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের সাথে জনসভায় অংশ নেন।

স্বাধীন প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমো, যিনি নিউ ইয়র্কের সাবেক গভর্নর, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতাকে সামনে রেখে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্ককে নেতৃত্ব দিতে হলে বাস্তববাদী ও কার্যকর নীতির প্রয়োজন।’ কুয়োমো মধ্যপন্থী ভোটারদের টার্গেট করে নিরাপত্তা, আবাসন ও পরিবহন খাতে স্থিতিশীলতা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া, যিনি ‘গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, অপরাধ দমন ও পুলিশ শক্তি বৃদ্ধির পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্ককে নিরাপদ রাখতে হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’ স্লিওয়া অভিবাসন ও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে রক্ষণশীল মূল্যবোধ তুলে ধরছেন। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগেই নিউ ইয়র্কে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট পড়েছে। তবে এখনো বহু ভোটার সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় রয়েছেন, যাদের মন জয় করতেই প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে প্রচার অভিযান জোরদার করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচনের ফলাফল শুধু নিউ ইয়র্ক সিটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নয়; বরং জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক বার্তা বহন করতে পারে। প্রার্থীদের অবস্থান ও ভোটারদের অংশগ্রহণের মাত্রা ২০২৫ সালের নির্বাচনী ধারাকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই পরবর্তী মেয়রকে শহরের বাজেট সঙ্কট, আবাসন সমস্যা এবং জননিরাপত্তা ইস্যুতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।