বিশেষ সংবাদদাতা
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সংশোধনী অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে ২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মুক্তি পেয়েছেন।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সংশোধনীর একটি ধারায় বলা হয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ এবং উক্ত ধারাসমূহে বর্ণিত অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা কোনো পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হবে এবং তাদের বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না এবং উক্ত ধারাসমূহের অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড ও জরিমানা বাতিল বলে গণ্য হবে।
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন : এ ছাড়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের সংশোধনীর পাশাপাশি ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ আইনের অনুমোদন প্রদানের তথ্যসহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে উপাত্তের গোপনীয়তা, বিশ্বস্ততা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ ন্যায্যতা, আন্তঃপরিবাহিতা, ডিজিটাল অর্থনীতির সম্ভাবনা সুরক্ষিত করা এবং দায়িত্বশীল উদ্ভাবন উৎসাহিতকরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি জারি হলে উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ বা ধারণ, ব্যবহার বা পুনর্ব্যবহার, স্থানান্তর, প্রকাশ, বিনষ্টকরণ, আন্তর্জাতিক মান বজায় সর্বোপরি ডিজিটাল সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের মোট ধারা ৫৭টি : প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে কোনো ব্যক্তির উপাত্ত তার মালিকানাধীন গণ্য করে তার সম্মতিতে আইনসম্মতভাবে প্রক্রিয়াকরণের বিধান রাখা হয়েছে;
ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রক্রিয়াকরণের উদ্দেশ্য, ধারণ-মেয়াদ, স্থানান্তর ও প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করে উপাত্তধারীর সম্মতি গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
কোনো উপাত্ত-জিম্মাদার, মূল উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে উপাত্তধারীর ব্যক্তিগত উপাত্ত অধিকতর প্রক্রিয়া করার বিধান রাখা হয়েছে।
শিশু বা সম্মতি প্রদানের সক্ষম নয় এমন ব্যক্তি সম্পর্কিত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণে পিতামাতা বা আইনগত অভিভাবক বা সিদ্ধান্ত প্রদান করতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এমন ব্যক্তির সম্মতি গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
উপাত্তধারীর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে উপাত্ত জিম্মাদারের নিকট উপাত্তধারীর অধিকার প্রয়োগের বিধান রাখা হয়েছে।
সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত শর্তসাপেক্ষে প্রক্রিয়াকরণের বিধান রাখা হয়েছে;
উপাত্ত-জিম্মাদার কর্তৃক প্রক্রিয়াকৃত উপাত্তে উপাত্তধারীর প্রবেশাধিকার বিধান রাখা হয়েছে।
উপাত্তধারী যে কোনো সময় সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে তার সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারবেন।
উপাত্তধারীর সম্মতি ব্যতিরেকে, যে উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।
এই অধ্যাদেশের অধীনে গঠিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো স্বতন্ত্র উপাত্ত নিরীক্ষকের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম-নিরীক্ষার বিধান রাখা হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জনশৃঙ্খলা বা জনস্বার্থ, অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত, কর ফাঁকি প্রতিরোধ, জনস্বাস্থ্য, সরকারি তহবিলের অপব্যবহার, অনুসন্ধান বা তদন্ত, পরিসংখ্যান প্রস্তুতকরণ, শিক্ষা, শৈল্পিক কাজ বা সাহিত্য রচনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হলে উপাত্তধারীর সম্মতি গ্রহণ হতে অব্যাহতির বিধান রাখা হয়েছে।
এই অধ্যাদেশে সরকার কর্তৃক ব্যক্তিগত উপাত্ত চারটি শ্রেণীতে বিভাজন করা হয়েছে
ক. পাবলিক বা উন্মুক্ত ব্যক্তিগত উপাত্ত
খ. অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিগত উপাত্ত
গ. গোপনীয় ব্যক্তিগত উপাত্ত
ঘ. সীমাবদ্ধ ব্যক্তিগত উপাত্ত।
এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণের নিমিত্ত দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় এবং আন্তঃসীমান্ত ব্যক্তিগত উপাত্ত বিনিময় এবং অন্যান্য সহযোগিতার উদ্দেশ্যে অন্য যে কোনো দেশ বা বহুপক্ষীয় সংস্থা বা কনসোর্টিয়াম বা ফোরামের সাথে সংযুক্তির বিধান রাখা হয়েছে;
উপাত্তধারীর অধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রশাসনিক জরিমানা এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে;
এই অধ্যাদেশের বিধান লঙ্ঘন করে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াকরণ, অননুমোদিতভাবে প্রবেশ বা হস্তক্ষেপ, বেআইনি টেম্পারিং, অপব্যবহার, সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত অননুমোদিতভাবে প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দণ্ড আরোপের বিধান রাখা হয়েছে;
উপাত্ত-জিম্মাদার ব্যক্তিগত উপাত্ত নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত মেয়াদে ধারণ করতে পারবেন না।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন থাকবে একীভূত পাঁচ ব্যাংক : পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে একটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ব্যাংকের জন্য দুটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি হলো ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক, অপরটি হলো সম্মিলিত ইসলামিক ব্যাংক।
গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সমস্যাগ্রস্ত ইসলামিক শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক রেজল্যুশনের মাধ্যমে নতুন একটি ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁও-এ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যে পাঁচ ব্যাংকটি একীভূত হয়ে নতুন ব্যাংক গঠিত হবে সেগুলো হচ্ছে- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নব গঠিত ব্যাংকটি প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন থাকবে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থাকবে এর মালিকানায়। পরে ব্যাংকটি বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তর করা হবে।
সূত্র মতে, নতুন এ ব্যাংকটির জন্য শিগগিরই লাইসেন্স ইস্যু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অনুমোদিত মূলধন হবে ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত নতুন ব্যাংকের মূলধন বিষয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেইল ইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের ১৫ হাজার কোটি টাকার আমানত মূলধনে রূপান্তর করা যেতে পারে। বাকি ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার মূলধন হিসেবে দেবে।
এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রস্তাবের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমরা আশা করছি পাঁচ বছরের মধ্যে ব্যাংকটি বেসরকারি খাতে দেয়া হবে। এই ব্যাংকে চাকরিরত কারো চাকরি যাবে না বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের একীভূত কার্যক্রম বাস্তবায়নে গত ৮ সেপ্টেম্বর আট সদস্যের একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো: কবির আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে ইতোপূর্বে জানা যায়, পাঁচ ব্যাংকের সম্মিলিত আমানতের পরিমাণ এক কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যক্তি শ্রেণীর আমানতের পরিমাণ প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট আমানত প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের। ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের সুরক্ষায় এরই মধ্যে একটি পেমেন্ট স্কিম প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ স্কিমের আওতায় আমানতের অর্থ ফেরত প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যক্তিশ্রেণীর আমানতকারীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আর প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের নগদ অর্থের পরিবর্তে নবগঠিত ব্যাংকের শেয়ারের মালিকানার প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। তবে এর আগে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারের তালিকা থেকে বাদ দেয়া (ডিলিস্টেড) হবে। অন্যদিকে ঋণগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হবে না। ঋণের কিস্তি নিয়ম মতো পরিশোধ করতে হবে। খেলাপি হলে বিদ্যমান নিয়মেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৈঠকে, এর পাশাপাশি ব্যাংক ও বীমা খাতে আমানত সুরক্ষা আইনকে যুগোপযোগী করে সংশোধিত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
ড. তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
বাসস জানায়, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও স্থানীয় সরকার বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণার অন্যতম অগ্রদূত। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন, যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার ও সমবায়বিষয়ক একজন লব্ধপ্রতিষ্ঠ গবেষক ও লেখক। তিনি সারা জীবন দেশের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে তার রচিত প্রায় ২০টি গ্রন্থ ও দেশী-বিদেশী জার্নাল ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত অসংখ্য প্রবন্ধ, যা যুগের পর যুগ আমাদের জ্ঞানচর্চাকে সমৃদ্ধ করবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক অধ্যাপক জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে (বাংলাদেশ) স্থানীয় শাসন উপদেষ্টা হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন সৎ, প্রজ্ঞাবান ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষককে হারাল।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।