ময়নুল হক পবন কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নে চলছে ব্যাপক নির্মাণ কাজ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) জানায়, উপজেলায় ২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চলমান এসব প্রকল্পের মাধ্যমে কুলাউড়ার প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ আরো আধুনিক ও টেকসই হবে। নির্মাণাধীন বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- করের গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ২০ লাখ), শঙ্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ২১ লাখ), মদনগৌরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ৪৩ লাখ), রাবেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (৯১ লাখ), চুনঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ৩১ লাখ), রহমত মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ৪৩ লাখ), কালিজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ১৭ লাখ), দিলদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ১২ লাখ), রামপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ১৭ লাখ), মজির উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ২১ লাখ), চকের গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ৪৪ লাখ), পূর্বভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ১০ লাখ), পূর্ব ফটিকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ২৪ লাখ), শাহগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ১৬ লাখ), আজিজুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ২০ লাখ), দত্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (১ কোটি ২০ লাখ), ছকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন (৯৭ লাখ) ও আব্দুল বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১ কোটি ২৭ লাখ টাকা)। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের তথ্য মতে, বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলতি অর্থবছরেই শেষ হবে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার কামরুল ইসলাম বলেন, আমি ৬টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে আছি। এলজিইডির সব নিয়ম মেনে কাজ করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকৌশল বিভাগের সার্বিক মনিটরিংয়ে কাজগুলো প্রায় শেষের পথে। আরেক ঠিকাদার আব্দুল লতিফ জানান, আমি চকেরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ এক কোটি ৪৪ লাখ টাকায় সম্পন্ন করেছি এবং ইতোমধ্যে এলজিইডি অফিসে কাজ হস্তান্তর করেছি। কাজের মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহি উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী প্রিতম শিকদার জয় এবং অন্যান্য সহকারী প্রকৌশলীরা।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রিতম শিকদার জয় বলেন, যোগদানের পর থেকেই প্রতিটি নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ে গিয়ে সরেজমিন তদারকি করছি। তবে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের দুটি পদ শূন্য থাকায় এবং সার্ভেয়ার, নকশাকারক ও হিসাবরক্ষক পদ দীর্ঘদিন খালি থাকায় বিশাল উপজেলার কাজ তদারকিতে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, তার পরও আমরা চেষ্টা করছি যেন কাজের মান অক্ষুণœ রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সবগুলো ভবন হস্তান্তর করা যায়।
স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, নতুন ভবনগুলো চালু হলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক ও নিরাপদ শ্রেণিকক্ষ পাবে, যা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। কুলাউড়ায় এলজিইডির এই উদ্যোগকে স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষকরা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, এ প্রকল্প শেষ হলে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার চিত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে।



